পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 ভারতবর্ষ। হইল। কিন্তু রাজা কহিলেন—“আমি ধৈৰ্য্যাবলম্বন করিতেছি বটে ; কিন্তু বান্সের শঙ্গ আমার অভিলাষ-সিদ্ধির পথ-প্রদর্শনে আমাকে ত্বরান্বিত হইবার জন্ত যেন আহ্বান করিতেছে ? “ধৈর্য্যাবলম্বিনমপি ত্বরয়তি মাং মুরজবাস্তরাবোহম্। অবতরত: সিদ্ধিপথং শব্দং স্বমনোরমস্তেব ॥” ইহার পর সঙ্গীতশালায় প্রবেশপূর্বক রাজা অগ্নিমিত্র মালবিকার দর্শনলাভ করেন। মালবিকাকে দেখিয়াই রাজা অগ্নিমিত্রের মোহ উপস্থিত হইল। মালবিকার রূপে অগ্নিমিত্র অধিকতর আকৃষ্ট হইলেন। তিনি বয়স্তকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন,--চিত্ৰপট দেখিয়া আমার মনে হইয়াছিল, বুঝি বা মালবিক এত সুন্দরী নহেন । কিন্তু এখন মালবিকাকে প্রত্যক্ষ করিয়া বুঝিতে পারিলাম,—চিত্রকর মালবিকার আকৃতি যথাযথ চিত্র করিতে পারেন নাই। চিত্রকব তাদৃশ অভিজ্ঞ হইলে, চিত্রপট না জানি আরও কত মনোহর হইত ’— “চিত্রগতায়ামস্তাং কাস্তিবিসংবাদশঙ্কি মে হৃদয়ম্। সম্প্রতি শিথিলসমাধিং মন্তে যেনেয়মালিখিত ॥” মালবিকার প্রতি অঙ্গে সৌন্দর্য্য-সুষমা প্রকাশ পাইতেছিল। মালবিক। যখন রাগালাপনে প্রবৃত্ত হইলেন, মালবিকার জন্য রাজা একেবারে ব্যাকুল হইয়া পড়িলেন। অভিনয়ান্তে মালবিক যথাস্থানে গমন করিলে, রাজা মালবিকার জন্য অধিকতর অধীর হইলেন । র্তাহাকে দর্শন করিতে পাইতেছেন না বলিয়া, বজার নেত্ৰ যেন অশ্রুভারাক্রান্ত হইতে লাগিল। রাষ্ট্ৰী মালবিকাকে লুকাইয়া রাখিয়াছিলেন। রাজা সুকৌশলে মালবিকার সহিত একবার সাক্ষাৎ করিলেন। প্রণয় ঘনীভূত হইল। মালবিকার সৌন্দর্য্যের উপমা রাজা যেন কোথাও দেখিলেন ন। মালবিকাকে পাইয়া রাজা তখন এতই প্রীতিলাভ করিলেন যে, তাহার মনে হইল,— “সুর্যোদয়ে ভবতি যা সূৰ্য্যাস্তময়ে চ পুণ্ডরীকস্ত । বদনেন সুবদনারাস্তে সমরস্তে ক্ষণাঢ়ে।” ‘সুৰ্য্যের উদয়ে পদ্মের বিকাশ। আর সুৰ্য্যের অস্তগমনে পদ্মের মলিনতা । কিন্তু মালবিকার সৌন্দৰ্য্য দিবারাত্রি বিকশিত। যাহা হউক, উদ্যানমধ্যে মালবিকার সহিত অগ্নিমিত্রের যখন প্রেমালাপ হয়, দ্বিতীয় মহিষী ইরাবতী অলক্ষ্যে থাকিয় তাহ দেখিতে পান। প্রধান মঞ্জিৰী ধারিণীর কর্ণে সেই সংবাদ উপস্থিত হয় । ধারিণী ক্রোধ-পরবশ হইয় মালবিকাকে কারারুদ্ধ করেন । মালবিকার বিচ্ছেদে রাজা অগ্নিমিত্র অধিকতর অধীর হইয়৷ পড়েন। এই সময় সিন্ধু নদের তীরে যবনগণের সহিত যুদ্ধে রাজকুমার জয়লাভ করেন। কুমারের বিজয়-সংবাদ রাজ্যমধ্যে বিঘোষিত হইলে, মহিষী ধারিণীর অপরিসীম আনন্দ হয়। তখন র্তাহার মনে হয়,—এ আনন্দোৎসবে সকলেই যখন মাতোয়ার হইবার অবসর পাইয়াছে, রাজা আর মালবিকাই বা কেন অসুখী থাকেন । এই মনে করির রাজী ধারিণী রাজার সহিত মাৰিকার মিলন সংঘটন করাইরা দেন। ইহার পর জানিতে পার বায়— মালবিকা—রাজা মাধবসেনের ভগিনী। মাধবসেন রাজ্যচ্যুত হইয়া, মন্ত্রীর সহিত পরামর্শ BBDS BBBBB BBBBB BHHDDDBBD S BBB BB DDSBBBBBB রাজা পত্নীরূপে গ্রহণ করিবেন । কিন্তু পথিমধ্যে মালবিক দস্থ কর্তৃক অপহৃত হয়।