পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । wo-st সংবাদে রাক্ষস বড়ই ক্ষুণ্ণ হইলেন। এদিকে চাণক্য কর্তৃক পৰ্ব্বতকের মৃত্যু-সংবাদ রূপান্তরে প্রচারিত হইল । তাছাতে চন্দ্রগুপ্তেব সহিত পৰ্ব্বতকের মিত্রত ছিল বলিয়া, রাক্ষস বিষকন্তু ,প্রেরণে র্তাহার সংহার-সাধন কৰিয়াছেন,–এই সংবাদ প্রচারিত হইয়া পড়িল । ইহার পর চাণক্যের এবং রাক্ষসের রাজনীতির মধ্যে সংঘর্ষ উপস্থিত হয় । সেই সংঘর্ষই এই নাটকের প্রাণভূত। এই শ্রেণীর রাজনৈতিক নাটক আর দ্বিতীয নাই। রাজনীতিব কিরূপ পরিচালনায় জয়-পৰাজয় সংঘটিত হয়, ইহাই এই নাটকেব নিগুঢ় শিক্ষা । ‘মুদ্বারাক্ষস' নাটক সাত অঙ্কে সম্পূর্ণ। প্রথম অঙ্কে, স্ত্রধারেব উক্তিতে ও নেপথ্যে র্তাহাব উত্তবে, কেতু ও চন্দ্রমণ্ডলের উপমায়, আভাষে নাটকেব মূল তথ্য বিরত করা হইয়াছে। স্ত্রধাব কহিতেছেন,—“ব্রুব: গ্রন্থঃ সকেতুশচন্দ্ৰং সম্পূর্ণমওলমিদানীম্। অভিভবিতুমিচ্ছতি বলাৎ—”ক্রর গ্রহ-সমুচ কেতুর সহিত মিলিত হইয়া বলপূৰ্ব্বক চন্দ্রনগুলকে অভিভব কবিৰাব ইচ্ছা কবিয়াছে। সুত্ৰধার এই পৰ্য্যন্ত, বলিতে বলিতে নেপথ্যে উত্তর কইল,—“আঃ, ক এষ মযি স্থিতে চন্দ্রগুপ্তমভিভবিতুমিচ্ছতি বলাৎ ?” অর্থাৎ,—“আমি বিদ্যমান থাকিতে বলপূৰ্ব্বক চন্দ্রগুপ্তকে কে অভিভব করিতে ইচ্ছা করিয়াছে ?” স্বত্রপাব উত্তব দিলেন,—“বক্ষত্বেনন্তু বুপযোগ” । অর্থাৎ, –বুধযোগ কর্তৃক তিনি রক্ষিত হুউন।” স্বত্রধাবেব তই বাবেল উক্তিতে পূর্ণ একটা শ্লোক পাওয়া গেল। যথা,— “কুব গ্রহঃ সকেতুশ্চন্দ্র সম্পূর্ণম গুলমিদানীম । অভিভবিতুমিচ্ছতি বলাং বক্ষত্বেনন্তু বুধযোগঃ ॥” এই শ্লোকটর দুই প্রকাব অর্থ সিদ্ধ হয়। সাধারণতঃ দেখিতে গেলে, এই শ্লোকে যেন চন্দ্রগ্রহণের বিষয় বলা হইয়াছে বলিষা বুঝা যায়। বুঝা যায়,–চন্দ্রমণ্ডলকে অভিভূত করিবার জন্য কেতুব সহিত ক্রুব গ্রহ-সমূহের মিলন ঘটিয়াছে বটে, কিন্তু বুদ্ধযোগ ঘটায় গ্রহণ হইবে ন। এখানে, কি কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়, তাহা বুঝা প্রয়োজন ; আর চন্দ্রগ্রহণ পক্ষে অস্তুরায়ই ৰ কি আছে, তাহাও বুঝা আবঙ্গক। পৃথিবীব ছায়া চন্দ্রমগুলে পতিত কইলেই চন্দ্রগ্রহণ ছয় । সাদাসিদ। এই কাৰণে গ্রহণ সংঘটিত হইলে, প্রতি পূর্ণিমাতেই গ্ৰহণ তইতে পারিত। কারণ, ঐ সময়ে স্থৰ্য্য ও কেতু এক সঙ্গে মিলিত হন। কিন্তু ইহার মধ্যে একটু অবস্থান্তর আছে। সূর্য ও কেতুর যোগের সহিত যদি কযেকট বিশেষ বিশেষ রাশির সংযোগ ঘটে, তাহ হইলেই গ্রহণ কয় ; নচেৎ গ্রহণ হয় না। বুধযোগ ঘটিলে ঐ অবিশ্বক গ্রাণির মিলনে বিঘ্ন ঘটে । এই উপমায়, গ্রহণের সম্ভাবন জাছে বটে, কিন্তু বুধযোগ হেতু গ্রহণ হইবে না –কবি তাই এই কথা বলিয়া গেলেন। শ্লোকের ইহাই স্থল অর্থ। কিন্তু মূল তাৎপৰ্য্য অন্তরূপ। বুধৰোগ অর্থে–পণ্ডিতের সহিত মিলন। রাজা চন্দ্রগুপ্ত, কেতু গ্রহের অর্থাৎ মন্ত্রী রাক্ষসের সহিত গ্রহাস্তরের অর্থাৎ পৰ্ব্বতকাদি বৈদেশিক রাজস্তবর্গের সংযোগে অভিভব বা বিপন্ন হইতেন বটে ; কিন্তু পণ্ডিতপ্রবর চাণক্যের সহায়তায় তাহার সে বিপদ ঘটিল না –তিনি পূর্ণচন্দ্রের স্তায়ই প্রভান্বিত রছিলেন । স্বত্রধারের উক্তিতে. এই যে আভাষ পাওয়া গেল, নাটকে এই ব্যাপারই বিবৃত হইয়াছে। এক দিকে চন্দ্রগুপ্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-জাল-বিস্তার, অন্ত দিকে চাণক্যের বুদ্ধিরূপ অস্ত্রে সে জাল ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন । চাণক্য যে প্রতিজ্ঞ করিয়া রাজভবন হইত্তে বহির্গত হইয়াছিলেন, নাটকের শেষে তাহাৰু sēís»