পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. У о ভারতবর্ষ । সে দোষ ধৰ্ত্তব্যের মধ্যেই নহে। উপমাস্বরূপ তিনি উল্লেখ করিয়াছেন,- “চন্দ্রের স্নিগ্ধ কিরণ-রাশির মধ্যে র্তাহার কলঙ্ক-দোষ স্বতঃই বিলীন হইয়া আছে। (শ্লোকটী এই খণ্ডের ৩০০ম পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত হইয়াছে )। ঘটকর্পরের ইহা সহ হয় নাই। কালিদাসের এই উক্তির প্রতিবাদে তিনি একটী কবিতা লিখিয়াছেন ৷ ঘটকপর বিরচিত সেই কবিতাটা এই— “একো হি দোষ গুণসন্নিপাতে নিমজ্জতীন্দোরীতি যে বভাষে । নুনং ন দৃষ্টং কবিনাপি তেন দারিদ্র্যদোষে গুণরাশিনাশি ॥” এই উত্তরে ঘটকৰ্পর কালিদাসকে বেশ একটু বিদ্রপ করিয়াছেন ; বলিয়াছেন,—যে কবি বহুগুণের মধ্যে একটা মাত্র দোষ থাকিলে, সে দোষ গুণের মধ্যে লোপ পাইয়া যায় বলিয়াছেন, সে কবির স্বাক্ষা-দর্শন অতি কম । কারণ, তিনি জাকে না যে, একমাত্র দারিদ্র্যদোষে সকল গুণ নষ্ট হইতে পারে। উত্তরট বড়ই সমীচীন ৷ ঘটকপরের এবং কালিদাসের মধ্যে বাদ-প্রতিবাদের এমন প্রসঙ্গ আরও অনেক আছে। পূৰ্ব্বে যে বিহলপ কবির নাম উল্লেখ করিয়াছি, কাশ্মীর-রাজ্যে র্তাহার বসতি ছিল বলিয়া প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহার প্রধান খণ্ডকাব্য—“বিহলণ-পঞ্চাশিকা’ বা ‘চোরপঞ্চাশত । ঐ গ্রন্থে পঞ্চাশট শ্লোক আছে। সেই শ্লোকে তাহার প্রণয়িনীর বিষয় পরিবর্ণিত । কিংবদন্তী এই যে, তিনি গুর্জরাধিপতি বীরসিংহের কন্যা চন্দ্ৰলেখার (মতান্তরে শশিলেখার ) শিক্ষকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । শিক্ষাদান-কালে চন্দ্রলেখার সহিত র্তাহার প্রণয় জন্মে । রাজা তাহ জানিতে পারেন। পণ্ডিতের এই ব্যবহারে ক্রুদ্ধ হইয়। রাজ পণ্ডিত বিহ্বলণের শিরচ্ছেদের আদেশ দেন। বধ্য-ভূমিতে উপস্থিত হইয়া বিহুগণ ঐ পঞ্চাশটি কবিতার দ্বারা আপনার মনোভাব ব্যক্ত করিয়াছিলেন । ইহাতে বিহলণ প্রণয়িনী চন্দ্রলেখার প্রণয়ে কি আনন্দ উপভোগ করিয়াছিলেন, তাহাই পরিবর্ণিত আছে। বধ্য-ভূমে কবিতাছন্দে ঐক্সপে মনোভাব প্রকাশ করিলে, সেই সংবাদ রাজার নিকট উপস্থিত হয়। রাজা তাহাতে কবির প্রতি দয়াদ্র হন । তখন রাজামুকম্পায় বিহ্বলণের প্রাণ-দণ্ডাজ্ঞা রহিত হয়। রাজ রাজকুমারীর সহিত বিহলণের বিবাহ দেন। বিহলণ কবি এবং তাহার চোরপঞ্চাশৎ খণ্ড-কাব্য সম্বন্ধে এই গল্প বিশেষ প্রসিদ্ধ। কেহ কেহ বলেন,—চোরপঞ্চাশত খণ্ড-কাব্যের রচয়িত। বিহ্বলণ নহেন। চোরকবি নামক কোনও কবি ঐ শ্লোকটি রচনা করিয়াছিলেন । কথিত হয়, সেই কৰি কালিদাসের সমসাময়িক ছিলেন। আরও কথিত হয়, কালিদাস ঐ কবির প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন। একটি উদ্ভট শ্লোক কালিদাসের রচিত বলিয়া প্রচারিত আছে । “কবিরমরু; কবিরমরঃ কবী চোরময়ূরকে । অন্তে কবয়ঃ কপরঃ কপিজাতিত্বাচ্চঞ্চলমতয়ঃ * এ হিসাবে চোর-পঞ্চাশিকার ( চোর-পঞ্চাশতের) রচয়িত চোরকবি বলিয়াই প্রতিপন্ন হন। BBBBBB BBBBBBS SBBBBBS BBB BBBB SBBBBBBBS BB BBBB বিবৃত আছে। সুতরাং এ রহস্ত চিরদিনই অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকিবে । যাহা হউক, সাধারণতঃ এখন স্থির হয়, বিছলণ কবিই সংস্কৃত-ভাষার ‘চোরপঞ্চাশৎ খণ্ড-কাব্যের রচয়িত । BB DDBBSSSBBBB SBBBBBBBBBS BBB BB BBB BBSBB BBB SBBBBS BBB BB বিদ্যাপতি বিহ্বাণ ।