পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । 8 డిసి স্কৃত্তিবাসের রামায়ণ বলিয়া চলিয়া আসিতেছে । পঞ্চতন্ত্র এবং হিতোপদেশ সম্বন্ধে সেইরূপ ঘটিয়াছিল বলিয়াই মনে করা যাইতে পারে। হিতোপদেশ কোন সময় সঙ্কলিত হয়, তাহ নির্ণয় করা সুকঠিন ; তবে ১৩৭৩ খৃষ্টাব্দের একখানি পুথি পাওয়া গিয়াছিল বলিয়া খৃষ্টীয় বাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে হিতোপদেশের প্রবর্তমার বিষয় অনেকে সিদ্ধান্ত করিয়া লন। নীতিমূলক সারগর্ভ অনেক রচনা পঞ্চতন্ত্রে এবং হিতোপদেশে দেখিতে পাওয়া যায়। স্বত্রাকারে লিখিত উহার কবিতা গুলি এক একটি অমূল্য রত্নবিশেষ। কয়েকটি দৃষ্টান্ত,— “অর্থেন হি বিহীনস্ত পুরুষস্তাল্পমেধসঃ । ক্রিয় সৰ্ব্বা বিনগুতি গ্রীষ্মে কুসবিতে যথা ॥ BBBBB BBB DBBBBBBBS BBBB BBB BBB BBBmm BB BBBS অপুত্রস্ত গৃহং শূন্তং সন্মিত্রবহিতস্ত চ । মুখস্ত চ দিশঃ শূন্তাঃ সৰ্ব্বশূন্য দরিদ্রত ॥ মনস্বী ম্ৰিয়তে কামং কার্পণ্যং নতুগচ্ছতি । অপিনিৰ্ব্বাণমায়াতি নানলো যাতি শীততাম্ ॥ কুম্নমস্তবকস্তোব দ্ধে বৃত্তী তু মনস্বিন: । সৰ্বেষাং মূৰ্দ্ধি বা তিষ্ঠে বিশীর্যোত বনেহথবা ॥ তানিন্দ্রিয়াণ্যবিকলানি তদেব নাম সা বুদ্ধিব প্রতি তা বচনং তদেব । অর্থোয়ণা বিবস্থিত: পুরুষ: স এব ত্বম্ভ: ক্ষণেন ভবতীতি বিচিত্রমেতৎ ॥ ধনেন কি যো ন দদাতি নাশ্বতে বলেন কিং যশ্চ বিপুন ন বাধতে । শ্রীতেন কিং যে ন চ ধৰ্ম্মমাচরেং কিমাত্মন! যো ন জিতেন্দ্রিয়ো ভবেৎ ৷” দৃষ্টান্ত সহ এইরূপ অসংখ্য নীতি উপদেশ সংগ্রথিত। পঞ্চতন্ত্র হইতে গঙ্গীত হইলেও ছিতোপদেশে শল্পের ও নীতির কিছু উৎকর্ষ পরিলক্ষিত হয়। পঞ্চতন্ত্র হইতে ছিতোপদেশে যে যে অংশ গৃহীত হইয়াছে, তাহাব গল্পাংশ প্রায় একই আছে ; বর্ণনায় কোথাও একটু সামান্য ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে মাত্র। চিতোপদেশে পঞ্চতন্ত্রের গল্প কিছু সংক্ষিপ্ত হইয়াছে এবং শ্লোকের ভাগ কিছু বুদ্ধি পাইয়াছে। নীতিপূর্ণ ঐ শ্লোকগুলি যে বিষ্ণুশৰ্ম্মার রচিত, তাহ মনে হয় না। কারণ, নীতিসার-রূপে ঐ নীতিকথাগুলি অতি প্রাচীনকাল হইতেই ভারতবর্ষে প্রচলিত আছে। দৃষ্টান্ত-স্বরূপ আখ্যানের অবতারণা উপলক্ষে দুই একটা শ্লোকের সামান্স পরিবর্তন ঘটিয়াছে বটে ; কিন্তু প্রধানতঃ সকল নীতি-শ্লোকই প্রাচীন ভারতের সম্পত্তি । পঞ্চতন্থের প্রারম্ভে যে শ্লোক আছে, কবি উপক্রমণিকায় যে শ্লোকটী লিখিয়া গিয়াছেন, তাহ হইতেও এই সিদ্ধান্তেই উপনীত হওয়া যায়। ব্রহ্মা, রুদ্র, কাৰ্ত্তিকেয় প্রভৃতি দেবগণের নিকট মঙ্গল-প্রার্থনা করিয়া, মনু, বৃহস্পতি, শুক্রাচার্য্য, সপুত্র পরাশর, চাণক্য এবং নীতিশাস্ত্রকারদিগের উদ্দেশ্যে পঞ্চতন্ত্র-প্রণেত নমস্কার করিয়াছেন। তাহাতেই বুঝা যায়, বিভিন্ন নীতি-গ্রন্থের অমুসরণে গ্রন্থকার পঞ্চতন্ত্রের গল্পমালা গ্রথিত করিয়াছিলেন । পঞ্চতন্ত্রে বা চিতোপদেশে উদ্ভূত নীতিগুলি প্রায় সমস্তই গরুড়-পুরাণান্তর্গত নীতিসার-মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায়। গরুড়-পুরাণান্তর্গত নীতিসার—আটট অধ্যায়ে তিন শত নব্বইট শ্লোকে সম্পূর্ণ। চাণক্যশতকেও ঐ শ্লোকগুলিই প্রায় দেখিতে পাওয়া যায়। কামন্দক একজন নীতিশাস্ত্রবেত্তা বলিয়। পরিচিত। র্তাহার নীতিসার মধ্যেও উহার অনেক শ্লোক পরিদৃষ্ট হয়। এইরূপে বেশ বুঝিতে পারা যায়, ছিতোপদেশপূর্ণ শ্লোকগুলি নানা স্থান হইতে সংগৃহীত হইয় পঞ্চতন্ত্রের ও হিতোপদেশের অঙ্গ পুষ্ট করিয়াছিল।