পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । 8Հ չ পঞ্চবিংশতির পচিশটা গল্প এবং বিক্রমাদিতোর সংক্রাপ্ত বহু কাহিনী এই গ্রন্থে স্থান পাইয়াছে। বিক্রমাদিত্যের জন্ম-সম্বন্ধে এই গ্রন্থে একটু পৰিচয় পাওয়া যায়। তদনুসারে বিক্রমাদিত্যের পিতার নাম মহেন্দ্রাদিত্য এবং মাতার নাম সৌম্যদর্শন ; বিক্রমাদিত্য— ভীষ্মশীল নামেও প্রসিদ্ধ ছিলেন। সেই সময়ে ভারতবর্ষে স্লেচ্ছগণেব উপদ্রব আবম্ভ হইয়াছিল। সেই উপদ্রব দমন জন্য বিক্রমাদিত্যের জন্ম হয়,—এই গ্রন্থে তাহাই প্রকাশ । এই কথাসরিৎসাগরে বৌদ্ধ জাতক-গ্রন্থেরও বহু উপাখ্যান ও ভাব স্থান পাইয়াছে। এই কথাসবিতসাগর ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে সঙ্কলিত হইয়াছিল বলিয়া প্রমাণ পাওয়া যায়। সোমদেবেৰ কথাসরিৎসাগব রচনার প্রায় তেত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে (১০৩৭ খৃষ্টাব্দে ) ক্ষেমেন্দ্র ব্যাসদাদ নামক কাশ্মীরদেশীয় অপর এক পণ্ডিত বৃহৎকথামঞ্জরী নামে এক গল্প-গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । সে গ্রন্থ কথাসরিৎসাগর অপেক্ষ ক্ষুদ্র ;–উহার এক-তৃতীয়াশ মাত্র । ঐ গ্রন্থে কথাসরিৎসাগরের গল্প ক্ষেমেন্দ্র স্বতন্ত্র-ভাবে পৈশাচী ভাষা হইতে সংস্কৃত-ভাষায় রূপান্তবে লিখিয়াছিলেন । কথাসরিৎসাগরের ৬০ম–৬৪ম তরঙ্গে পঞ্চতন্ত্রের প্রথম তিন ভাগ যথাযথ স্থান পাইয়াছে। ৫৭০ খৃষ্টাব্দে পহুলৰী-ভাষায় পঞ্চতন্ত্রের যে অমুবাদ হইয়াছিল, সেই অনুবাদ-অংশের সহিত কথাসরিৎসাগরের অন্তর্নিহিত পঞ্চতন্থের গল্পাংশের অনেক সাদৃশু দেখা যায়। সেইজন্ত ঐ গ্রন্থ হইতেই পল্লবী-ভাষায় পঞ্চতন্ত্রাংশ অনুবাদিত হইয়াছিল বলিয়াও কেহ কেহ সিদ্ধান্ত কবেন। পারাবতের প্রাণরক্ষার জন্তু শিবি রাজার প্রাণদানের বিবরণ প্রথম মহাভালতে ও পুরাণে দৃষ্ট হয়। জাতক-গ্রন্থেও ঐ গল্প আছে। চীনাদিগের এবং মুসলমানদিগের সাহিত্যের মধ্যেও ঐ আখ্যান রূপান্তরে দৃষ্ট হয়। সোমদেবের কথাসরিৎসাগরেও ঐ আখ্যান স্থান পাইয়াছে। ফলত, অদ্ভূত অলৌকিক বিবিধ গল্পকথার সমবায়ে কথাসরিৎসাগর বিরচিত হয়। কথাসরিৎসাগর প্রকাও গ্রন্থ ; মহাভারতের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। ইঙ্গ অষ্টাদশ লম্বকে বা খণ্ডে বিভক্ত। ইহাতে চতুৰ্ব্বিংশতাধিক শততম তরঙ্গ বা পবিচ্ছেদ আছে। কথাসরিৎসাগর এবং বৃহৎকথামঞ্জরী উভয়ই শ্লোকে নিবন্ধ। কথাসরিৎসাগরের শ্লোকসংখ্যা দ্বাবিংশ সহস্রের কম নহে। কথাসরিৎসাগর ও বৃহৎকথামঞ্জরীর সহিত গুণাঢ্যের সম্বন্ধের বিষয় পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি। তিনিই প্রথমে বৃহৎকথা নামে পৈশাচী-ভাষায় এক বিস্তৃত গ্রন্থ লিখিয়াছিলেন বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে । * সেই গ্রন্থের অংশবিশেষ অবলম্বনে কথাসরিৎসাগর প্রভৃতি বিরচিত হইয়াছিল। এ বিষযেও একটা গল্প আছে। দক্ষিণাত্যে সাতবাহন নামে এক নৃপতি ছিলেন । ভাষাজ্ঞান-লাভের জন্ত তিনি বাকরণ-শিক্ষায় প্রবৃত্ত হন। গুণাঢ়া ব্যাকরণশিক্ষার বিরুদ্ধবাদী ছিলেন। ‘ব্যাকরণ শিখিতেই জীবন কাটিয়া গেলে, কবে আর আপনি ভাষা শিক্ষা করিবেন ?--রাজাকে গুণাঢ্য এইরূপ উপদেশ দেওয়ায়, মন্ত্রী প্রভৃতির পরামর্শে গুণাঢ্যের প্রতি রাজা বিরূপ হন। সৰ্ব্বধৰ্ম্ম নামক জনৈক পণ্ডিত কলাপ-ব্যাকরণ প্রণয়ন করিয়া S BBDBB DDDBBS DDB BBBBB BB BBBB BBBBB BDD BB BBBBBB BBB BBS DDDD DDSDDBBB BBB DBDD BBBBS DDDBBB B BB BBB BBBBB S BBBBB DDS SBB D DBBBB BBDD D BBBS DDDDDD BBB DDBBB BBBBBBS BBBDDD DDS “কেচিৎ বৃহৎকথাগুবন্ধিনে গুণাঢ্যাঃ ” *