পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8లీ: ভারতবর্ষ। बश्नः श्रणिङः शिखश् श्रू७१ खिदिशैनं खांडिं कू७म् । করশ্বতকম্পিতশোভিতদওং তদপি ন মুঞ্চত্যাশাভাওন্ত্ৰ ॥ ১৫ ॥ ত্বরি ময়ি চান্তত্ৰৈকো বিষ্ণুর্ব্যৰ্থং কুপাসি মৰ্য্যসহিষ্ণু । সৰ্ব্বং পঞ্চাত্মন্তাত্মানং, সৰ্ব্বত্রোৎস্যজ ভেদজ্ঞানম্ ॥ ১৬ ॥ ষোড়শ পজৰাটিকাভিরশেষঃ, শিস্যাণাং কথিতোহভূপদেশঃ। যেষাং নৈষ করোতি বিবেকং, তেষাং কং কুরুতামতিরেকম্।। ১৭ ॥ যেমন মোহমুগের তেমনই মোহ কুঠারে সংসার-বন্ধন ছিন্ন করিবার উপদেশ দৃষ্ট হয় । সাধন-পঞ্চক, ধ্যানাষ্টক, কেীপীনপঞ্চক প্রভৃতি শঙ্করাচার্য্য-বিরচিত খণ্ড-কবিতাগুলি সংসারসমুদ্র-তরণের তরণী-স্বরূপ। ধ্যানাষ্টকে এবং কেীপীন-পঞ্চকে পরম-পদার্থের স্বরূপ তত্ত্ব তিনি কি ভাবে বুঝিয়াছিলেন, তাহ সংক্ষেপে বিবৃত করিয়া গিয়াছিলেন। দেহাদি অহঙ্কারভাব পরিত্যাগপুর্বক র্যাহারা আত্মাণ্ডে সেই আয়াবলোকন করেন, তাহারাই ভাগাবান,—এই শিক্ষাই শঙ্করাচার্য্যের সার-শিক্ষ। তাহার শিক্ষা,—মজ্ঞান-পঙ্ক-পরিমগ্ন দুঃখের নিদানভূত জন্ম-জরা-মরণ-সমাকুল এই অসার নশ্বর সংসারের মায়াবন্ধন যিনি জ্ঞান-অসি দ্বারা ছিন্ন করিতে পারেন, তিনিই ধন্ত । “অজ্ঞানপক্ষপরিময়মপেতসারং চুঃখালয়ং মরণ-জন্ম-জরাবসক্তম্। সংসারবন্ধনমনিত্যমবেক্ষ্য ধন্তু জ্ঞানাসিনা তদবশীৰ্য্য বিনিশ্চরন্তি ॥” শঙ্করাচাৰ্য্য ও ভুর্ভুহরি প্রভৃতির নামে প্রচলিত থওকবিতা-সমুহকে কেহ কেহ আবার অন্তের রচনা বলিয়া নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন । কবি শিহুলণ প্রভৃতির নাম এই উপলক্ষে উক্ত হইয়া থাকে । শিহুলণ—কাশ্মীর-দেশীয় পণ্ডিত । “শান্তিশতক’ গ্রন্থ ༤་་་་་་་་་་་། র্তাহার রচনা বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে। ধৰ্ম্মভাবোদীপক নীতিস্বত্রমূলক কবিতা-রচনায় ভারতে যে কত কবির কবিত্ব-প্রভা প্রকাশ পাইয়াছে, তাহার সংখ্যা করা যায় না। অনেক কবির কবিত্ব-কুমুম চির-প্রস্ফুটিত রহিয়াছে ; কিন্তু র্তাহাদের পরিচয় লোপ পাইয়া গিয়াছে। উদ্ভট আখ্যায় কত খণ্ড-কবিতা আজিও মুখে মুখে প্রচারিত রহিয়াছে ; কিন্তু তৎসমুদায়ের রচয়িতার সন্ধান কে করিবে ? একমাত্র এই বঙ্গদেশে খগু-কবিতা-রচনায় সংস্কৃত-সাহিত্যে কত কবি যশস্বী হইয়াছিলেন, তাহাও নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। মুসলমানগণের বঙ্গদেশে আগমনের অব্যবহিত পুৰ্ব্বে সাধুক্তিকর্ণামৃত” নামে সংস্কৃত-ভাষায় একখানি খণ্ড-কবিতা গ্রন্থ সঙ্কলিত হয় । ১২১৫ খৃষ্টাব্দে শ্ৰীধর দাস সেই গ্রন্থ সঙ্কলন করেন। ঐ গ্রন্থে ৪৪৬ জন কবির কবিতার কিছু কিছু উদ্ভূত হইয়াছিল। সেই কবিগণের অধিকাংশই বঙ্গদেশীয় । ‘শাঙ্গ ধরপদ্ধতি’ নামক আর এক সংগ্ৰহ-গ্রন্থে ছয় সহস্ৰাধিক শ্লোক সংগৃহীত হয়। সেই শ্লোকগুলি ২৬৪ জন কবির লিখিত। এই সংগ্ৰহ-কাৰ্য্য খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে সম্পন্ন হইয়াছিল বলিয়া সিদ্ধান্ত হয়। ইহার পর স্বভাষিতাবলী' নামক সংগ্রহ-গ্রন্থে বল্লভদেব ৩৫০ জন কবির ৩৫° • শ্লোক সংগ্রহ করেন । এ সকল সংগ্রহ ভিন্ন, .ইংরেজ রাজত্বের প্রারম্ভে একজন জার্মাণ পণ্ডিত, ডক্টর বোথলিং, কতকগুলি বাছাই বাছাই নীতিমূলক শ্লোক সংগ্ৰহ করিয়া জৰ্ম্মাণ ভাষায় অম্বুবাদিত করেন। তাহার সংগ্রহের অধিকাংশই অবস্ত পুরাশাদ শাস্ত্র-গ্রন্থ হইতে সঙ্কলিত হইয়াছিল। কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত সংগ্রহ-গ্ৰন্থসমূহ