পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যে-ইতিহাস । 8 & 9 ধৰ্ম্মহারা হইয়াই চুঃখের দহনে দীভূত হইতে হইতেছে। একটু স্থির চিহ্লে চিন্ত কপিলে সকলেই ইহ বুঝিতে পারেন ; আর তাহ হইতেই সমাজ কি ভাবে পরিচালিত হইলে সমাজের মুথসাধনে দুঃখবিনাশন হয়, বুঝা যায়। ফলতঃ, সমাজের সকল ভাব সকল অবস্থা চিরদিনই আছে । আলোর পার্থে আধার আর আঁধারের মধ্যে বিজলী-বিকাশ চিরদিনষ্ট দেখিতে পাওয়া ষায় । সুতরাং সমাজে এ ভাব ছিল, আর সে ভাব ছিল না,—ইহা কখনই সিদ্ধাস্ত হয় না । সমাজ সম্বন্ধে যাহা দেখি, রাজা, রাজ্য, রাজনীতি প্রভৃতি সম্বন্ধেও ত হই দেখিতে পাই। কুটরাজনীতিজ্ঞগণ চিরদিনই কুটনীতির অনুসরণ করিয়া আসিয়াছেন । পুরাণপরম্পরায়ও যুদ্ধ-বিগ্রহ ব্যাপারে কুটনীতির অমুসরণ দেখিতে পাই ; আৰাল, ཟ་རྒྱུ་ག་ কাব্য মহাকাব্য নাটক উপাখ্যান প্রভৃতির মধ্যেও তদ্বিধ চরিত্রে সেই ভাবই বিকাশমান । শকটারের ও চাণক্যের যড়যন্ত্রে নন্দ কংশের উচ্ছেদ সাধন হয়। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের উহা এক জীবন্ত উদাহরণ । মুদ্রারাক্ষসে ঐতিহাসিক চরিত্রের অবতারণায় যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের চিত্র অঙ্কিত দেখিতে পাই , পঞ্চতন্ত্রে, হিতোপদেশে, জীবজন্তুর উপাখ্যানে, সেই ছবিই প্রস্ফুট হইয়া আছে। স্বার্থের জন্ত সংসাব চিরদিনই যে ট্রলাখেল খেলিতেছে, ঐ সকল বিবরণে তাহারই আভাষ প্রাপ্ত হই। বাঙ্গ পানীর বর্ণনায় আধুনিক রাজধানীর বা প্রধান নগরের একটা প্রতিচ্ছবি প্রকটিত দেখি। নানা দেশের বণিকগণ বাণিজ্য-ব্যপদেশে রাজধানীতে সমবেত হইয়াছেন, বড় বড় জ হুবী ও শিল্পিগণ রাজধানীতে ব্যবসা আরম্ভ কবিয়াছেন ; হীরা, মাণিক, মুক্ত, স্বৰ্য্যকাস্ত, অল্পস্কান্ত প্রভৃতির ব্যবসায় চলিয়াছে ; বহুমূল্য প্রস্তরখচিত স্থবৰ্ণালঙ্কার প্রভৃতি প্রস্তুত ও বিক্রয় হইতেছে ; চন্দন, আত্বর প্রভৃতি মুগন্ধী দ্রব্যের বিপণী বসিয়াছে ; এবং কত দেশের কত সামগ্ৰী বিক্রয়ার্থ আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। এ সকল বিবরণ সমৃদ্ধিসম্পন্ন নগরেব, পবিচায়ক নহে কি ? নাটকে ‘শ্রেষ্ঠ-চত্বর’ নামক এক পণ্যশালার উল্লেখ দেখা যায় । সেখান বণিকগণ সম্মিলিত হইয়া পণ্যাদির বিলিবন্দোবস্ত কবিতেন । উহাকে কেহ কেহ বর্তমানকালের “এক্সচেঞ্জের সহিত তুলনা করিয়া থাকেন । টাকা সববলাঙ্গের অর্থাৎ আধুনিক ‘ব্যাঙ্কারের কাজও সে সময়ে নির্বাহিত হইত। রাজপথে জনতার অবধি ছিল ন । দিবসে ফেরভিয়ালাগণ ফেরি করিয়া ফিরিতেছে ; রাত্রে বারাঙ্গনাগণ রাজপথে বাঙ্গার দিয়া বসিয়াছে । এ সকল বর্তমানের কথাই স্মরণ ককাইয়া দেয় । অথচ, এ সকল সে কালের প্রতিচিত্র। উজ্জয়িনী রাজধানীর বর্ণনায়ু মৃচ্ছকটিকে এক সন্ধ্যাকালের কি বীভৎস চিত্রই দেখিতে পাই! সে বর্ণন আধুনিক রাজধানীর বারাঙ্গনা-পল্লীর বীভৎসতাকেও হারি মানাইয় দেয়। সহরে জুয়ার আড্ডা আছে, শোণ্ডিকালয় আছে ; রাজপথে ধনিগণ গাড়ীঘোড়া চড়িয়া বেড়াইতেছেন ;–এবম্বিধ বিবিধ চিত্রই তত্তৎস্থানে দেখিতে পাই । আবার তুরস্ক সুলতানের রাজ্যে, পারস্তে ও চীনে ব্যবসা-বাণিজ্য চলিয়াছে ; বিদেশের পণ্য এদেশে আদিতেছে, এদেশের পণ্য বিদেশে যাইতেছে,–এবম্বিধ বিবরণেরও অসম্ভাব নই। ফলতঃ, আধুনিক সভা-স্যু রাজধানী-সমূহে ষে সকল ব্যাপার প্রতিনিয়ত সঙ্ঘটিত হয়, তাহার . এায় সকলই সমসাময়িক চিত্রে দেখিতে পাই। কেবলই যে কৰ্ম্মকোলাহলে জনসাধারণ