পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৮৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । షిరిపే প্রদেশ গয়েসউদ্দিন পুনরধিকার করিয়া লন। আলতামাস বিহারে যে শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়া যান, গয়েসউদ্দিন কর্তৃক তাহার উচ্ছেদ সাধিত হয়। কুড়ি বৎসর পরে মিনহাজ উদ্দিন এই ঘটনা লিপিবদ্ধ করিয়া যান। সুতরাং তাহার বর্ণনা সমসাময়িক ঐতিহাসিকের বর্ণনা বলিয়া সমাদৃত হইয়া থাকে। বঙ্গের বাহুবলের আর একটা বিবরণ মিনহাজ উদ্দিন লিপিবন্ধ করিয়া গিয়াছেন। সে ঘটনা ১২৪২-১২৪৩ খৃষ্টাব্দে সংঘটিত হয়। গৌড় বা লক্ষ্মণাবতীর তাৎকালিক শাসনকৰ্ত্তা আজা-উদ্দিন তোঘন খণ ( মালিক-ইচ্ছুদিন-তুঞ্জিল-ই-তুঘান-খী ) অযোধ্যার নিকটবৰ্ত্তী কাড়া-সীমান্ত পৰ্য্যন্ত সৈন্য পরিচালনা করিয়া গিয়াছিলেন । তাহার নৌবলে ও বাহুবলে অন্ততঃ কিছুদিনের জন্যও ঐ পর্য্যন্ত বাঙ্গালার প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল। ঐতিহাসিক মিনহাজ উদ্দিন দিল্লী হইতে যাত্রা করিয়া পথে বঙ্গাধিপতির সহিত যোগদান করেন। ঐতিহাসিকের পরিদৃষ্ট ঘটনাই গ্রন্থে পরিবর্ণিত রহিয়াছে। এতদ্বিবরণে বঙ্গদেশীয় মুসলমানগণের নৌবলের বাহুবলের পরিচয় পাইলেও, বাঙ্গালী হিন্দুর কোনও বিশেষ কৃতিত্বের উল্লেখ দেখিতে পাই ন। বঙ্গাধিপতির পক্ষ অবলম্বন করিয়া যে সকল হিন্দু তখন যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, মুসলমান ঐতিহাসিককে তাহদের সম্বন্ধে নীরব দেখি। তবে কি মুসলমানগণের বঙ্গদেশপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বাঙ্গালার সমস্ত বীরত্ব সমস্ত বাহুবল লোপ পাইয়াছিল ? নাতাহা কখনই নহে। পরবর্তী কয়েকটা ঘটনার আলোচনায় সে বিষয় স্বতঃই হৃদয়ঙ্গম হুইবে । ১২৭৭ খৃষ্টাব্দে সুলতান মোজিস উদ্দিন তুগরিল র্থ লক্ষ্মণাবতীর সিংহাসন লাভ করেন । ত্রিপুরার অন্তর্গত জাজনগর প্রভৃতি কয়েকটা স্থান অধিকার করিয়া, বলদৰ্পে দপিত হইয়া, তিনি দিল্লীর সম্রাটের সহিত সম্বন্ধ-স্বত্র ছিন্ন করিয়া দেন। ফলে, ১২৮১ খৃষ্টাবো, সুলতান গয়েসউদিম বলবন, অযোধ্যা-প্রদেশের হিন্দু-মুসলমানের মধ্য হইতে, দুই লক্ষাধিক সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়া, লক্ষ্মণাবতী অভিমুখে অগ্রসর হন। তুগরিলু খী, লক্ষ্মণাবতী পরিত্যাগ করিয়া জাজনগরে পলায়ন করেন । রাজকোষের সমুদায় অর্থ এবং রাজধানীর সমস্ত সৈন্যদল তাহার সঙ্গে তিনি লইয়া যান । পশ্চাদমুসরণ করিয়া, অনেক দূর পর্য্যস্ত গিয়াও বলবন তাহাকে ধরিতে পারেন না ; পরন্তু তুগরিল র্থ বিদ্রোহী হইয়া নানারূপ উপদ্রব আরম্ভ করেন । সেই সময়ে, সেন-বংশের অন্যতম বংশধর রাজা দকুজমাধব রায় সোনারগায়ে ( সুবর্ণগ্রামে ) স্বাধীন নৃপতি বলিয়া পরিচিত ছিলেন । তুগরিল দ্বার সম্রাটের নৌবাহিনী সোনারগার সন্নিকটে উপস্থিত হইলে, দনুজ রায়ের দম্বুজ রায়ের সহিত সম্রাটু সন্ধি-সৰ্ত্তে আবদ্ধ হইলেন। সম্রাটের রণতরীীি" সমূহ তুগরল খার পলায়নে বাধা-প্রদানে অসমর্থ ছিল। রাজা দনুজ রায়ের সহিত সন্ধি হওয়ায় তাহার সে অভাব বিদূরিত হইল। রাজা দনুজ রায় একাই তুগরল খাকে দমন করিবার তার গ্রহণ করিলেন। বাঙ্গালী দম্বুজ রায়ের বাহুবলে তুগরল খী পরাজিত ও নিহত হন। প্রসিদ্ধ মুসলমান ঐতিহাসিক জিয়া-উদ্দীন বাণি তৎপ্রণীত তারিখ-ই-ফিরোজসাহি’ গ্রন্থে রাজা দম্বুজ রায়ের এবম্বিধ কৃতিত্বের বিষয় লিখিয়া গিয়াছেন। তুগরিল র্খ যদি সমুদ্রপথে পলায়ন করিবার চেষ্টা করিতেন, দদুজ