পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৬ ভারতবর্ষ । বলিতে ‘কুঞ্জর-বৎ’ পদে গমন না বুঝাইয়া মন্থর-গমন বুঝায়। দ্বীপ, চর প্রভৃতি শব্দান্তক গ্রামের নাম দেখিয়াও তৎসমুদায়কে সমুদ্রমধ্যস্থিত দ্বীপ বা চর বলিয়া সিদ্ধাত্ত DS BBBS BBSBBS B SBBBBS BBBBB BBSBBB BB BBS BBBB BBBS বাস্তবিকও তাই। দ্বীপ, চর প্রভূতি যুক্ত যে সকল গ্রাম-নগর দেখিতে পাই, সেগুলি নদীর পাশ্বস্থিত জল-পরিবেষ্টিত গ্রাম-নগর ছিল, সম্ভব হইতে পারে ; কিন্তু সমুদ্র-মধ্যগত গ্রামনগর ছিল বলিয়া মনে হয় না। পদ্ম প্রভৃতি নদীর কিনারাস্থিত বা মধ্যবৰ্ত্তী চর’ বা ‘দ্বীপ' সৰ্ব্বদাই গঠিত হইতেছে, তাহাতে যে গ্রাম বা নগর গঠিত হয়, তাহার দুই একটর নামে 'চর' বা ‘দ্বীপ’ শব্দ সংযুক্ত থাকিতে পারে। কিন্তু দ্বীপ বা 'চর' সংযুক্ত ঐসকল স্থান দেখিয়া কালে যদি কেহ অনুমান করেন,—ঐগুলি সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত ছিল ; তাহাই কি মানিয়া লইতে হইবে ? অন্যপক্ষে আবার, সমুদ্রগর্ভস্থিত অধিকাংশ দ্বীপের বিষয় অনুধাবন করিয়া দেখুন ; বুঝিতে পারিবেন,—সেগুলির নাম প্রায়ই দ্বীপান্তক নহে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপের সমষ্টিতে যে দ্বীপপুঞ্জ গঠিত হয়, তাহাদেরও প্রত্যেকের এক একটি স্বতন্ত্র নাম আছে ; সে সকল নামের সহিত দ্বীপ-শব্দের কচিৎ সংশ্রব দৃষ্ট হয়। এইরূপ, দহান্তক পল্লীর নাম দেখিয়া, সে পল্লী সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত ছিল মনে করিতে গেলে, বিষম গণ্ডগোলে পড়িতে হয়। তাহাতে, বৃন্দাবন পৰ্য্যন্ত সমুদ্রগর্ভে প্রোথিত ছিল স্বীকার করিতে হয় ; কারণ, বৃন্দাবনে আজিও ‘কালীদহ’ চিহ্নিত হইয়া থাকে। কালীদহ অর্থাৎ দহান্তক স্থান যখন ছিল,তখন নিশ্চয়ই সমুদ্র ছিল বলিব কি ? এবম্বিধ যুক্তি যে একান্ত অন্তঃসারশূন্ত, তাহা বলাই বাহুল্য। একটু সামান্য চিন্তা করিলেই দ্বীপান্তক, চরান্তক, দহান্তক গ্রামনগর-সমূহের উৎপত্তি-তৰ অন্যদিক দিক দিয়াও নিৰ্দ্ধারিত হইতে পারে। এখন যে কারণে পুৰ্ব্ববঙ্গের পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদনদীর প্রবাহান্তবর্তী স্থানসমূহে চর’ ‘দ্বীপ প্রভৃতি শব্দসংযুক্ত পল্লী-সূচনা হইতেছে, পশ্চিম-বঙ্গেও সেই কারণে ঐ সকল শব্দসংযুক্ত গ্রাম-নগরাদির স্বষ্টি হইয়াছিল বলিতে পারি। একটী বিষয় স্মরণ করিলেই এ তথ্য নির্ণীত হইতে পারে। গঙ্গার প্রধান স্রোত পূৰ্ব্বে পশ্চিমবঙ্গ দিয়া প্রবাহিত ছিল, ইহা অবিসম্বাদিরূপে প্রতিপন্ন হয় । কিছুকাল পুৰ্ব্ব হইতে ঐ স্রোত পূৰ্ব্ববঙ্গাভিমুখে প্রবাহিত ও পদ্ম নামে পরিচিত হইয় পড়িয়াছে। এখন যে জলপ্রবাহের প্রভাবে পূৰ্ব্ববঙ্গে ‘চর’ ‘দ্বীপ’ ‘দহ’ প্রভূতি শব্দান্তক পল্লীর উদ্ভব হইতেছে, যখন ঐ প্রধান-শ্রোত পশ্চিমবঙ্গ দিয়া প্রবাহিত ছিল, পশ্চিমবঙ্গে তখন যে ঐ রূপ সংজ্ঞা-সংযুক্ত নগর-গ্রামের উদ্ভব হইবে, তাহাতে আর বিচিত্র কি ? তাহার পর, নদীর ভাঙ্গনের মুখে পড়িয়া নগরের যে অবস্থাত্তর ঘটে, তাহ কাহারও অবিদিত নাই। এক নবদ্বীপের দৃষ্টাস্তেই এ কথা বুঝান যাইতে পারে। কিছুকাল পূৰ্ব্বে নবদ্বীপের পশ্চিমে গঙ্গাস্রোত প্রবাহিত ছিল ; এখন পূৰ্ব্বদিক দিয়া সে স্রোত প্রবাহিত। নগরের নাম যথা পূৰ্ব্বং তথা পরং অপরিবর্তিত ; কিন্তু অবস্থান অন্তরূপ দাড়াইয়াছে। প্রাচীন অনেক মগরেরই এইরূপ স্থান-পরিবর্তন দেখা যায় বটে ; কিন্তু তাহাতে আধুনিকত্ব প্রতিপন্ন হয় না, বা সাগর-গর্ত হইতে সহসা সমুখিত হইল বলিয়া ও মনে হয় না। এইরূপ আর আর যে সকল যুক্তিত্ত্ব অবতারণায় ৰঙ্গদেশের