পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । &ፃ¢ কবিতা রচনায় যশস্বী হইয়াছিলেন । এই সকল বিষয় আলোচনা করিয়া, পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ সাধারণতঃ সিদ্ধান্ত করেন যে, খৃষ্টীয় প্রথম বা দ্বিতীয় শতাব্দীতে ভারতে কাৰ্যসাহিত্যের অন্ধুরোদগম হয়,—খুষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে কালিদাস প্রভৃতির আবির্ভাবে কবিত্ত্ব ক্ষুৰ্ত্তিলাভ করে। এ হিসাবে সংস্কৃত-সাহিত্যে কবিত্বের ক্রম-বিকাশের ইতিহাস ९्रौग्घ्नः अंश् শতাব্দী হইতে ষষ্ঠ শতাব্দী পৰ্য্যস্ত ধরা হইয়া থাকে। অধ্যাপক ম্যাক্সমুলার যদিও শাস্ত্রগ্রন্থাদির প্রাচীনত্ব-বিষয়ে অন্যমত পোষণ করেন ; কিন্তু সংস্কৃত-সাহিত্যের দ্বিতীয় স্তরের কাব্য.a, মহাকাব্য-সমূহের উৎপত্তি-বিষয়ে তাহার মত প্রোক্ত মতেরই অনুসারী। ক্রমবিকাশ তিনি বলেন,—‘পৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে সংস্কৃত-সাহিত্য পুনৰ্জ্জীবন লাভ *" করে। শকগণের (সিদীয়গণের) এবং অন্যান্য বৈদেশিক জাতির পুনঃপুনঃ আক্রমণের ফলে, খৃষ্টীয় প্রথম দুই শতাব্দীতে ভারতবর্ষে সংস্কৃত-সাহিত্যের চর্চা একেবারে লোপ প্রাপ্ত হইয়াছিল । খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে উজ্জয়িনীর অধিপতি বিক্রমাদিত্যের পৃষ্ঠপোষণে কালিদাস প্রমুখ কবিগণের অভু্যদয় হয়।’ তাহার মতে ৫৭ পূর্ব-খৃষ্টাব্দ হইতে বিক্রম-শকের গণনা ধরা হইয়াছিল বটে, কিন্তু ৫৪৪ খৃষ্টাব্দ হইতে বিক্রম-শকের প্রচলন হয় । বলা বাহুল্য, মিষ্টার ফাগুসান এই মত প্রথম প্রচার করেন। তিনি বলেন,— “উজ্জয়িনী-রাজ বিক্রমাদিত্য খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগে ( ৫৭ পূৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দে নহে ) শকদিগকে ভারতবর্ষ হইতে বিতাড়িত করিয়াছিলেন । এই ঘটনার স্মরণার্থ ছয় শত বৎসর পূৰ্ব্ব হইতে গণনা করিয়া বিক্রমাদিত্য শকাব্দের প্রবর্তন করেন। উজ্জয়িনীর রাজ গণের একটী বংশাবলী সংগ্ৰহ করিয়া প্রধানতঃ তাহা হইতেই ফাগু সান এই সিদ্ধান্তে উপ নীত হইয়াছিলেন। তবে, পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণের মধ্যেই এ বিষয়ে এখন নানারূপ বিতর্কবিতণ্ড চলিয়াছে। ফাগু সান ও ম্যাক্সমুলার প্রভৃতির যুক্তির প্রতিবাদে, বুলার, ফ্লৗট, ম্যাকৃডোনেল প্রমুখ পণ্ডিতগণ খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে বিক্রমাদিত্যের বিদ্যমানতার বিষয় উড়াইয়া দিতেছেন। পরন্তু খৃষ্টীয় প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীতে সংস্কৃত-সাহিত্যের চর্চা যে লোপ পায় নাই, তাহাই তারস্বরে ঘোষণা করিতেছেন। এ সকল বিষয়ে তাহাদের যুক্তি নিয়ে প্রকটিত হইল। গির্ণরে এবং নাসিকে গুপ্তরাজগণের প্রচারিত যে দুই গদ্য খোদিতলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার দ্বারাই ঐ সময়ে সংস্কৃত-ভাষার চর্চার বিষয় প্রতীত হয় ১ আরও, শকগণ ভারতবর্ষের পঞ্চমাংশ মাত্র অধিকারভুক্ত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন ; তাহাতে ভারতবর্ষে সংস্কৃত-সাহিত্যের চর্চার কোনই বিঘ্ন ঘটে নাই। শকগণের রাজত্ব পূৰ্ব্ব-সীমায় মাত্র মধুর পর্য্যন্ত বিস্তুত হইয়াছিল ; আর, পঞ্জাব, সিন্ধুদেশ, গুজরাট, রাজ পুতানা ও মধ্যভারতের কিয়দংশ মাত্র উহাদের অধিকারে আসিয়াছিল। অধিকন্তু তাহার। শীঘ্রই হিন্দুভাবাপন্ন হইয়া পড়িয়াছিলেন। এক বংশ পরে তাহার প্রায়ই ভারতীয়নামে পরিচিত হন। এক জনের নাম উল্লেখ করিতেছি। সেই নৃপতির বিজয়-বাওঁ। সংস্কৃত ও প্রাকৃত মিশ্রিত একখানি খোদিত-লিপিতে প্রাপ্ত হওয়া যায়। তাহাতে উtহার নাম উষভদত্ত' বা সংস্কৃত ‘ঋষভদত্ত’ রূপ লিখিত আছে। কনিক্ষ বা কনিষ্ক নামেও উহাতে India : What can it teaches us By Prof. Max Muller.