পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৬ ভারতবর্ষ । ভারতের প্রভাব "দেখা যায়। তিনি এবং তাহার উত্তরাধিকারিগণ বৌদ্ধধর্শ্বের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । র্তাহীদের রাজত্বকালে মথুরায় ভারতীয় স্থাপত্য-শিল্পের যথেষ্ট BB BBB BBS BBBB BBBBBB BBB BBBB BBBS BBB BB BBBB বিবিধ শ্ৰীবৃদ্ধি-সাধনে রত থাকিয়া, তাহারা যে সার-ভারতের সংস্কৃত সাহিত্যের উন্নতির পথ রুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন, ইহা কোনক্রমেই মনে হইতে পারে না । ৫৭ পূৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দের বিক্রম-শক ৫৪৪ খৃষ্টাব্দে স্থাপিত হইয়াছিল বলিয়া ও মনে করা সঙ্গত নহে । কারণ, মালবশক নামে একটা শকাব্দের অস্তিত্ব উক্ত খৃষ্টাব্দের এক শতাব্দী ধূৰ্ব্বে প্রচলিত ছিল প্রতিপন্ন হয় । সেই শক ৮০০ খৃষ্টাব্দ হইতে বিক্রম-শক নামে পরিচিত হইয়াছে। ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগে শকগণ যে ভারতবর্ষ হইতে বিতাড়িত হইয়াছিলেন, তাহাও সপ্রমাণ হয় না । কারণ, উহার শতাধিক বৎসর পূর্ব হইতে গুপ্ত-নৃপতিগণ পশ্চিম-ভারতে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন । আরও এক কথা, ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথমার্থে ‘হুণ’ অভিধেয় বৈদেশিক আক্রমণকারিগণ পশ্চিম-ভারত হইতে বিতাড়িত হন বটে ; কিন্তু তাহাতে বিক্রমাদিত্যের কোনও সম্বন্ধ নাই। যশোধৰ্ম্মন বিষ্ণুবৰ্দ্ধন নামধেয় নৃপতি শক-গণকে বিতাড়িত করিয়াছিলেন, ইতিহাসে ইহাই সাক্ষ্য পাওয়া যায়। এইরূপে, খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে বিক্রমাদিত্যের বিদ্যমানত অসিদ্ধ হয় ;-ধন্বন্তরি, ক্ষপণক, অমরসিংহ, বরাহমিহির, বররুচি প্রভৃতি নবরত্বের রত্ন-সমূহেরও কাল-নির্দেশে অন্তরায় ঘটে। নবরত্ন-সংক্রাপ্ত উদ্ভট শ্লোক খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর রচনা বলিয়া বুঝা যায়। যখন খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে উজ্জয়িনী-রাজ বিক্রমাদিত্যের বিদ্যমানতাই প্রতিপন্ন হয় না, তখন ঐ সময় নবরত্বের অস্তিত্ব কল্পনামাঞ্জে পর্য্যবসিত হয় । এবং প্রকার বিতর্ক-বিতণ্ডার পর, শেষোক্ত পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণ কালিদাস প্রভূতিকে খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর কবি বলিয়। নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন ; এবং খৃষ্টীয় শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে ভারতে কবিত্বের বিকাশ আরম্ভ হইয়াছে বলিয়া প্রচার করিয়াছেন । বরাহমিহির, হরিসেন প্রভৃতির প্রসঙ্গে এবং প্রশস্তিমূলক লিপি প্রভৃতির আবিষ্কারে, খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর অব্যবহিত পূৰ্ব্বে ভারতে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষণে সংস্কৃত-কবিতা বিকাশপ্রাপ্ত হইয়াছিল,—ইহাই তাহাদের সিদ্ধান্ত । প্রাচীন ভারতের অতীত-গৌরবের স্পৰ্দ্ধার সামগ্রী যাহ। কিছু আছে, প্রায় সকল বিষয়েই এইরূপ বাদ-প্রতিবাদ মতান্তর দেখিতে পাই। অপরের অতীত-গৌরবে ঈর্ষাম্বিত saac হইয়াই হউক, আর যে কারণেই হউক, এক শ্রেণীর প্রত্নতত্ত্ববিৎ ভারতের বিষয়ে গৰ্ব্ব থৰ্ব্ব করিবার জন্য যেন বদ্ধপরিকর আছেন । র্যাহারা সন্ধুদ্দেশ্য****' প্রণোদিত, তাহারাও অনেক সময় ভ্রান্তবুদ্ধি-পরিচালিত হইয় থাকেন । অধিকাংশ বিষয়েই যখন ভ্রম-প্রমাদ দেখিতে পাই, তখন ভারতে কবিত্ব-স্ফূর্তি বিষয়ে— ধ্যান-ধারণার অনতিক্রম্য বিষয়ে--যে নানা বিভ্রম উপস্থিত হইবে, তাহাতে আশ্চর্য্য কি ? পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণ বার্তাহাদের অনুসরণকারিগণ যে ভাবে ভারতে কবিত্ব-স্ফূৰ্ত্তির বিষয় বিবৃত করিয়া গিয়াছেন, যুক্তি-তর্কের সামান্য হিল্পোলে সে ভিত্তি ঢলিয়া পড়ে। ভারতে ক্ষৰিত্ব-ক্ষপ্তি বিষয়ে উহাদের যুক্তিব প্রধান উপাদান-প্রশস্তিমূলক লিপিফলক প্রভৃতি।