পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । wo) . So মান হওয়ার বিষয় অনুভূত হইতেছে ; পরস্তু নায়িকার দীর্ঘনিশ্বাসের প্রসঙ্গে,বসন্ত-সমাগমে মলয়-বায়ু সঞ্চারে প্রেমিক-প্রেমিকার অনুরাগ-বৃদ্ধির ভাব বুঝাইতেছে। এইরূপ বসন্তবর্ণনাসংক্রান্ত প্রতি শ্লোকটর মধ্যেই নানা ভাব মান উপমা সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে । কণিকার পুষ্প শোভার আধার—নয়ন প্রীতিকর ; কিন্তু তাহাতে সদগন্ধের অভাব । সেই বর্ণনায় কবি কেমন একটা নিত্য-সত্য কীৰ্ত্তন করিয়া গেলেন ; কহিলেন,—“প্রায়েণ সামগ্র্যবিধেী BBBB BBBB BBBB BBB S BBBSBBB BBB BBB BBB BBBtS সম্পন্ন করিয়া স্বষ্টি করেন নাই।’ চন্দ্রে কলঙ্ক আছে, অমৃতে হলাহল আছে,—বিধাতার স্বষ্টির ইহাই মূল নীতি। যাহা হউক, এই চিত্তচাঞ্চল্যকর বসন্ত-সমাগমে মহাযোগী মহেশ্বর কিরূপ অচঞ্চল ছিলেন, একটা শ্লোকে কবি কেমন সুন্দর বুঝাইলেন । শ্লোকটি এই,— “অকৃষ্টিসংর স্তমিবাক্ষুবtহমপা মিব{ধারমকুত্তরঙ্গম । অন্তশ্চরাণাং মরুতাং নিরোধান্নিবাতনিষ্কম্পমিব প্রদীপম ॥” বসন্ত-সমাগমে প্রকৃতি যতই চঞ্চল হউক, কিন্তু মহাদেব অচঞ্চল । তাহার দেহমধাস্থিত বায়ু-প্রবাহ নিরুদ্ধ। তিনি যেন বৃষ্টির আড়ম্বরশূন্য মেঘ, তিনি যেন তরঙ্গবিরহিত পয়োনিধি, তিনি যেন বায়ুশূন্যস্থানে অবস্থিত নিষ্কম্প প্রদীপ । যোগাসনে সমাসীন অবস্থা— এ উপমায় কি সুন্দর অভিব্যক্ত । কুমাবসস্তবের তার এক প্রধান বর্ণনীয় বিষয়—রতিবিলাপ। মহাদেবের রোষানলে মদন ভস্মীভূত হইলে, পতিশোকাতুর রতির খেদোক্তি বড়ই মৰ্ম্মস্পর্শী। পতি-বিরহে চিত রচনার প্রার্থন জানাইয়া পতি-শোকাতুর রতি কি অকুল ভাব প্রকাশ করিয়াছেন । বসন্তকে সম্বোধন করিয়। রতি বলিতেছেন,— “শশিনা সহ যাতি কৌমুদী সহ মেদেন তড়িৎ প্রলীয়তে । প্রমদাঃ পতিবয়গা ইতি প্রতিপন্নং বিচেতনৈরপি ॥” * অর্থাৎ,—‘জ্যোৎস্ব চন্দ্রের সহিত, সৌদামিনী মেঘের সহিত তিরোহিত হয়। অচেতন বস্তুবৃন্দও এই নিয়মের অধীন। পতির অসুগমন করাই আমার একান্ত কৰ্ত্তব্য।’ এই বলিয়া রতি চিত-রচনার জন্য পুনঃপুনঃ আগ্রহ প্রকাশ কfরতে লাগিলেন । আরও কহিলেন,— 'হে ঋতুরাজ ! তুমি কুসুম-শয্যা প্রস্তুত করিয়া দিয়া আমাদের আনন্দের সহায়তা করিয়৷ অগসিয়াছ । এখন কুত্তাঞ্জলিপুটে প্রার্থনা করিতেছি,—তুমি চিত রচনা করিয়া দিয়া, সেই আনন্দ প্রদান কর । মদন আম৷ ভিন্ন সুখী হইবেন না । ইহার পর, পাৰ্ব্বতীর তপশ্চারণা, বিবাহ-সম্বন্ধ, শিব-সহ মিলন—প্রতি চিত্রই জীবন্ত, জ্বলন্ত, দিব্য-প্রভ{{<শিষ্ট । মহদেবকে লাভ করিবার জন্য পাৰ্ব্বতী কি কঠোর তপশ্চারণাই করিয়াছিলেন । গ্রীষ্মে চতুঃপাশ্বে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করিয়া সূর্য্যের প্রতি একদৃষ্টে চাহিয়া থাকিতেন । প্রাবৃটের প্রবল বর্ষণ • জনৈক ইংরেজ লেখক কালিদাসের এই শ্লোকটী এক্টরূপভাবে অমুবাদ করিয়াছেন, “After the Lord of Night the moon-light goes, Along with the cloud the lightening is dissolved, Wives ever follow in their husband's path, Even things beleft of sense obey this law.”