পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । శ్రీ ది స్ప్రి আক্রমণ করে । বাণাঘাতে সেই বরাহ নিহত হয় । অৰ্জ্জুন এবং কিরাত-বেশী মহাদেব উভয়েই বরাহের প্রতি বাণ-নিক্ষেপ করিয়াছিলেন । কিন্তু কাহার বাণে বরাহ নিহত হইল, তখন এই বিতর্কে বিবাদ বাধিল । কিরাত-বেশী মহাদেব কহিলেন-এ বরাহ আমার বাণে বিদ্ধ হইয়। নিহত হইয়াছে।’ অৰ্জ্জুন কিন্তু তাহ৷ স্বীকার কুরিলেন না । এই স্বত্রে পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হইল । যুদ্ধে প্রতি পদে অর্জুনের বীরত্ব প্রকাশ পাইল । মহাদেব সে বীরত্বে বিস্মিত হইলেন । র্তাহার আরাধনায় প্রবৃত্ত হইয়া, তাহার নাম স্মরণে, অৰ্জুন যে বীরত্ব দেখাইঙ্গেন, মহাদেবের তাহাতে আনন্দের অবধি রহিল না । তিনি সস্তুষ্ট হইয়া অৰ্জুনকে ‘পাশুপত অস্ত্র প্রদান করিলেন । সেই অস্ত্র-সাহায্যেই অর্জুন উত্তর-কালে পাণ্ডবগণের নষ্ট-রাজ্য নষ্ট-গৌরব পুনরুদ্ধার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। কিরাতার্জনীয়? মহাকাব্যের ইহাই গল্পাংশ। এই কাব্যের মধ্যে অর্জুনের তপস্যার এবং তাহার প্রতি ছলনা প্রভৃতির বর্ণনা অতুলনীয়। অর্জুনের তপস্যায় ও র্তাহার তপোভঙ্গের চেষ্টায় ‘কুমার-সম্ভবের পাৰ্ব্বতীর তপস্যার ও তপোভঙ্গের চেষ্টার যদিও ছায়াপাত দেখিতে পাই ; কিন্তু ভারবির এ বর্ণনার মৌলিকত্ব কখনই স্মৃতিপট হইতে বিলুপ্ত হইবার মহে । ভারবির হিমালয়-বর্ণনা ও শরদ্বর্ণনা--স্বাভাবিক ও মনোহর। তিনি হিমালয়-শিখরে বসিয়া এই মহাকাব্য প্রণয়ন করেন বলিয়া কিংবদন্তী অাছে। বর্ণনায় তাহার প্রত্যক্ষ-দর্শনের বিষয়ই উপলব্ধি হয় । গুরুগৃহে অবস্থান-কালে, গুরুর হোমধেনু রক্ষার ভার গ্রহণ করিয়া, ভারবি প্রতি দিন হিমালয়-পাদমূলে গোচারণ করিতে যাইতেন। সেই o সময় ভারতের অতীত ইতিহাসের কথা তাহার স্মৃতি-পটে প্রতিভাত হইত। ধেনু-সকল ইতস্ততঃ আহারে প্রবৃত্ত হইলে ভারবি নিভৃতে শৈলশৃঙ্গে উপবেশন করিয়া ভূৰ্জপত্র লইয়া কবিতা লিখিতেন। সেই কবিতা-সমষ্টি পরিশেষে "কিরাতর্জনীয় মহাকাব্যে পরিণত হয় । হিমালয়ের বর্ণন যে র্তাহার কাব্যে এত সুন্দর পরিস্ফুট, প্রত্যক্ষ দর্শনই তাহার কারণ । ভারবি ভাষাসম্পদে ও শব্দ-সম্পদে অসাধারণ BBBBB BBBB S BBBBS BB BBBB uBB BBBS BB BB BBB uBBB S "কিরাতার্জনীয় মহাকাব্যে তিনি কত প্রকার ছন্দোবন্ধের সমাবেশ করিয়া গিয়াছেন, এবং তাহাতে র্তাহার যাদৃশী শক্তি প্রকাশ পাইয়াছে, তাহা তাহার অসাধারণ পাণ্ডিত্যের পরিচায়ক । কয়েকট দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিতেছি ; তাহাতে শব্দে ও ভাষায় কবির কতছুর অধিকার ছিল, কতকটা উপলব্ধি হইবে। "একাক্ষর’ ও একাক্ষরপাদ ছন্দে যথাক্রমে সম্পূর্ণ শ্লোকে এক অক্ষর এবং শ্লোকের এক এক পাদে এক এক অক্ষর ব্যবহৃত । দৃষ্টান্ত,— “ন নোমফুন্নোকুন্নোনোনান। নানাননানয় । কুন্নোইকুন্নোনকুঞ্জেনোনানেনাতুল্লমুল্লকুৎ ॥” ইহা একাক্ষর শ্লোক। একমাত্র “ন’ বর্ণের সংযোগে এই শ্লোক বিরচিত । এই শ্লোকের সকলই “ন’ ; শেষে একটা মাত্র ‘ৎ’ ৷ একাক্ষ রপাদ শ্লোকের প্রতি পাদে এক এক অক্ষর,— “স সাসিঃ সাসুস্থঃ সাসোয়েয়ায়েয়ায়য়ায়য়ঃ । ললে লোলাং ললোছপোলঃ শশীশশিশুশীঃ শশন ৷”