পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - তৃতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, 2ीक्षश-७ । Σ ΑΝ একাৰ্ণবত্ব এবং বীজ রূপে সংসারের অবস্থিতি প্ৰভৃতির বিষয় পরিবর্ণিত হইয়াছে। ফলতঃ, সপ্ত-সুৰ্য্যের অগ্নিবৰ্ষাঁ তেজে পৃথিবীর ভস্মীভূত হওন এবং প্ৰলয়-কালীন জলপ্লাবনে পৃথিবীর ধ্বংস-সাধন, দুই বিষয়ই প্রোক্ত অংশে দেখিতে পাওয়া যায়। মহাভারতের বনপর্বের ও দুইটী অধ্যায়ে এই দুই বিষয় লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। সপ্তাশীত্যধিক শততম অধ্যায়ে বৈবস্বত মনুর ও মৎস্যবিতার প্রসঙ্গে জলপ্লাবন, মনু, তাহার নৌকা ও সৃষ্টির বীজ-রক্ষার বিষয় বর্ণিত আছে। আবার অষ্টাশীত্যধিক শততম অধ্যায়ে মার্কণ্ডেয়-নারায়ণ সংবাদে সপ্ত-সুৰ্য্যের খরকরতাপে সংহারের ভীষণ বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায়। সে বর্ণনার কিয়দংশ,- “সেই সহস্ৰ চতুযুগের অবসানে লোকের আয়ুঃক্ষয় সময়ে বহু বৎসর কাল অনাবৃষ্টি হইবে। ••• তাহাতে ভূয়িষ্ঠ প্ৰাণিবর্গ অল্পসার ও ক্ষুধিত হইয়া পৃথিবীতে সংহার প্রাপ্ত হইতে লাগিল। তদনন্তর সপ্ত-সুৰ্য্য উদিত হইয়া সরিৎ ও সরিৎ-পতির সমস্ত সলিল শোষণ করিতে থাকি ল । শুষ্ক বা আদ্ৰ যে কিছু তৃণকাষ্ঠ সকলই ভস্মীভূত দৃষ্ট হইতে লাগিল। তৎপরে বায়ুর সহিত সংবৰ্ত্তক বহি আদিত্য কর্তৃক পূৰ্ব্ব-শোষিত পৃথিবী-মধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন।--সেই অগ্নি অধঃস্থলে, নাগলোকে ও পৃথিবীতলে যে কিছু বস্তু ছিল, তৎসমুদায় ক্ষণমধ্যে দগ্ধ করতঃ বিনষ্ট করিয়া ফেলিল। সহস্ৰ যোজন এই জগৎ সেই অশুভ বায়ু সহ সংবৰ্ত্তি-বহ্নিত কর্তৃক দগ্ধ হইয়া গেল। সেই প্ৰদীপ্ত বিভু বহিদেব-অসুর, রক্ষ, গন্ধৰ্ব্ব, যক্ষ, উরাগ ও রাক্ষসগণের সাহিত সমুদায় জগৎ একেবারে দগ্ধ করিয়া ফেলিল।” মৎস্য-পুরাণের দ্বিতীয় অধ্যায়েও এই একই প্রকার উক্তি দৃষ্ট হয়। সেখানে মৎস্ত কহিতেছেন,-“অন্য হইতে মহীমণ্ডলে এক শত বৎসর শর্য্যন্ত অনাবৃষ্টি হইবে। অনাবৃষ্টির ফলে অচিরেই ঘোর তুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। অনন্তর দিবাকরের সুদারুণ সপ্ত-রশ্মি প্ৰতপ্ত অঙ্গার-রাশি বর্ষণ করতঃ ক্রমশঃ প্রাণিগণের সংহার-সাধন করিবে । যুগ-ক্ষয়ের উপক্রম বাড়াবানল বিকৃত হইবে । ইত্যাদি।” এইরূপে সৃষ্টি ধ্বংস হওয়ায় পর বিধি-নিয়োজিত মেঘমণ্ডলী ক্ৰমে দ্বাদশ বর্ষ কাল (মতান্তরে অজস্র ) জলধারায় বিশ্বমণ্ডল পরিপূর্ণ করেন। সেই জলে বীজ রূপে সৃষ্টি অবস্থিত থাকে। পরিশেষে স্রষ্টার ইচ্ছা অনুসারে তৎসমুদায়ের পুনরুৎপত্তি সাধিত হয়। মৎস্যপুরাণের ও কুৰ্ম্মপুরাণের এবং মহাভারতের পূর্বোক্ত বৰ্ণনার সঠিত ইহুদীদিগের, খৃষ্টানগণের ও মুসলমানদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থ-বর্ণিত প্ৰলয়াদির কতদূর সাদৃশ্য আছে, সহজেই প্ৰতীত হইতে পারে । সেখানেও সুৰ্য্য সপ্তগুণ কিরণ সম্পন্ন, এখানে ও সপ্ত সূৰ্য্য প্ৰদীপ্ত। স্থলভাবে সকল বিষয় বিবৃত হইল ; পুঙ্খানুপুঙ্খ মিলাইয়া দেখিলে, একের সহিত অন্যের অপরাপর সাদৃশ্য সহজেই হৃদয়ঙ্গম হইবে। এখন, হিমানীতে পৃথিবী ধ্বংস-সম্বন্ধে আমাদের শাস্ত্রগ্রন্থে কি আভাষ পাওয়া যায়, দেখা যাউক । হিমানীতে তুষার-সম্পাতে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার যে বিবরণ জেন্দ-আভেস্তায় দেখিতে পাই, তাহা শতপথব্রাহ্মণেরই বর্ণনার অনুসরণ বলিয়া বুঝা যায় । শতপথ ব্ৰাহ্মণে "ঔঘ’ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। ঔঘ বা ভীষণ বন্যায় প্ৰলয় সংসাধত হইয়াছিল, ইহাই স্থূলতঃ উপলব্ধি হয়। কিন্তু প্ৰণয় g ধাতু-নিঃস্রাবের it el-fats far ( Earth was originally in a molten state f on leat ). 60 निceा ब ऐलुि ड३ ऊाश्ः दूल। याग्र । Տ 5 Գ