পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ペース、 ভারতবর্ষ। আসিতেছে। ললিতবিস্তরে লিখিত আছে,-বারাণসী প্রদেশে, ঋষিপত্তনে মৃগদাব” নামক স্থানে শাক্যসিংহ প্ৰথম ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন। ফলতঃ, কানিংহাম-কথিত ‘ধ্যামেক’, ললিতবিস্তরোল্লিখিত মৃগদাব’ এবং বৰ্ত্তমান ‘সরনাথ’ একস্থানকেই বুঝাইয়ু থাকে ; DBD SDD BBD DBD DD DBB BDD BBBDB DBB DBBDDYS সপ্তম শতাব্দীতে চীন-পরিব্রাজক হুয়েন-সাং যখন ভারতভ্ৰমণে আগমন করেন, তিনি “পো-লো-নি-স’ ( l’u-lo-ni-sse) নামোেক স্থান দর্শন করিয়াছিলেন বলিয়া তাহার। ভ্ৰমণন স বৃত্তান্তে প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন। বারাণসী তঁহার ভাষায় ‘পো- প্রভৃতির লো-নি-স’ রূপে উচ্চারিত হইয়াছিল বলিয়া বুঝিতে পারা যায়। *で | তিনি লিখিয়া গিয়াছেন,-“পো-লো-নি-স’ রাজ্যের পরিধি চারি হাজার লি অর্থাৎ প্ৰায় ছয় শত মাইল। গঙ্গার পশ্চিম তীরে উহার রাজধানী অবস্থিত । সেই রাজধানীর দৈর্ঘ্য আঠার উনিশ লি অর্থাৎ প্ৰায় তিন মাইল, প্ৰস্থ পাচ ছয় লি অর্থাৎ প্ৰায় এক মাইল। এবম্বিধ বৰ্ণনা হইতে কানিংহাম সিদ্ধান্ত করেন,-এই রাজ্যের উত্তরে গোমতী নদী । গোমতী হইতে এলাহাবাদ পৰ্য্যন্ত এবং ‘টন’ হইতে ‘বিলহারী’ পৰ্য্যন্ত ইহার পশ্চিম সীমা । বিলহারী হইতে শোণহাট পৰ্য্যন্ত দক্ষিণ সীমা এবং কৰ্ম্মনাশা ও গঙ্গানদী ইহার পূর্বভাগে বিরাজমান। এই সীমানার মধ্যবৰ্ত্তী প্রদেশের পরিধি সাড়ে ছয় শত মাইল হওয়া সম্ভবপর। এই নগরী গঙ্গার পশ্চিম পারে অবস্থিত। ইহার উত্তর-পূর্বে বরণা নদী দক্ষিণ-পশ্চিমে আসিনালা । এলাহাবাদের উত্তর হইতে প্ৰবাহিত হইয়া বরণা নদী কাশীধামে গঙ্গায় আসিয়া মিলিত হইয়াছে। ঐ নদীর দৈর্ঘ্য এক শত মাইল । অসি-একটি ক্ষুদ্র প্রণালীবিশেষ । ইহার দৈর্ঘ্য অতি সামান্য । সুতরাং সাধারণ মানচিত্রে ইহার উল্লেখ পৰ্যন্ত দৃষ্ট হয় না। বরণ ও অসির নামানুসারে, ঐ দুই নদীর সঙ্গম-স্থান বলিয়া “বারাণসী’ নামের উৎপত্তি হইয়াছে। এদিকে কিন্তু জনপ্ৰবাদ আছে,-প্ৰায় আট শত বৎসর পূর্বে রাজা বানার (Banar) কর্তৃক ‘বারাণসী’ বা “বারাণসীপুরী’ পুননিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ཕག་ তঁহারই নামানুসারে উহা ‘বারাণসী সংজ্ঞা লাভ করিয়াছে। সম্ভবতঃ বেনরস নামেরও তাঁহাই মূলীভুত। আবুল ফজেল বারাণসীর সম্বন্ধে লিখিয়া গিয়াছেন,-বরণা ও আসি দুই নদীর মধ্যবৰ্ত্তী স্থান সাধারণতঃ ‘বেনারস’ নামে অভিহিত হইয়া থাকে। আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে দৃষ্ট হয়, বেনারস আটটীি মহালে বিভক্ত ছিল এবং উচ্চার পরিমাণ-ছত্ৰিশ হাজার আট শত উনসত্তর বিঘা। টলেমির গ্রন্থে কাশীরাজ্য “কাশীদিয়া” বা “কাশীদা” নামে পরিচিত । চন্দ্ৰবংশীয় কাশ্য হইতে কাশীরাজ্যের প্রতিষ্ঠা, পুরাণে ইহাই দৃষ্ট হয়। কাশীরাজ দিবোদাস কাশীর অশেষ শ্ৰীবৃদ্ধিসাধন করিয়া গিয়াছিলেন। কাশীমাহাম্যে দিবোদাসের কীৰ্ত্তিকথা নানারূপে প্ৰচারিত। এক সময়ে কাশীরাজ্য শ্রাবস্তীর " রাজার শাসনাধীন ছিল। তখন তাহার প্রতিনিধি প্ৰসেনজিৎ ঐ প্রদেশ শাসন করিতেন। বুদ্ধদেবের সম-সময়ে কাশীতে দেবদত্ত নামক এক নৃপতির নামোল্লেখ দৃষ্ট হয়। অবশেষে কাশীরাজ্য মগধের অন্তৰ্ভুক্ত হইয়াছিল। ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণে