পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YR bP ভারতবর্ষ। প্ৰয়াগের প্রতিষ্ঠা-সম্বন্ধে জনসাধারণের মধ্যে অদ্ভুত এক কিম্বদন্তী প্রচারিত আছে। কিম্বদন্তীতে প্ৰকাশ,-প্ৰয়াগ নামক জনৈক ব্ৰহ্মেণ, আকবরের রাজত্বকালে, ঐ স্থানে বাস করিতেন। তঁাতারই নাম অনুসারে প্রয়াগ নামের উৎপত্তি হইಆಳ್ವ ब्राitछ । कङि श्श्न, मधाछे আকবর যখন “ইলাহাবাছ দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করাইতেছিলেন, সেই সময়ে নদীর স্রোতে এক দিকের প্রাচীর কেবলই ভাঙ্গিয়া যাইতেছিল। কারিকরগণ কোনক্রমেই সে দিকের প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিতে সমর্থ হইতেছিল না । আকবর এ বিষয়ে কয়েক জন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ গ্ৰহণ করেন। তাতাতে স্থির হয়,--নরবলি ভিন্ন ভিত্তিভূমি গ্রথিত হওয়া সম্ভবপর নহে। অতঃপর ঘোষণা প্রচার হয়।--যে কোনও ব্যক্তি এই দুর্গ-নিৰ্ম্মাণের সহায়তা-কল্পে প্ৰাণদান করিবে, তাহার নাম চিরস্মরণীয় করিবার জন্য তাঙ্গারই নামানুসারে নগরের নামকরণ হইবে। প্ৰয়াগ নামক সেই ব্ৰাহ্মণ আকবরের ঘোষণ-বাণী শ্রবণ করিয়া দুর্গের ভিত্তিভূমি-গঠনে প্ৰাণদানে অগ্রসর হয়। প্ৰয়াগের প্রাণদানে দুর্গ বিনিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়াই নগরটা প্ৰয়াগ নামে পরিচিত। কানিংহাম লিখিয়া গিয়াছেন,-“অক্ষয়বট দেখিতে যাইলে, প্ৰয়াগের প্রতিষ্ঠার বা প্ৰয়াগ নামের উৎপত্তি বিষয়ক এই উপাখ্যান যাত্ৰিগণের নিকট প্রায়ই পরিকীৰ্ত্তিত হইত।” যাহা হউক, কানিংহাম প্ৰয়াগের এই নামোৎপত্তির উপাখ্যানে আস্থা স্থাপন করেন। নাই। ইহার প্রতিবাদ ব্যপদেশে তিনি লিখিয়া গিয়াছেন,-“সপ্তম শতাব্দীর হুয়েন-সাঙের বর্ণনায় প্রয়াগ নাম দৃষ্ট হয়। দুই শত পয়ত্ৰিশ পূৰ্ব্বথুষ্টাব্দে মহারাজ অশোক যে স্তম্ভ প্রোথিত করিয়াছিলেন, তাহাতেও প্ৰয়াগের পরিচয় আছে। সুতরাং ষোড়শ শতাব্দীতে আকবর কর্তৃক দুর্গ নিৰ্ম্মাণ-ব্যাপদেশে প্ৰয়াগ নামকরণের যে কিম্বদন্তী প্ৰচলিত, তাহা কদাচি বিশ্বাসাযাগ্য নহে।’ প্ৰয়াগ প্রদেশের পরিধি পাচ হাজার লি অর্থাৎ আট শত তেত্ৰিশ মাইল,-হুয়েন-সাং লিখিয়া গিয়াছেন। কিন্তু কানিংহামের মতে, উহার পরিধি পাঁচ শত লি অর্থাৎ তিরাণী মাইল হওয়া সম্ভবপর। কারণ, গঙ্গার ও যমুনার মধ্যবৰ্ত্তী ব-দ্বীপ প্ৰয়াগ প্ৰদেশ বলিয়া কথিত হইলে উহার পরিধি অত অধিক হইতে পারে না । * প্ৰয়াগের অনতিদূরে, বলিতে গেলে প্ৰয়াগ ব-দ্বীপেরই সীমানার মধ্যে, কৌশাখী নামক এক প্ৰাচীন নগরীর পরিচয় পাওয়া যায় । সময়ে সময়ে ঐ নগরী প্ৰখ্যাতনামা নৃপতিগণের রাজধানী মধ্যে পরিগণিত ছিল। এই নগর কখনও কৌশাম্বী এবং কখনও কৌশাৰীমণ্ডল নামে অভিহিত হইত। বৰ্ত্তমান কালে ‘কোসম’ নামক জনপদকে প্ৰাচীন কৌশাৰী নগরীর ধ্বংসাবশেষ বলিয়া অনেকে সিদ্ধান্ত করেন। রামায়ণে বিশ্বামিত্রের মুখে। .এই জনপদের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হইয়াছে। বিশ্বামিত্রের সহিত শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ও লক্ষ্মণ যখন মিথিলায় গমন করিতেছিলেন, পথিপাৰ্থস্থিত জনপদাদির বিবরণ বিশ্বামিত্র তাহদের নিকট বর্ণন করেন। সেই উপলক্ষে কৌশাৰী নগরের উল্লেখ আছে। বিশ্বামিত্ৰ বলিতেছেন,-“কুশ নামক জনৈক সুপ্রতিষ্ঠিত ব্ৰহ্মতনয় ছিলেন। তিনি সদৃশীকুলীন পত্নী বৈদভীতে কুশাম্ব, কুশনাভ, অসুৰ্ত্তরােজস ও বসু নামক আত্মতুল্য মহাবলসম্পন্ন চরিটী পুত্র উৎপাদন করেন।