পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8R ভারতবর্ষ। রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হন, তাহা তইলে অনেক আদি-কথা আসিতে পারে। হাইপারবো।রিয়ায়” অর্থাৎ এসিয়া ও ইউরোপের উত্তরাংশে (উত্তর-মেরু প্রদেশে) অনেক পূর্বে আৰ্য-হিন্দুগণের গতিবিধি ছিল,—তাহা আমরা পূর্বেই দেখাইয়াছি। * প্ৰাচীন বৃটিশ-দ্বীপ-পুঞ্জে ‘ক্রাইদা” (Druid ) বা পুরোহিত্য-বংশের বিশেষ প্ৰাধান্য ছিল। রোমীয়গণের উপদ্রবে। দ্রুইদ ধৰ্ম্মযাজকেরা একটী দ্বীপে আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। সেই দ্বীপের নাম-মোনা । মোনা“মুনি’ শব্দের অপভ্রংশ বলিলেও বলা যায়। বহু পূর্বে গ্রেট ব্রিটেন-শক-দ্বীপের অন্তভুক্ত ছিল। তাহারও নানা প্ৰমাণ পাওয়া যায়। “কেন্টিক-দ্রুইদ’ প্রসঙ্গে ‘গড়য়েফ হিগিন্স’ প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন,-বৃটিশ-দ্বীপে যখন হিন্দুগণের উপনিবেশ স্থাপিত হইয়াছিল, তখন ঔপনিবেশিকগণের সঙ্গে ব্ৰাহ্মণ-পুরোহিতগণও ঐ দেশে আসিয়াছিলেন। দেশভেদে কালভেদে তঁহাদের বংশধরগণ ক্ৰমে দ্রুইদ সংজ্ঞা প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। টিউটন-গণের ন্যায় কেণ্টি-গণও আৰ্য-হিন্দুগণের শাখা-প্ৰশাখা হইতে উৎপন্ন হইয়াছিলেন, তাহাদের ভাষাতত্ত্ব আলোচনায় তাহা স্পষ্টই প্ৰতীয়মান হয়। - সকল জাতিই ‘এরিয়ান’ (Aryan ) অর্থাৎ আৰ্য-বংশ-সভূত বলিয়া পরিচয় দিতে আপনাদিগকে গৌরবান্বিত মনে করেন বটে ; কিন্তু ভারতবর্ষ যে তঁহাদের আদিভূত, তাহা প্রায়ই কেহ স্বীকার করিতে চাহেন না। এরূপ হইবার ; কারণ-কোন জাতিরই অতি-দূর অতীতের আদি-ইতিহাস সন্ধান করিয়া পাওয়া যায় না ; অপিচ, ভারতবর্ষ হইতে মধ্য-এসিয়ায় যাহারা প্ৰথমে বসবাস করিয়াছিলেন, ইউরোপের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে তঁহাদের বংশধরগণের গতিবিধি ঘটিয়াছিল ; আর, তাহা হইতেই সকলে মধ্য-এসিয়াকে আপনাদের "সভ্যতার আদিভূত বলিয়া মনে করেন। চীন অতি প্ৰাচীন রাজ্য। খৃষ্ট জন্মের ২৭০০ বৎসর পূর্বেও চীন-রাজ্যের অস্তিত্বের পরিচয় পাশ্চাত্যী:ঐতিহাসিকগণের গ্ৰন্থ-পত্রে পাওয়া যায়। কিন্তু তাহারও বহু পূৰ্ব্ব হইতে চীনদেশ ভারতের জ্ঞানলোকে উদ্ভাসিত। ভারত-যুদ্ধের সমসময়ে अ চীন-দেশের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। যুধিষ্ঠিরের রাজস্থয়-যজ্ঞ উপলক্ষে দিগ্নিজয়ে বহির্গত হইয়া, কামরূপের অধিপতি ভগদত্তের সহিত অর্জন যুদ্ধ করিয়াছিলেন। সেই যুদ্ধে চীনাগণ ভগদত্তের পক্ষাবলম্বন করেন। মহাভারতের সভাপর্বে, ষড়বিংশ অধ্যায়ে, লিখিত আছে,-“প্ৰাগজ্যোতিষাধিপতি ভগদত্ত, কিরাত, চীন এবং সাগর-তীরস্থ অন্যান্য অনুপদেশবাসী বহুসংখ্যক যোধগণের সহিত সমবেত ছিলেন।” ইতিপূর্বে আমরা মনুসংহিতার যে শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছি, তাহাতে কুরুক্ষেত্ৰ-মহাসমরের পূর্বেও চীন-জাতির অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। ৪ এদিকে আবার, চীন ও তাতার দেশের

  • fi FfISTRIP" ENN NIE WIRT

টিউটন ও কেণ্ট-ইউরোপের দুইটী প্ৰসিদ্ধ প্রাচীন জাতি। তাহদের ভাষা। ‘টিউটনিক” ও “কেন্টিক’ নামে অভিহিত। টিউটন-গণের প্রভাব ইউরোপের উত্তরাংশে জৰ্ম্মণী, স্কান্দেনেভিয়া, সুইজলণ্ড, নেদারলণ্ড প্রভৃতি দেশে বিস্তৃত হইয়াছিল। কেণ্টগণ-ইউরোপের পশ্চিমাংশে, গল (ফ্রান্স), স্পেন এবং পরিশেষে রোম ও গ্রীসে আপনাদের প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন। ইউরোপের সভ্য-জাতি-সমূহ টিউটন বা কেন্ট বংশোস্তব বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন । এই পরিচ্ছেদের প্রথমাংশ, ২৫শ, পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।