পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাচীন ভারতের ভৌগোলিক তত্ত্ব। VG এবং গরুড়পুরাণে ভারতবর্ষের যে সকল জনপদেয় নাম দৃষ্ট হয়, তাহাতে ভারতের সীমানা সম্বন্ধে মনোমধ্যে স্বতঃই সংশয়-প্রশ্ন উঠিতে পারে। বিষ্ণুপুরাণের ও ব্ৰহ্মপুরাণের বর্ণনায় সেই সংশয়-প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হইয়া আসে। মহাভারতের ও গরুড়পুরাণের বর্ণনায় কম্বোজ, বাহিলক, পারদ, কিরাত, যবন প্রভৃতির নাম দৃষ্ট হয়। বিষ্ণুপুরাণে, ও ব্ৰহ্মপুরাণে আবার পারসীকগণের নাম স্পষ্টতঃ উল্লেখ আছে। ইহার কারণ কি ? ঐ সকল দেশ তখন ভারতবর্ষের অন্তভুক্ত ছিল, অথবা ঐ সকল দেশের অধিবাসীরা এদেশে আসিয়া বসবাস করিতেন,-কোন অর্থ সঙ্গত হইতে পারে ? এতদ্বিষয়ে দুই মতই প্ৰচলিত। কখনও বা ভারতবর্ষের সীমানা ঐ সকল দেশ ব্যাপিয়া পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছিল ; কখনও আবার ঐ সকল দেশের অধিবাসীরা এদেশে আসিয়া উপনিবেশ স্থাপনে বসবাস করিতেছিল ; অথবা, এই দেশেই ঐ সকল জাতির উৎপত্তি হয় এবং এদেশ হইতেই দূরদূরান্তরে গমন করিয়া তাহারা উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিল। যাহাই হউক, ভারতবর্ষের সহিত তখন যে পৃথিবীর প্রধান প্রধান জাতির সম্বন্ধ ছিল, এই সকল বর্ণনায় তাহ সহজেই প্ৰতিপন্ন হয় । পুরাণে যে সকল দেশের নাম দেখিতে পাই, রামায়ণে তদপেক্ষা কয়েকটি নুতন জনপদের নাম দৃষ্ট হয়। যথা ;-অশ্মনগর, উত্তর-কুরু, অংশুধন, উজ্জিাহান, একশাল, অপরতাল, অধিকাল, কালঞ্জার, অঙ্গ, লেপাপুর, বিশালা, বিদিশা, অঙ্গদিয়া, কারুপদ, পুষ্কলাবৎ, মহাগ্রাম, সাঙ্কাখ্যা, দক্ষিণাপথ, নিষাদদেশ, প্ৰতিষ্ঠান, মধুমন্ত, বৎসদেশ, কৌশাখী, শৃঙ্গবেরপুর ইত্যাদি। কোন জনপদ কোন BD BDBBDBD BBS DDDBDL DBDB DBDDBBD BDL DD S DDSDDS BBB DL DBBD DS DBDBD DBBBBDDB DBDDS SDB DBDDS DBDDBL BDDBS কত হ্রদ-তড়াগাদির পরিচয়, কত ঋষি-তপস্বীর আশ্রমের বর্ণনা, শাস্ত্ৰ-সমুহে উল্লিখিত আৰু হইয়াছে। কোথায় কোন দেবতা কিরূপ ভাবে প্রতিষ্ঠিত আছেন, তাহার তীৰ্থস্থান- বর্ণন-প্রসঙ্গেও কত কত দেশ-জনপদাদির বিবরণ শাস্ত্রগ্রন্থে দৃষ্ট হয়। সমূহ । ভারতবর্ষে তীর্থস্থান অসংখ্য। তন্মধ্যে কয়েকটা প্ৰধান প্ৰধান তীর্থের বিবরণ গরুড়পুরাণে এইরূপ-ভাবে লিখিত আছে,-“গঙ্গা সৰ্ব্বতীর্থের প্রধানভূতা। হরিদ্ধার, প্ৰয়াগ, গঙ্গাসাগর-সঙ্গম তিন স্থান দুলভ। প্ৰয়াগ অতি পরম তীর্থ; এই মহাতীৰ্থে মানপূর্বক পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করিলে, সৰ্ব্বপাপ বিনষ্ট হয়-সৰ্ব্বাভীষ্ট সিদ্ধ হয়। বারাণসী অতি পরম তীর্থ; এই তীর্থে বিশ্বেশ্বর ও কেশব সদা বিরাজমান। কুরুক্ষেত্র অতি মহাতীর্থ; এই তীর্থে দানাদি করিলে, সাধক ভুক্তি-মুক্তি উভয়ই লাভ করেন। প্ৰভাস অতি পুণ্যস্থান ; এই তীর্থে সোমনাথ দেব বিরাজমান আছেন। আরকাপুরী বিখ্যাত পুণ্যভূমি। এই পুরী দর্শনে সাধক ইহকালে বিবিধ সুখভোগ করিয়া অন্তে মুক্তিলাভ করেন। সরস্বতী অতি পুণ্যপ্ৰদ তীর্থ; এই তীর্থে স্নানাদি করিলে, সৰ্ববিধ বিদ্যা লাভ হয়। শম্ভল-গ্ৰামে সর্বপাপ-বিনাশক কেদার তীর্থ বিদ্যমান- আছেন। বদরিকাশ্ৰম-নারায়ণ তীর্থ। এই তীর্থদর্শনে মুক্তিলাভ হয়। শ্বেতদ্বীপ, মায়াপুরী, নৈমিষারণ্য, পুষ্কর, অযোধ্যা, চিত্ৰকুট, গোমতী, বিনায়ক-তীর্থ, রামগিরি, কাঞ্চিপুৰী, তুঙ্গভদ্রা, RS