পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীভগবানের মর্ত্যে অবতরণ । ३.१७ মানুষের দৃষ্টান্তেই বিষয়টা বুঝাইপার চেষ্টা করা যাউক । মানুষের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করিলে বুঝিতে পারি, মানুষের তিনটী বিশেষ গুণ বা ধৰ্ম্ম আছে। সেই তিন গুণ-ধৰ্ম্মের উপর তাকার কার্য্য নির্ভর করে । সেই তিনটী গুণ ধৰ্ম্ম,– ( ১ ) ভাবনা, ( ২ ) বাসনা, (৩) কাৰ্য্য । কোনও একটা কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে হইলে, প্রথমে মনে একটা ভাবনার উদয় হয়। সেই ভাবন ক্র.ম বাসনায় বা কামনায় পরিণত হইলে তাহ সম্পাদনে আমরা যত্নবান হই । কার্য সম্পাদনের এই তিন অবস্থা স্রষ্টা। আরোপ করা যাইতে পারে । অধিকন্তু কার্য্যের গুৰুত্ব দেখিয়া কল্পনা-শক্তির গুরুত্ব উপলব্ধি হয় । যিনি প্রাণেন্দ্রিয়বিশিষ্ট পদার্থ-সমূহকে এবং তাছাদের শীর্ষস্থানীয় মমুঘুকে স্বষ্টি করিয়াছেন, তাহার শক্তির BB DBB BBS BB S BB BBBB BBBBB BBBB BBBS BBB BBBB শক্তির বিষয় কোনক্রমেই অনমুভবনীয় নহে । চক্ষুষ প্রত্যক্ষ না হইলেই অস্তিত্ব অপ্রামাণ্য হয় না । আমাদের দর্শনশাস্ত্রে প্রামাণ্যবাদ প্রসঙ্গে তাই চক্ষুষ প্রমাণ ভিন্ন BBBB BBBB BBD BBBB BSBSS BBBB BD gBB BBBB BS BSS BBB BBBBKgB BBBS BB BB BBB BBBB BBB BBBB BBBB BBB BBS অ'মাদের চিত্তের (মনের) এবং আত্মার যেমন অস্তিত্ব আছে, অথচ আমরা তাহাদিগকে দেখিতে পাই না ; ঈশ্বরের অস্তিত্ব সষ্ট ৰূপ আমাদের অ-দৃষ্ট হইলেও প্রামাণ্য । অণুবীক্ষণ-যন্ত্র সাহায্যে আমরা আমাদের চিত্তকে প্রত্যক্ষ করিতে পারি না। দূরবীক্ষণ যন্ত্র সাহায্যেও সেইরূপ স্বর্ণধ শ শ ভগবান , প্রত্যক্ষ করা যায় না । অণু7ক্ষণের গোচরীভূত না হইলে ও মনের বা চি ওপ অস্তিত্ব যেমন অবিসম্বাদিত ; দূরবীক্ষণ সাহায্যে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ না হইলেও তাহার বিদ্যমানত সেইরূপ দৃঢ়-ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত । দূর হইতে অট্টালিকা দেখিতে পাইতেছি । কিন্তু তাহার অভ্যস্ত:র গৃহস্বামী দৃষ্টির অগোচরে আছেন । স্বষ্টির ও স্রষ্টার সম্বন্ধে স্থল ভাবে এই দৃষ্টান্ত প্রয়োগ করা যাইতে পারে । মানুষেব সহিত ঈশ্বরের BBB BBBD BB BBBS BBBB BBS BB BBBS BBB B BBBB BBB প্রাণী অন্য প্রাণী হইতে উৎপন্ন হয় । সুতরাং প্রাণী মাত্রের উৎপত্তি-কারণের কারণ আছে । কিন্তু যিনি স্রষ্ট, তিনিই আদি কারণ ; কেন-না, তাহার আর উৎপত্তি-কৰ্ত্তা নাই । সুতরাং মামুষের সহিত র্তাহার তুলনা কি প্রকারে সম্ভবপর হইতে পারে ? এ আপত্তি যুক্তিযুক্ত, সন্দেহ নাই। কিন্তু ইহাও বিবেচনা করা কৰ্ত্তব্য যে, আমাদের অজ্ঞতানিবন্ধনই ঐরূপ দৃষ্টান্ত দ্বারা আমাদের পক্ষে তাহার স্বরূপ বুঝিবার আবশুক হয়। মামুষের ব্যক্তিত্ব বুঝিতে হইলে, তাহা সীমাবিশিষ্ট বলিয়া বুঝা প্রয়োজন। কিন্তু তাহাকে বুঝিতে গেলে, তিনি যে অসীম—তাহা ধারণা করা আবগুক । মানুষের দৃষ্টি-শক্তি বলিতে, সীমাবদ্ধ দৃষ্টিশক্তি বুঝা যায় ; ঈশ্বরের দৃষ্টিশক্তি বলিতে অসীম অনন্ত দৃষ্টিশক্তি বুঝাইয়। থাকে। ফলতঃ মানুষের সহিত র্তাহার সাদৃশু লক্ষ্য করিবার সময় তাহাতে অনস্তত্ব এবং মাছুষে সসীমত্ব স্থির করিয়া লইতে হয়। মমুন্য কোনও একটী সামগ্ৰী স্থষ্টি করিলে মনুষ্যকে যে হিসাবে সেই বস্তুর স্বষ্টিকৰ্ত্ত বলিব ; বিশ্বের আদি স্থষ্টিকৰ্ত্তাকে সেই হিসাবে স্থষ্টিকৰ্ত্তীর্ণ বলা যাইতে পারে না । উভয়েই স্থষ্টিকৰ্ত্তা বটে, তবে উত্তরের সেই স্থষ্টি-কাৰ্য্যে প্রভেদ--