পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શ ઇ ভারতবর্ষ পরিশ্রান্ত হইয়া পড়িবে, তাহ ভাবিবারই বা আমার কি প্রয়োজন ? আমার লক্ষ্যঅট্টালিকা প্রস্তুত ; তজ্জন্য অর্থব্যয় পরিশ্রম হইবেই হইবে । লক্ষ্য রাখিয়া কোনও কাৰ্য্য করিতে হইলে, আনুষঙ্গিক আয়োজন না করিলে চলিবে কেন ? এইরূপ, জগদীশ্বর যে এক মহান লক্ষ্য লইয়। স্ব ষ্ট-কাৰ্য্য আরম্ভ করেন, সে উদেখা সিদ্ধ করিবার পথে কোথায় কাহার কোন সামান্ত সুবিধা-অসুবিধ ঘটিবে, তাহ দেখিলে চলিবে কেন ? উদেখ—স্থইর পূর্ণতা-সাধন। সে পক্ষের সকল অস্তুরায় আপনিই দুর হইবে--দূর করার প্রয়োজন হইবে । এ ক্ষেত্রে তাহার কাৰ্য্যে দুঃখের উৎপত্তি ঘটিতে পারে ; কিন্তু তিনি যে কাহাকেও সে দুঃখে অভিভূত করিবার জন্ত প্রযত্নপর আছেন, তাহা কদাচ মনে হয় না । অপিচ, মনুষ্যের দুঃখের সহিত আর এক অভাবনীয় সামগ্রীর সম্বন্ধ আছে । সে সামগ্রী এতই মূল্যবান যে, পার্থিৰ সকল দুঃখের তুলনায় তাহার গুরুত্ব অনেক অধিক । বুঝিয়াছেন কি—সে কি সামগ্ৰী ? সে সামগ্ৰী—মানুষেব উন্নত অমূল্য সচ্চরিত্রত । এই পৃথিবীতে দুঃখের দহন যদি না থাকিত, তোমার হৃদয়ের দৃঢ়তা কোথায় পলাইত ! সংসারে দুঃখের দহনে যদি দগ্ধীভূত না হইতে, তোমার স্থৈৰ্য্য, তোমার সৎসাহস, পরের মঙ্গল-সাধনে তোমার আত্ম-ত্যাগ-সজেক্ষপত: যে যে উপাদানে মানুষ মহত্ত্বের উচ্চ-চুড়ায় সমাকঢ় হয়, সে সকল উপাদান—কোথায় খাকিত ? সহিষ্ণুতাই মানুষকে সম্পূর্ণতার প্রতি প্রচালিত করে । অতএব স্বষ্টি-কার্য্যের মধ্যে এই যে দুঃখের দহন, ইহা কখনই স্রষ্টার স্বষ্টি-নৈপুণ্যে অসম্পূর্ণতার লক্ষণ নহে। মানুষ কিসে অত্যুন্নত মহত্তম চরিত্র লাভ করিয়া মহত্তম স্থানে প্রতিষ্ঠিত হইতে পরিবে, সেই উদ্দেশুেই জগদীশ্বর ইহ-সংসারে দুঃখের স্থাই করিয়াছেন । অগ্নি-সংস্কারে কাঞ্চন যেমন দু্যতিমান হয়, দুঃখের দহনে পড়িয়া মানুষ সেইরূপ সদগুণ-সমন্বিত হউক। দুরারোহ গিরিশৃঙ্গে উল্লম্ফনে আরোহণ অসম্ভব ; শীর্ষস্থানে উপনীত হইবার আশা করিলে কষ্টের পর কষ্ট সহ করিয়া শনৈ: শনৈঃ অগ্রসর হইতে হয়। মহত্ত্ব-লাভের পথও তদনুরূপ দুর্গম বন্ধুর বলিয়া মনে করিবে । ধীরে ধীরে—পাপের প্রলোভন হইতে দূরে সরিয়া ধীরে ধীরে—অগ্রসর হইতে হইবে। সেই কষ্টই তে কষ্ট !—সেই যন্ত্রণাই তো যন্ত্রণ !— পাপের সহিত দ্বন্ধের যে কষ্ট যে যন্ত্রণ মানুষকে সহ করিতে হয় ! যতই আমরা মমুষ্যের কষ্টের কারণ অনুধাবন করিয়া দেখিব, ততই বুঝিতে পারিব, মানুষকে দুঃখ-পারাবার হইতে উদ্ধার করিবার জন্তই করুণাময় কত বিচিত্র বছিত্র প্রেরণ করিয়াছেন! যে সামগ্ৰী প্রাপ্তির পক্ষে যত কষ্ট—যত উদ্বেগ, সে সামগ্ৰী তত উৎকৃষ্ট, তত মূল্যবান। দুঃখের পর দুঃখ সহ করিয়া মানুষ যে সেই অমূল্য বস্তু লাভ করিবে, তাহার বিধান করিয়া দিয়া জগদীশ্বর অশেষ কৃপার পরিচয় দিয়াছেন । পরমুখাপেক্ষী ম। থাকিয় আপন চেষ্টায় আপন কৰ্ম্মের স্বারা মানুষ উৎকর্ষ সাধনে সমর্থ হইবে, সংসারে দুঃখ কষ্টের বিধানে জগদীশ্বরের ইহাই অভিপ্রায়। ফলতঃ তিনি যে সৎ, তিনি যে BBBB BBBBBBB BBBBBS BB B BBBBB DDBD BBB BBB BBBB DD BB BBBBBS BBBB DDSBDD BBB BBBBBB BBS BBBD DD S