পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববর্তী ইতিহাসের স্তর-নির্দেশ । శ్రీశ ইহার পূৰ্ব্ব হইতেই ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রাস্তে বিভিন্ন শক্তি শক্তি-সম্পন্ন হইয়৷ উঠিতেছিল। এখন উত্তর-পশ্চিমে বৈদেশিকগণের প্রাধান্ত বিস্তৃত হইতে বসিয়াছিল ; দ্বাক্ষিণাত্যে অন্ধু-বংশীয়গণ মস্তক উত্তোলন করিয়া উঠিতেছিলেন ; রাজপুতানায় বিভিন্ন রাজপুত-শক্তি বলসঞ্চয় করিতেছিলেন। এক দিকে বৌদ্ধগণ, এক দিকে জৈনগণ, এক দিকে BBBBSBBB BBBBBBBSBBBB BBS BB BBBB BBBSBBB BBB করিতেছিল । সুতরাং এ সময়ের ইতিহাস বড়ই বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। এখন নানা দিকে নানা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হইতে চলিয়াছিল। বিভিন্ন পুরাণে যে বিভিন্ন রাজবংশের এবং ভিন্ন ভিন্ন ভারতীয় নৃপতির নাম ও পরিচয় প্রাপ্ত হই, বিভিন্ন ঐতিহাসিককে যে বিভিন্ন রাজশক্তির মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিতে দেখিতে পাই ; তাহার কারণ—কোনও এক নৃপতির একছত্র প্রভাবের অভাব ভিন্ন অন্ত কিছুই নয়। সময়াকুসরণে রাজা ও রাজ্যের BBBB BBB BBB BB BBBB BB BBBB BBB BBS BB BB BBS কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধের পর ভারতের এক এক প্রদেশেব ইতিহাস স্বতন্ত্র-রূপে লিপিবদ্ধ করাই সঙ্গত বলিয়া মনে হয় । মধ্যে মধ্যে যদি ও কোনও বিশেষ বিশেষ নৃপতি আপনার প্রভুত্ব-বিস্তারে সমর্থ হইয়াছেন এবং একছত্র সম্রাট বলিয়া প্রতিষ্ঠান্বিত হইতে পারিয়াছেন ; কিন্তু তাহাদের সে প্রতাপ অল্পদিন মাত্রই স্থায়ী হুইয়াছিল । সুতরাং ভারতের রাজ-শক্তির ইতিহাস বিবৃত করিতে হইলে কোন ও এক বিশেষ কেন্দ্রের ইতিহাস বিবৃত করিলে নানা বিরোধ ঘটিয়া থাকে। একটা স্থল দৃষ্টাস্তুের অবতারণা করিতেছি । যে সময়ে কথ-বংশ মগধের সিংহাসন লাভ করেন, সেই সময়ে দাক্ষিণাত্যে অন্ধু-বংশ মস্তক উত্তোলন করিতেছিল । সুতরাং কোনও কোনও ঐতিহাসিক ঐ দুই বংশের রাজত্বকালের ঘটনাবলী একসঙ্গে মিলাইয়া মিশাইয়া গাথিয়া গিয়াছেন । এইরূপে কুষণ-বংশের ও শক-বংশের কীৰ্ত্তি-কথা ও হিন্দু রাজত্বের সহিত মিশিয়া পড়িয়াছে। রাজচক্রবর্তী ৰিক্ৰমাদিত্য ভারতের ইতিহাসের একজন প্রধান নায়ক । তাহার পদাঙ্ক-অমুসরণে পরবৰ্ত্তি-কালে ভারতীয় কত নৃপতি আপনার নামের সহিত “বিক্রমাদিত্য” নাম সংযোগ করিয়া গৌরবান্বিত হইয়া গিয়াছেন। কিন্তু রাজশক্তির বিশৃঙ্খলার জন্য সেই বিক্রমাদিত্যের বিক্রম-বীরত্ব-কাহিনী সময়ে সময়ে উপেক্ষিত হইয়া পড়িয়াছে । কথ-বংশের সমসময়েই বিক্রমাদিত্যের আবির্ভাব হয়। গৃহৰিবাদে মগধ যখন হীনবল হইয়া পড়িয়াছে, অন্তর্বিপ্লবে কথ-বংশ যখন বিচঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে, সেই সময়ে বিক্রমাদিত্য উজ্জয়িনী নগরে প্রতিষ্ঠান্বিত হন । বিক্রমাদিত্যের প্রভাবে ভারতের সমস্ত বিচ্ছিন্ন রাজশক্তি পুনরায় কেন্দ্রীভূত হইয়া আসে। বৌদ্ধ-প্রাধান্তে অশোকের রাজত্ব BB BBBBB BBBB BBBB BBBB BBBBS BBB BBttBBBS BBBSCCBB BBBBS ভারতবর্ষ সেইরূপ আর এক বার সর্বতোভাবে ব্রাহ্মণ্য-প্রাধান্তের বশীভুত হইয়া পড়িয়ছিল । কখ-বংশীয় বাসুদেবের পর ভূমিমিত্র ৬৩ পুৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দে রাজ্যলাভ করেন । সেই সময়েত উজ্জয়িনীতে বিক্রমাদিত্য মস্তক উত্তোলন করিয়াছিলেন । তখন ক্রমশঃ মগধ-রাজ্য ও বিক্রমাদিত্যের করদ-মিত্র রাজ্য-মধ্যে পরিগণিত হইয়াছিল । বিক্রমাদিত্যের ও তৎপরবর্তী স্বাঙ্গন্ধবর্গের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপে বিবৃত করা যাইতে পাৱে ।