শ্ৰীকৃষ্ণ । ●. জাপন কাৰ্য্যে অসত্যের হিংসার প্রশ্রয় দিয়া গিয়াছেন। এ সকল বিষয় ৰুঝিতে হইলে ধৰ্ম্মতত্ত্ব বিশেষভাবে বুঝিবার প্রয়োজন হয় । • কেননা, রাজধৰ্ম্ম এক রূপ, গার্হস্থ্যধৰ্ম্ম একরূপ, আর মোক্ষধৰ্ম্ম একরূপ ; সুতরাং সৰ্ব্বত্র একবিধ নীতি কখনও প্রয়োজন-সাধক হয় না । কৰ্ম্মে অকৰ্ম্ম এবং অকৰ্ম্মে কৰ্ম্ম প্রভৃতির বিষয় আলোচনা করিয়া আমরা যাহা বুঝিয়াছি, + তদনুসারে বিচার করিতে গেলে সত্যে অসত্য, অসত্যে সত্য প্রতিপাদিত হইতে পারে । আমরা যাহাকে সত্য বলিয়া মনে করি, অনেক সময় তাহা ভ্রান্তিমূলক প্রতিপন্ন হয়। আবার আমরা যাহাকে মিথ্যা বলিয়া মনে করি, অনেক সময় তাহ সত্য বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে। যদি বুঝা যায়, দুৰ্য্যোধনের পক্ষ অধৰ্ম্মের—অসত্যের পরিপোষক, আর তাহাদের ধবংস-সাধনে ধৰ্ম্মের—সত্যের প্রতিষ্ঠা অবগুম্ভাবী, তাহা হইলে বুঝিতে হয়, যুধিষ্টিরের সেই উক্তি অসত্য হইয়াও সত্য-ফলপ্রস্থ । কিন্তু সে বিতর্কে —সে দার্শনিক গবেষণায় প্রবৃত্ত না হইয়া যদি মামুষিক সহজ দৃষ্টি.ত সন্ধান করিয়া দেখি, তাহা হইলেই বা কি তথ্য অবগত হই ? অবগত হই না কি, শ্ৰীকৃষ্ণ কি লৌকিক ভাবে কি অলৌকিক ভাবে অসত্যের প্রশ্রয় কখনও দেন নাই ! যুধিষ্টির সত্যবাদী ; তিনি জীবনে কখনও মিথ্যা কথা কহেন নাই ; জ্ঞানে হউক আর অজ্ঞানে হউক, অশ্বথামার সংহার-সাধনে তাহাকে মিথ্যার প্রশ্রয় দিতে হইল । জীবনে একবার একটা মাত্র ঘটনায় যুধিষ্ঠির মিথ্যা বাক্য উচ্চারণ করিলেন । কিন্তু তাহার ফল হইল কি ? ফল হইল—ৰ্তাহার নরক-দৰ্শন। শ্ৰীকৃষ্ণু দেখাইলেন,—মিথ্যা কখনই শ্রেঃসাধক নহে ; সত্যের জন্ম—ধৰ্ম্মরাজ্য সত্যরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্ত যে মিথ্যা, সে মিথ্যাও দোষাবহ । শাস্ত্রে অাছে বটে, প্রাণ-রক্ষা-কল্পে ও বিবাহ প্রভৃতি বিষয়-বিশেষে মিথ্যাও পাতক শূন্ত হইয়া থাকে ; ; কিন্তু সত্য-মিথ্যার সে মীমাংসায় উপনীত হওয়া সাধারণ মমুষ্যের সাধ্যায়ন্ত নহে। যেখানে উপদেশ আছে—প্রাণীর প্রাণ রক্ষার জন্ত মিথ্যা দোষাবহ নছে, সেখানে বিচার কম্বু প্রয়োজন—কোন অবস্থায় দোষাবহ নহে! শ্ৰীকৃষ্ণ পরম জ্ঞানী-পরম নীতিতত্ত্বজ্ঞ ছিলেন ; স্থতরাং তিনি দোষাদোষ বিচার করিয়াই সত্য-মিথ্যার উপযোগিতা নিৰ্দ্ধারণ করিতেন । কিন্তু তাহা হইলেও কৰ্ম্মফল অনিবাৰ্য্য। মিথ্যা হিংসা যখন কৰ্ম্মরূপে পরিণত হইবে ; তাহার ফলোৎপত্তি কেহই রোধ করিতে পরিবে না। যুধিষ্ঠিরের মিথ্যা-বাক্য এক দিকে সত্যের প্রতিষ্ঠায়—ধৰ্ম্ম-রাজ্যের প্রতিষ্ঠায় সহায় হইল বটে ; কিন্তু অন্য দিকে এক জন ধাৰ্ম্মিকের সংহার-সাধন করিল। সুতরাং ঐ এক মিথ্যায় দুই ফল অনিবাৰ্য্য হইল। যে শুভ-সঙ্কল্প-সাধনের দূর লক্ষ্য রাখিয়া সেই মিথ্যা-বাক্য প্রযুক্ত হইয়াছিল, সে শুভসঙ্কল্প সাধিত হইয়া আসিল ; অপিচ, সে যে মিথ্যা-আশীবিষ, তাহার ক্রিয়াও করিয়া গেল,—সেই মিথ্যার জন্য যুধিষ্ঠিরকে নরক-দৰ্শন করিতে হইল । এইখানে একটা প্রশ্ন SSSS BBB BB BBBB BBBBB DDBBB BBBB DDDBBB BBBBBB BBB BBBBB এই তত্ত্ব-কথা কতকাংশে বিস্তুত হইয়াছে। শ্ৰীকৃষ্ণের দার্শনিক মত প্রসঙ্গেও এতদ্বিক্ষয়ক আলোচনা স্রষ্টব্য। { এই খণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসের ২৭৩-৪ পৃষ্ঠায় ক্রষ্টব্য। SS BBB BB BB DDDD BBBBBS BBBD DBBB BDD DD Di HD DDDS আলোচনী অাছে।
পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
