পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግቧ ভারতবর্ষ। সাধন করেন । কি স্ত্রী, কি পুরুষ, কি বালক, কি বালিকা—সঙ্গোলার কাল-সমরে আলেকজেনারের মুক্ত-কৃপাণ-মুখে কেহই প্রাণরক্ষা করিতে সমর্থ হয় নাই । সেই ভীষণ সরহত্যায় আলেক্‌জেন্দারের হস্ত যেরূপভাবে কলুষিত হইয়াছিল, ইতিহাসের অঙ্কে রক্তরাগে তাহ রঞ্জিত হইয়া রছিয়াছে । সঙ্গোলীর ভীষণ সমরে জয়লাভের পর, আলেকজাণ্ডার সিন্ধুনদের অপর শাখা "হাইফাসিস’ (বিয়াস ) পার হইবার জন্ত সঙ্কল্পবদ্ধ হইয়াছিলেন । ঐ নদীর পরপারে ধন-ধান্ত-সমন্বিত ঐশ্বৰ্য্য-গৰ্ব্বে গরীয়ান জনপদ-সমূহ বিদ্যমান ছিল । আলেকজাণ্ডার বড় আশা করিয়াছিলেন, নদী পার হইতে পারিলে র্তাহার আট-বৎসর-ব্যাপী প্রাণ-সঙ্কট পরিশ্রমের সুফল হাতে হাতে লাভ করিবেন । কিন্তু তাহার সে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হইবার পক্ষে এক প্রবল অন্তরায় আসিয়া উপস্থিত হইল । সৈন্তাগণ আর অগ্রসর হইতে সম্মত হইল না । সেনাপতি কৈনোজ, প্রধানতঃ যাহার বাহুবলে তিনি অমিত-বিক্রম পোরসকে পরাজিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেনসেই কৈনোজ, র্তাহার প্রস্তাবে প্রতিবাদ করিলেন । যে সকল গ্রীক ও মাসিডোনীয় বীর, আট বৎসর হইল, জন্মভূমি পরিত্যাগ করিয়া মহা-সমরার্ণবে ঝম্প প্রদান করিয়াছিল, এখন তাহার কোথায় কি ভাবে অবস্থিত ? তাহাদের অনেকেই এখন কালসমরে প্রাণবিসর্জন দিয়াছেন ; অনেকেই আহত অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িয়াছেন ; কেহ বা কঠোর রণশ্রমে পরিক্লাস্ত ও ভগ্ন-স্বাস্থ্য হইয়া হতাশে কালযাপন করিতেছেন । রণক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার বল-বুদ্ধিভরসা সকলই এখন লেপি-প্রায় । এবম্বিধ অবস্থায় অগ্রসর হওয়া কখনই সমীচীন নহে বলিয়া, সেনাপতি কৈনোজ যখন মন্তব্য প্রকাশ করিলেন, সৈনিকদলের ঘনঘন করতালিতে রণস্থল কঁপিয়া উঠিল। কৈনোজ কহিলেন,—“হে রাজন ! বিজয়মদে উন্মত্ত না হইয়া ধৈর্য্যাবলম্বনই শ্রেষ্ঠ গুণ । অসমসাহসিক সৈন্যদলের অধিপতিরূপে যদিও আপনি মানুষ-শত্রুর বিভীষিকায় উপেক্ষ-প্রদর্শনে সমর্থ আছেন ; কিন্তু স্মরণ রাখিবেন,—বিধিলিপি অলজঘ্যনীয় ; দেবতার নিগ্রহ মানুষের অদৃষ্ট-পূর্ব ও অসাধ্য ।” সৈন্যদল একবাক্যে কৈনোজের অনুসরণ করিল। সৈন্যদলের এবম্বিধ অবাধ্যতারণে আলেকজাণ্ডার মৰ্ম্মাহত হইলেন । একবার মনে করিলেন,-মাসিডোনীয়ার সৈন্য অকৰ্ম্মণ্য হয় হউক, বৈদেশিক সৈন্যের সাহায্যেই ভারতবর্ষ জয় করিবেন ; কিন্তু পরক্ষণেই সে পক্ষে স্বদেশের গৌরব-হানির চিত্ত৷ মনোমধ্যে উদয় হইল। তিন দিন তিন রাত্রি শিবিরে অবস্থিতি পূৰ্ব্বক আলেকজাণ্ডার অকাশ-পাতাল ভাবনায় দিন কাটাইলেন । অবশেষে, আর উপায়ান্তর নাই দেখিয়া, একান্ত ব্যথিত অস্তরে তিনি স্বদেশ-প্রত্যাবর্তনে সঙ্কল্প-বদ্ধ হইলেন । হাইডাসপেস নদীর তীরে পূর্ব হইতেই নৌবহর সজ্জিত হইতেছিল। সেই নৌবহরের সহায়তায় আলেকজাণ্ডার সিন্ধু-নদের মোহানার অভিমুখে অগ্রসর হইবার সঙ্কল্প করিলেন । প্রত্যাবৰ্ত্তন-কালে আপনার বিজয়-চিহ্নরূপে সেই বিয়াস নদীর তীরে আপনাদের দেবদেবীর অর্চনার উদ্দেশুে, আলেকজাণ্ডার দ্বাদশট যজ্ঞ-বেদী প্রস্তুত করাইয়াছিলেন । নদী-উীরে বিভিন্ন-স্থানে সেই স্বাদশট যজ্ঞ-বেদী প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । ৰেদীগুলি প্রকারাস্তরে স্বদেশ-যাত্রার चi८ग्नखित्र !