পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫెరిఅ ভারতবর্ষ । বীজে অঙ্কুরোৎপত্তির হেতু-ভাব ; যেমন—অস্কুরোৎপত্তির পূৰ্ব্বে বীজে ক্ষিত্যপতেঙ্গাদি পার্থিব দ্রব্যের সংযোগ। বাহ ও আধ্যাত্মিক ভেদে যে চারি প্রকার প্রতীত্যসমূৎপাদ, তাহার দৃষ্টান্ত এইরূপ ;-মূল বীজ হইতে অঙ্কুর, পত্র, কাণ্ড, নাল, পুষ্প, ফল প্রভৃতির যে উৎপত্তি-পর্য্যায়, তাহাই হেতুপনিবন্ধ বাহ প্রতীত্যসমূৎপাদ। আর, ক্ষিত্যপতেজেমরুদ্ধ্যোম ও কাল এই ষড়বিধ পদার্থের সমন্বয়ে বীজাঙ্কুরাদির যে উৎপত্তি, তাহাই প্রত্যয়োপনিবন্ধ বাহ প্রতীত্যসমূৎপাদ। অবিদ্যা হইতে বিজ্ঞান, নাম, রূপ, স্পর্শ, তুষ্ণা, উপদান, তব, জাতি প্রভৃতির যে উৎপত্তি, তাহাই হেতুপনিবন্ধ আধ্যাত্মিক প্রতীত্যসমূৎপাদ ; আর, ক্ষিতাপতেজোমরুদ্ব্যোম ও বিজ্ঞানের সংযোগে যে জীবাদির উৎপত্তি, তাহাই প্রত্যয়োপনিবন্ধ আধ্যাত্মিক প্রতীত্যসমুৎপাদ । মাধবাচার্য্য সংগৃহীত সৰ্ব্বদর্শনসংগ্রহ’ গ্রন্থে ‘বৌদ্ধদৰ্শন’ অধ্যায়ে এই প্রতীত্যসমুৎপাদের বিবরণ বিশদভাবে বর্ণিত আছে। কাহারও কোনও চেতন নাই, কাহারও কোনও নিয়ামক নাই, আপনাপনিই সকল পদার্থের সৃষ্টি হয়,—স্কুলতঃ ইহাই প্রতীত্যসমুৎপাদের অভিপ্রায় । সুতরাং এই মতে স্বষ্টিকৰ্ত্ত ঈশ্বরের প্রয়োজন নাই ; নিৰ্ব্বাণ-মুক্তি লাভ করিতে পারিলেই সকল প্রয়োজন সিদ্ধ হয় । ষড়দর্শন আলোচনায় দেখিয়াছি,—দার্শনিকগণ মূল তত্ত্বকে কেহ পঞ্চবিংশতি ভাগে, কেহ ষোড়শ তাগে, কেহ বা সাত ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন । কিন্তু বৌদ্ধ-দার্শনিকগণের মতে জগতের মূলতত্ত্ব দুইটা মাত্র—চিত্ত ও ভূত । তাহার বলেন,— “ভূতং ভৌতিকং চিত্তং চৈত্তঞ্চ " অর্থাৎ, ভূত হইতে জগতাদি ভৌতিক পদার্থের এবং চিত্ত হইতে রূপ-বিজ্ঞানাদি পঞ্চস্কন্ধাত্মক চৈত্ত পদার্থের উৎপত্তি হইয়াছে। সে হিসাবে ভৌতিক পদার্থ চারিটি ~~পৃথিবী, অপ, তেজ, বায়ু। এই চতুৰ্ব্বিধ ভূত বা ‘ধাতু হইতে পরিভৃগুমান বিশ্বের স্বষ্টি হইয়াছে । পৃথিব্যাদি চতুৰ্ব্বিধ ধাতুর ( পরমাণুর ) সংহতিক্রমে স্কুল স্বষ্টি সাধিত হয় । চতুৰ্ব্বিধ ধাতুর আবারখর, স্নেহ, উষ্ণ, ঈরণ (গতিশীল) চতুৰ্ব্বিধ স্বভাব। আকর্ষণ, বিকর্ষণ, বিক্রিয়া, ধৰ্ম্মবন্তু প্রভৃতিও ধাতুচতুঃয়ের স্বভাবান্তর্গত। স্বভাব-বশে সংযোগ-বিয়োগে স্কুল জগতের স্বষ্টি হয়, ভৌতিক জগৎ উৎপন্ন হয়। চৈত্ত পদার্থের মধ্যে,—“রূপ-বিজ্ঞান-বেদন-সংজ্ঞাসংস্কার-সংজ্ঞকাঃ পঞ্চস্কন্ধাশ্চিন্তুচৈত্তাত্মকাঃ"-রূপ, বিজ্ঞান, বেদন, সংজ্ঞ, সংস্কার--এই পাঁচটা অবয়ব। ইন্দ্রিয়ের সহ বিষয়ের সম্বন্ধ-রূপস্কন্ধ ; মুখছঃখাদির অস্তুভববেদন-স্কন্ধ ; আমি, আমার ইত্যাদি অহংভাব-বিজ্ঞানস্কন্ধ; ইহা মনুষ্য, ইহা পগু ইত্যাদি ভেদভাব-সংজ্ঞাস্কন্ধ ; রাগদ্বেষাদি ভাব-সংস্কার-স্কন্ধ। পূর্বেই বলিয়াছি-সংস্কারই অধিষ্ঠার মূল। ক্ষণস্থায়ী পদার্থের স্থায়িত্ব-কল্পনাই অবিদ্যা। অবিস্ত হইতে রাগ, দ্বেষ, ধৰ্ম্ম, অধৰ্ম্ম প্রকৃতি চিত্তবৃত্তির আবির্ভাব হয়। বৌদ্ধের ঈশ্বর স্বীকার করেন না। তাহাবের মতে,—স্থঃ স্বভাবের ক্রিয় ; স্বষ্টি চিরদিন সমভাবে চলিতেছে ; কৰ্ম্মম্বারা জীব সংসারে আগমন করে, এবং কৰ্ম্মফলভোগে বাধ্য হয়। সুতরাং কৰ্ম্মবন্ধন ছিন্ন করিয়া, প্রজালাতে’ DB BBBBBD DD BBBB BB BBBS BBBS BBBBBS BBBBBS বৌদ্ধ-দর্শনের প্রতিপাদ্য ।