পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতি । సిసి আপনার কন্যার নিকট বিচারে পরাজিত হইয়াছিলেন। প্রথমে শূলপাণি স্থির করিয়াছিলেন, আপনার বিধবা কন্যার বিবাহ দিয়া, হিন্দু সমাজে বিধবা-বিবাহের দৃষ্টান্ত স্থাপন করিলেন । কিন্তু তাহার সেই কন্যা বিদুষী ও ধৰ্ম্মপ্রাণ ছিলেন ; পিতার প্রস্তাব শাস্ত্র-বিরুদ্ধ অবৈধ মনে করিয়া, তিনি তাহার প্রতিবাদ মারম্ভ করেন । তদুপলক্ষে পিতা ও কন্যায় অনেক দিন ধরিয়া বিচার-বিতর্ক চলিতে থাকে। সেই সময় শূলপাণি একবার দেশান্তরে গমন করেন । বিদেশ-যাত্রার পূৰ্ব্বে দেব-পূজার জন্য র্তাহার গৃহে বস্ত্রাদি বহু সামগ্ৰী সঞ্চিত রাখিয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরে বিদেশ হইতে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলেন,—তাহার কন্য। সেই সকল পূজোপকরণ লইয়া শিশু বালিকার ন্যায় ধূলাখেলা খেলিতেছে। শূলপাণি কন্যার এতাদৃশ ভাবাত্তর-দৃষ্টে বিস্ময়াবিষ্ট হইয়। কন্যাকে তিরস্কার করিয়া কছিলেন,—“তুমি এ কি করিতেছ ? পূজার সামগ্রী এরূপ-ভাবে ব্যবহার করিয়া অপবিত্র করা কি তোমার উচিত হইয়াছে ?” কন্য। উত্তর দিলেন,—“আমার' খেলা-ঘরের দেবতাকে আমি এই সমুদায় দান করিয়াছি ; ইহাতে কি দোষ হইতে পারে ? আপনার দেবতাকে ইহাই আবার দান করিবেন।” পিতা উত্তর করিলেন,—“একবার যাহা দান করিয়াছ, সেই উচ্ছিষ্ট সামগ্রী কি প্রকারে অন্য দেবতাকে পুনর্দান করিতে পারি ?” কন্য। আমনি কহিলেন,—“তবে পুনরায় আমার বিবাহ দিতে কি প্রকারে প্রস্তুত হইয়াছেন ? একবার BB BBBS BBB BBD B BBBB BBBBB BBBB BBBB S BBBB বিচার-বিতর্কে শূলপাণি যে মীমাংসায় উপনীত হইতে পারেন নাই, কন্যার ঈদৃশ বাক্যে তদ্বিযয়ে তাহার চৈতন্তোদয় হইল। আবার তিনি শাস্ত্ৰ-সমুদ্র মন্থনে প্রবৃত্ত হইলেন। ফলে, বিধবা-বিবাহ-প্রচলন-সম্বন্ধে তাহার পূৰ্ব্ব-সিদ্ধান্ত ভ্রান্ত বলিয়া প্রতীতি জন্মিল । 1৩iম বিধবা-বিবাহের বিরুদ্ধে শাস্ত্র-যুক্তি প্রদর্শনে বদ্ধপরিকর হইলেন। সেই হইতেই শূলপাণির স্মৃতি ভারত-বিখ্যাত । দক্ষিণাত্যে অবশ্ব শূলপাণি বা রঘুনন্দনের মত প্রচলিত নছে। প্রধানতঃ মনু ও যজ্ঞবল্ক্যের মতই "নির্ণয়-সিন্ধু" গ্রন্থে নিবদ্ধ হইয়া দাক্ষিণাত্যের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্রচারিত আছে । সমগ্র স্মৃতি-শাস্ত্রের সার-সংগ্ৰহ-পূৰ্ব্বক সমাজ-বিধি প্রবর্ধনার জন্য, এক দিকে রঘুনন্দন এবং অন্য দিকে শূলপাণি— দুই দিকে দুই দিকপালরূপে যে রূপ প্রতিষ্ঠিত হন ; সেইরূপ ‘মিতাক্ষর সঙ্কলন-পূৰ্ব্বক বিজ্ঞানেশ্বর ভট্টারক এবং দায়ভাগ সঙ্কলন করিয়া জীমূতবাহন যশোসন্মান লাভ করেন। প্রধানতঃ তাহাদের অবলম্বন-যাজ্ঞবল্ক্য-সংহিতা ; কিন্তু স্মৃতি-পুরাণাদির সামঞ্জস্য-বিধানে তাহারা যে ভাবে শিতাক্ষর ও দায়ভাগ সঙ্কলন করিয়া গিয়াছেন, পাশ্চাত্য-রীতিনীতি-নিয়ম-পদ্ধতিপ্রচলিত দেশেও অধুনা তাহ সমাদৃত হইতেছে। কোন স্মরণাতীত-কালে যে সংহিতাতত্ত্ব ভারতে উদ্ভাসিত হইয়াছিল, আজিও তাহার প্রভাব অক্ষুন্ন,-ইহার অধিক সংহিতাসমূহের নিত্য ও মৌলিকত্বের প্রমাণ আর কি হইতে পারে ? হিন্দু-সমাজ কতকাল হইতে কিরূপ-ভাবে উন্নত-অবস্থায় অবস্থিত, ইহা তাহারই প্রকৃষ্ট নিদর্শন ।