পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৯৩

পুরাণ। - >ビr"。 ব্যাকরণ, ছন্দ-প্রকরণ, রাজ-ধৰ্ম্ম, রত্ন-নিরূপণ প্রভৃতি নাম বিষয়, এই অগ্নিপুরাণে সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে। অগ্নি-পুরাণের ব্যাকরণ-অংশে শস্ত্ররূপ ধাতুরূপ পর্যন্ত পরিবণিত আছে । এই পুরাণের কিয়দংশ গদ্যে রচিত । ইহাতে তন্ত্রের বহু বীজ-মন্ত্র দৈখিতে পাওয়া যায়। যুদ্ধের অস্ত্রাদি নিৰ্ম্মাণ-প্রণালী এবং কিরূপ-ভাবে যুদ্ধ করিবে, এই পুরাণে তাহা বর্ণিত হইয়াছে । নগর, গ্রাম ও দুর্গাদি নিৰ্ম্মাণ বিষয়ে এই পুরাণে যে উপদেশ আছে, তাহাতে তাৎকালিক বিশেষ সমুদ্ধিশালী রাজ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। অধুন। যেরূপভাবে দশ অবতারের মূৰ্ত্তি প্রস্থত হইয়া থাকে, এই পুরাণান্তর্গত দশ অবতার বর্ণনার সহিত তাহার বিশেষ সামঞ্জস্য দৃষ্ট হয়। অন্যান্য দেবদেবীর আকৃতিও এই পুরাণে বিশদভাবে পরিবর্ণিত । অগ্নি-পুরাণের সহিত অমরকোষ অভিধানের বহু অংশের সাদৃপ্ত দেখিয়া, অনেকে মনে করেন,—অগ্নি-পুরাণ হইতে অমরকোষের তত্ত্বৎ অংশ সঙ্কলিত হইয়াছে । দশম—স্কন্দ-পুরাণ। এই পুপ্ৰাণ সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ । এ পর্য্যস্ত এই পুরাণ একত্র সংগৃহীত হইয়াছে কিনা, তদ্বিষয়ে সন্দেহ জন্মে। স্কন্দ-পুরাণ প্রধানতঃ ছয়টা খণ্ডে বিভক্ত,— কাশী-খণ্ড, উৎকল-খণ্ড, প্রভাস-খণ্ড, মহেশ্বর-খণ্ড, বৈষ্ণব-খণ্ড এবং স্বল পুরাণ। ব্রহ্ম-খণ্ড । এই ছয় খণ্ডকে ছয় খানি স্বতন্ত্র গ্রন্থ বলিলেও বলা যাইতে পারে । সেই স্বাতন্ত্র্য-নিবন্ধন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি স্বারা এই পুরাণ বিরচিত হইয়াছিল বলিয়া অনেকে অনুমান করেন। স্কন্দ-পুরাণান্তর্গত কাশীখণ্ডে,—কাশী-ধামের সমস্ত তীর্থের মাহাত্মা যেরূপ-ভাবে পরিবর্ণিত আছে, সেরূপ আর কুঞ্জপি দৃষ্ট হয় না। কাশী-বর্ণন উপলক্ষে গঙ্গা-মহিমা, গঙ্গার সহস্ৰ নাম, সদাচার, স্ত্রী-সুক্ষণ এবং কাশীর পৌরাণিক ইতিহাস ইহাতে লিপিবদ্ধ হইয়াছে। দিবোদাস নৃপতির KKKSBBBS BBBBB BDDBBS BBBBB BBBSMBB BBB BB BB BBB কৌতুহল-প্রদ। উৎকল-খণ্ডে,—শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবের মাহাত্ম্য ও পূজা-পদ্ধতি পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছে। উৎকল দেশের বিবরণ, পুী-প্রতিষ্ঠা, পুরুষোত্তম-ক্ষেত্রের পরিমাণ-নির্দেশ, পুণ্ডরীক ও অম্বরীষের জগন্নাথ-দর্শন, ইন্দ্র স্থায় রাজার যজ্ঞানুষ্ঠান ও স্বপ্নে ভগবদর্শন-লাত, পরিশেষে রাজা কর্তৃক মূৰ্ত্তি-নিৰ্ম্মাণোদ্যোগ, দারুময় মূৰ্ত্তিতে জগন্নাথ-দেবের আবির্ভাব, BBBBSBB BBBBS BBBBS BBBBS BBB BBBBBS BBB BBBB BBBSBB উৎকল-খণ্ডে স্থানলাভ করিয়াছে। কাশীখণ্ড এবং উৎকল-খণ্ড পাঠ করিলে, স্বভাবতঃই লোকের মন তীর্থ-দর্শনে আকৃষ্ট হয় । প্রভাপখণ্ডে,—প্রভাস-তীর্থের মাহাত্ম্য পরিকীৰ্ত্তিত আছে । মহেশ্বর-খণ্ডে,~~শিবের মাহাত্ম্য-বৰ্ণন উপলক্ষে দক্ষ-যজ্ঞ, লিঙ্গ-পূজা-মহাত্ম্য, ইজস্থায় ও দমনক প্রভূতির উপাখ্যান এবং হর-গৌরী-লীল বিশেষভাবে বিবৃত হইয়াছে । বামদেবের মহিম এবং পণ্ডিবদিগের উপাখ্যান এই খণ্ডে দেখিতে পাওয়া যায়। বৈষ্ণবখণ্ডে-প্রধানতঃ বিষ্ণুর মাহাত্ম্য পরিকীৰ্ত্তিত। মার্কণ্ডেয়, অম্বরীষ, ইন্দ্রছায়, জৈমিনি, নীলকণ্ঠ, নৃসিংহ প্রভৃতির মান উপাখ্যানে, তীর্ণ-মাহাত্ম্য, ব্ৰত-মাহাস্থ্য প্রভৃতি নানা "বায়া-তৰে, এই বৈষ্ণব-খণ্ড পরিপূর্ণ। স্কুল, ফল, তুলসীদল ও নৈবেদ্য প্রভৃতির বাৱ৷ "পূজায় মুফল-প্রাপ্তির বিষয়ু এই পুরাণে বিশদভাবে পরিবর্ণিত আছে। ব্রহ্ম-খণ্ডে,—