পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ইঙ্ক কু-বংশে সকল-গুণবিশিষ্ট রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন । তাহার গুণের তুলনা নাই। তিনি সৰ্ব্বশুভলক্ষণাম্বিত, প্রজাহিতৈষী, পবিত্ৰাত্মা, সৰ্ব্বশাস্ত্রাভিজ্ঞ, সৰ্ব্ব-লোকপ্রিয়, সাধুস্বভাব, মূৰিচক্ষণ ও প্রিয়দর্শন। তিনি মহীপতি দশরথের জ্যেষ্ঠ পুত্র ; কৌশল্য-দেবীর গৰ্ত্তে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সেই সত্যব্রত পরাক্রমশালী প্রজাবর্গের হিতৈষী রামচন্দ্রকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিতে রাজা দশরথ ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন । ইতিপূৰ্ব্বে তিনি । মধ্যম মহিষী কৈকেয়ীকে ছুইটী বর দিতে প্রতিশ্রত ছিলেন । রামের যৌবরাজnভিষেকের উদ্যোগ হইতেছে দেখিয়া, অবসর বুঝিয়া, কৈকেয়ী সেই দুইট বর চাহিয়া বসিলেন। তিনি প্রার্থনা করিলেন,~~এক বরে রামের বনগমন, অন্য বরে ভরতের রাজ্যাভিষেক । দশরথ ধৰ্ম্ম-পাশে আবদ্ধ ছিলেন ; সুতরাং প্রিয়তম রামচন্দ্রকে বনবাসে প্রেরণ করিলেন। বীরবর রামচন্দ্র,দ্বিরুক্তি না করিয়া, পিতার আদেশে,কৈকেয়ীর প্রতির নিমিত্ত, পিতৃসত্যপালনার্থ, বনগমনে প্রস্তুত হইলেন। দশরথের কনিষ্ঠ মহিনীর জ্যেষ্ঠপুত্র রামাণ্ডুগতপ্রাণ লক্ষ্মণ, ভ্রাতৃস্নেহ-প্রযুক্ত রামের সহগামী হইয়া, বনবাস-যাত্র করিলেন । রামের প্রাণ-প্রিয়া পত্নী সীতাদেবীও, চন্দ্রের অনুগামিনী রোহিণীর ন্যায়, রামের অনুগামিনী হইলেন। সীত ও লক্ষ্মণ সমভিব্যাহারে, রাজধানী পরিত্যাগ করিয়া, ধৰ্ম্মাত্মা রাম প্রথমেই গঙ্গাতীরবর্তী শৃঙ্গবের-পুরে নিষাদাধিপ গুহের সাক্ষাৎ পাইলেন । সেই স্থান হইতে সারথি মুমন্ত্র বিদায় গ্রহণ করিলেন ; গুহ প্রতিনিবৃত্ত হইলেন । তখন দেবগন্ধৰ্ব্বতুল্য সেই তিন জন, বহু নদ-নদী-বন-উপবন অতিক্রম করিয়া, চিত্রকূট পৰ্ব্বতে গমন করিলেন । সেখানে ভরদ্বাজমুনির আশ্রম ছিল ; মুনির উপদেশে পর্ণকুটার নিৰ্ম্মাণ করিয়া, তিন জনে বাস করিতে লাগিলেন । সেই সময় পুত্ৰশোকে কাতর হইয়। রাজা দশরথ প্রাণত্যাগ করিলেন ; বলিষ্ঠ প্রভৃতি দ্বিজগণ ভরতকে রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত করিতে উদ্যোগী হইলেন ; কিন্তু *হাবীৰ্য্যবা ভরত তাহাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিয়া রামের অমুসরণ করিলেন। অতঃপর, রামের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, ভরত কহিলেল,—“আপনি জ্যেষ্ঠ ধৰ্ম্মজ্ঞ ; মুক্তরাং আপনিই রাজ্যলাভে অধিকারী । কিন্তু রামচন্দ্র পিতৃ-প্রতিজ্ঞ!-ভঙ্গ-ভয়ে রাজ্যগ্রহণে অনিচ্ছুক হইলেন। ভরত পুনঃপুনঃ তাহাকে রাজ্যভারগ্রহণে অনুরোধ করায়, তিনি আপন পান্থকাম্বয় ন্যাস-স্বরূপ রক্ষা করিয়া ভরতকে রাজ্য-শাসনের নিমিত্ত অনুরোধ করিলেন । সফলকাম না হইয়া, রামচরণে প্ৰণতিপূৰ্ব্বক নন্দিগ্রামে গিয়া, রামের আগমন প্রতীক্ষায়, অগত্য। ভরত রাজ্যশাসনে প্রবৃত্ত হইলেন। ভরত প্রস্থান করিলে, আত্মীয়-স্বজনের পুনরাগমনের আশঙ্কায়, চিত্রকূট পৰ্ব্বত পরিত্যাগ করিয়া, ঐরামচন্দ্র দণ্ডকারণ্যে গমন করিলেন । সেখানে বিরাধ-রাক্ষসকে হনন করিলে, শরভঙ্গ, মুতীক্ষ, S BBB B BBSBBB BBBBBBB BBB BBBS BBB BBSBBBBBB BBBB BBS শরযুক্ত তুৰ্থস্বয় এবং উৎকৃষ্ট খড়গ প্রদান কুরিলেন। তখন কিছুকাল সেই বনে মুনিগণের স্বস্থিত ঐরামচন্দ্র বসবাস করিতে লাগিলেন । এই সময়ে রাক্ষস-ভয়ভীত ঋষিগণ, স্থানের s প-নিধনের প্রার্থন জানাইলেন। রামও রাক্ষসগণকে বিনাশ করিং হইগেম ইহার পর লক্ষ্মণ, কামরূপিণী শূৰ্পণখ-রাক্ষীর নাগাৰ"