পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ। ২২৯ । করিতেছেন। • বলা বাহুল্য, বাল্মীকিতে এ ভাবকোথাও পরিস্ফুট নাই। অধ্যান্থ-রামায়ণের মতেও এরামচন্দ্র ‘দশসহস্ৰ দশ শত বৎসর মর্ত্যভূমে বিরাজমান ছিলেন । ঐরামচন্ত্রের রাজাভিষেকের পর, পৃথিবী শস্যশালিনী হয়, বৃক্ষ-সকল ফগবান হস্থ, পুষ্প-সকল মুগন্ধপূর্ণ হয় ; এবং রাজ হইয়। তিনি ত্রিংশৎ কোটা সুবর্ণ-মুদ্র, অশ্ব, ধেনু, ভূষণ, রত্ন, বসন প্রভৃতি দান করেন। অধ্যাত্ম-রাবায়ণে রাম-চরিতের যে বর্ণনা দেখা যায়, দেবীভাগবতের বর্ণন তাহা হইতে কিঞ্চিৎ স্বতন্ত্র। দেবীভাগবতের তৃতীয় স্কন্ধে, অষ্টাবিংশ, একোনত্রিংশ ও ত্রিংশ– মাত্র তিনটা অধ্যায়ে রামচরিত বর্ণিত আছে । রামের জন্ম হইতে রাবণের সহিত যুদ্ধারন্ত পৰ্য্যন্ত ঘটনাবলী শতাধিক শ্লোকে বর্ণনা করিয়া, পুরাণকার তাহাতে রাবণ-বধ-ব্যাপার বিবৃত করিয়াছেন। রাবণ-বধ-চিন্তায় রাম যখন মুহমান, সেই সময় দেবর্ষি নারদ তাহার নিকট আগমন করিয়া, তাহাকে রাবণ-বধের উপায় বলিয়া দিতেছেন । এই-খানেই প্রথম দেখিতে পাই, মহর্ষি বলিতেছেন, - “আপনি সংপ্রতি এই অশ্বিন মাসে, পরম শ্রদ্ধাম্বিত হইয়া, সৰ্ব্বসিদ্ধিকর নবরত্রে ব্রত করুন। ঐ ব্রতে নবরাত্রি উপবাসী থাকিয়া, যথাবিধানে BBBBBBSBBBB BBBBB BBBS BBBB BBBS BBB BBBB KBB BBB পশুবলি-সমূহ প্রদান-পূৰ্ব্বক জপের দশাংশ হোম করিলে, আপনি রাবণ-বিনাশে সক্ষম হইবেন।” নারদের এবংবিধ উপদেশে রামচন্দ্র ব্রতাকুষ্ঠানে উদ্ব্যক্ত হন । আশ্বিন মাগ সমাগত হইলে, সৰ্বকল্যাণকারিণী জগদম্বিকার প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া, রামচন্দ্র ব্রত আরম্ভ করেন। মহাষ্টমীর নিশীথকালে, সিংহবাহনে অবস্থান করতঃ, দেবী ভগবতী ঐরামচন্দ্রকে দর্শন দিয়া বলেন,—“তুমি লঙ্কায় বসন্ত-কালে পরম শ্রদ্ধা-সহকারে আমার আরাধনা করিও ; তাহতে পাপমতী দশাননকে সংহার করিতে পারিবে ।’ দেবীভগবতের মতেও, শ্রীরামচন্দ্র একাদশ সহস্ৰ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন । ইহা হইতেও আভাস পাওয়া যায়, বাসন্তী-পূজার পর রাবণ-বধ সমাহিত হইয়াছিল। শ্ৰীমদ্ভাগবতের নবম-ত্বন্ধের দশম ও একাদশ অধ্যায়ের মাত্র একাশীতি-সংখ্যক শ্লোকে রামচরিত বর্ণিত হইয়াছে। তাহাতেও দেখিতে পাই,—রামচন্দ্র সিংহাসন্মাধিরোহণ করিলে, ত্রেতাযুগও সত্যযুগের স্থায় সৰ্ব্বমুখাবহ হইয়াছিল ; রামরাজত্বে আধি-ব্যাধি-জরা-শোকঅনশন-ভয়-মানি দূরে গিয়াছিল ; নদ-নদী-সমুদ্র-গিরি সকলেই অভিলষিত ফল প্রদান করিতেছিল। বিষ্ণু-পুরাণের চতুর্থাংশের চতুর্থ অধ্যায়ে কয়েকটা ছত্রে, অতি সংক্ষেপে, রামচরিত বর্ণিত আছে । কুৰ্ম্ম-পুরাণের পূৰ্ব্বভাগে একবিংশ অধ্যায়ে সংক্ষিপ্ত রামচরিতপ্রসঙ্গে দৃষ্ট হয়,-গঙ্কার সেতুমধ্যে এরামচন্দ্র ঈশান-লিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। কবি-পুরাণের তৃতীয়াংশে, তৃতীয় অধ্যায়ে, সংক্ষেপে রামচরিত বর্ণিত হইয়াছে। তাহাতে দেখা যায়-স্বশাসনে পৃথিবী জানন্দপূর্ণ হইয়াছিলেন, এবং রামচন্ধ দশ সহস্ৰ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন । বৃহদ্ধৰ্ম্ম-পুরাণের পূৰ্ব্ব-খণ্ডে, জষ্টাদশ হইতে দ্বাবিংশ অধ্যাম্বে, রামায়ণী-কথা আছে। বাল্মীকির রামায়ণের অনুসরণে বেদব্যাস যে রাষচরিত বর্ণন করেন, এমন কি সেই আদর্শেই যে তাহার মহাভারত পর্যন্ত প্রণীত হয়—এই গ্রন্থে। थशाषबाबाजून, सुखश्करु, मरुइ अक्षाहT