পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্য-জাতি । నా প্রাচীন জাতি পৃথিবীর চতুর্দিকে এককালে আপনাদের প্রভাব বিস্তার করিয়া ছিল ;– কালক্রমে তাহদের সে প্রভাব বিলুপ্ত হইয়া আসিয়াছে ;--উভয় জাতির ভাষা ভাবের সাঙ্গে, তাহাই বরং প্রতিপন্ন হয় । কয়েক দিন পূৰ্ব্বে ইউরোপ-খণ্ডে রোমীয়গণের কি অমিত-প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল ! স্পেন, ফ্রান্স, ইংলণ্ড,—তখন কে-না রোমীয়-ভাবাপন্ন হইয়া পড়িয়াছিলেন ? কিন্তু এখন – সব গিয়াছে ; আছে যাত্র স্মৃতি ! ভাষার সহিত কতকগুলি রোমীয় (লাটিন ) শব্দ মিশিয়া আছে ; আচারে-ব্যবহারে অল্প-অল্প রোমীয় ভাব বিস্কমান রহিয়াছে ; আর সমস্তই বিলুপ্ত হইয়াছে। কত নিকটের, কয় দিন পূৰ্ব্বের, রোমের সম্বন্ধেই যখন এতদূর ব্যত্যয় ঘটিয়াছে ; কত অতীতের, কত পুরাতন, ভারতীয় আর্য্য-হিন্দুগণের প্রভাব কতটুকু বিদ্যমান থাকিতে পারে,—সহজেই বুঝা যায় না কি ? অধিকাংশ প্রাচীন সভ্য জাতির প্রতিষ্ঠ-সম্বন্ধে সেই সেই জাতির গ্রন্থ-পত্রে দেখিতে পাওয়! যায়, তাহার কোনও এক বিশেষ সময়ে কোনও এক বিশেষ স্থান হইতে আসিয়া আপনাদের নুতন বাসস্থান প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । কিন্তু ভারতবর্যের আর্য্য-হিন্দুগণ যে অন্য দেশ হইতে আসিয়া আর্য্যাবৰ্ত্তে বসতি-স্থাপন করিয়াছিলেন, তাহাদের শাস্ত্রাদিতে সেরূপ উল্লেখ কিছুই নাই। বরং ভারতবর্ষ হইতেই তাহার। দিদিগন্তে আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন, শাস্ত্রাদিতে তাঙ্গই দেখিতে পাওয়া যায়। সুন্দর শ্বেত-মহন্তরূপে আর্যগণের বর্ণনা দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়া, তাহারা যে অন্য দেশ হইতে আসিয়াছিলেন,- সে সিদ্ধান্তও সমীচীন বলিয়া মনে হয় না । ভারতবর্ষের ব্রাহ্মণাদি উচ্চবর্ণ সাধারণতঃ সুরূপ-সম্পন্ন। ভারতবর্ষের হিমালয়ে, কাশ্মীর প্রভৃতি দেশে, শ্বেতবর্ণ সুন্দর মতুস্থ্যের অসম্ভাব নাই । আৰ্য্য ঋষি-মহর্ষিগণ হিমালয়ের রধিগম্য গিরিগুহায় নিয়ত যোগ-যঞ্জ থাকতেন । কৈলাসে, হৃষীকেশে, বদরিকাশ্রমে—তাহীদের সে পুণ্য-স্মৃতি আজিও কতমতে বিদ্যমান রহিয়াছে। যদি শ্বেত-সুন্দর মমুম্বাই অাৰ্য্যগণের আদর্শ স্থান-ভূত হন,-সেই ঋষি-মহর্ষিগণ ভিন্ন তাহারা আর কে হইতে পারেন ? স্বয়ম্বুব মম্বাদি হইতেই আর্যহিন্দুগণ আজিও আপনাদের বংশ-পরিচয় নির্ণয় করিয়া থাকেন ? সে ক্ষেত্রে, অন্য কোনও স্থান হইতে আর্য্যগণের ভারতবর্ষ আগমনের কোমই সস্তাবনা দেখা যায় না । শৈত্যাধিকানিবন্ধন উত্তর-মেরু বাসের অযোগ্য হওয়ায়, আর্যাগণ দক্ষিণাভিমুখে চলিয়। আসেন--- নৈসর্গিক অবস্থার বিষয় আলোচনা করিলেও সে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না । পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির বিষয় র্যাহার অবগত অাছেন, তাহার। নিশ্চয়ই বুঝিতে পরিবেন, মেরু-প্রদেশে কখনই অভ্যধিক উত্তাপ-বুদ্ধি অর্থাৎ সূর্য্যের প্রখর কিরণ-বিস্তার সম্ভবপর নহে। অধুনা বৈজ্ঞানিকগণ পৃথিবীর গতির বিষয় যেরূপভাবে নির্দেশ করিয়া থাকেন, তাহাতে কখনই যে মেরু-প্রদেশে স্থৰ্য্যরশ্মিসম্পাতে শৈত্যাধিক্যের হ্রাস ঘটিয়াছিল, তাহ উপলব্ধি হয় না। স্থৰ্য্যের প্রখর রশ্মি প্রধানতঃ বিষুব-সান্নিধ্যেই নিপতিত হয় । বিষুব-রেখা হইতে উত্তরে দক্ষিণে যে প্রদেশ যত দূরে অবস্থিত, তত্ত্বৎপ্রদেশে তদন্থরূপ স্বর্ষোত্তাপের হ্রাস-বৃদ্ধি ও শৈত্যাধিক্য হওয়া সম্ভবপর। মেরু-প্রদেশে কচিৎ স্বৰ্য্যরশ্মি প্রবেশ করিয়া থাকে। পৃথিবীর গতি পুৰ্ব্বাপর সমভাৰেই বিদ্যমান আছে--মদি বানিয়া