পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯২ ভারতবর্ষ। বিস্তমানত অসম্ভব নহে। বংশ-লতার অপুর্ণতা এতদ্বারাওঁ প্রতীত হয় না কি ? জনকছহিত জানকী, ঐরামচন্দ্রের সহিত পরিণীত হইয়াছিলেন। কিন্তু মিমি-বংশের সীতার সহিত ইক্বাকু-বংশের রামচন্দ্রের বংশ-পৰ্য্যায়ে কত পার্থক্য, একমাত্র শ্ৰীমদ্ভাগবতের BBBB DDDD BB BBBBBS DDBBBBB BBBBB BBBB Bttt এবং শ্ৰীমদ্ভাগবতের সীতা ত্রিংশ পর্যায়ে বিদ্যমান। পর্যায়ে কত পার্থক্য -বুকি দেখুন। বংশ-লতায় ক্রম-ভঙ্গ ভিন্ন-ইহা আর কি হইতে পারে ? জবংশের ও ধর্য্যবংশের মধ্যে সময় সময় যে বিবাহ-সম্বন্ধের পরিচয় পাওয়া যায়, তাহাও এর্তস্থপলক্ষে বিশেষ আলোচনার যোগ্য বলিয়া মন্মে হয়। ব্ৰহ্মপুরাণে যযাতির মহিষীগণের মধ্যে কুকুৎস্থকস্তার উল্লেখ আছে। চন্দ্রবংশের জন্তু যুবনাশ্ব-কত কাবেীকে বিবাহ কলিছিলেন। কুকুৎস্থ-কঙ্কার গৰ্ত্তে যযাতির কোনও পুত্র-সস্তান জন্মিয়াছিল কি না, তাহার পরিচয় পাওয়া যায় না বটে ; কিন্তু জহর পুত্র স্বনন্দ, ব্ৰহ্মপুরাণের মতে, কাবেরীর গরে উৎপন্ন হইয়াছিলেন। জহ্ন ও কাবেরীর এই বিবাহ-ব্যাপারে বুঝা যায়—স্বৰ্য্যবংশীয় যুবনাশ এবং চন্দ্রবংশীয় জহ্ন উভয়েই সম-সাময়িক ছিলেন। হরিবংশের সহিত এ বিষয়ে ব্ৰহ্মপুরাণের এক মত কৃষ্ট হয়। তবে হরিবংশে তাহদের পুত্রের নাম মুসহ বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। শেষোক্ত বিবাহে পৰ্য্যায়-সম্বন্ধে অবশু বিশেষ কিছু অসামঞ্জস্য দৃষ্ট হয়। না ; যেহেতু, যুবনাশ্ব -স্বৰ্য্যবংশের বংশ-লতায় একাদশ হইতে চতুর্দশ পৰ্য্যায়ের মধ্যে অবস্থিত ; এবং জহ্ন চন্দ্রবংশের কোনও বংশ-লতার দশম বা একাদশ পর্যায়ে এবং কোনও বংশ-লতায় অষ্টাবিংশ পৰ্য্যায়ে বিদ্যমান আছেন। কিন্তু প্রথমোক্ত বিবাহে মহুষ-পুত্র যযাতি বংশ-লতায় পঞ্চম হইতে অষ্টম পৰ্য্যায়ের অন্তভুক্ত ; আর কুকুৎস্থ, স্বামায়ণের মতে, ষড়বিংশ পর্যায়ে এবং অন্যান্য পুরাণের মতে, অষ্টম বা নবম পর্যায়ে অধিষ্ঠত । সুতরাং, প্রথমোক্ত বিবাহে কিঞ্চিৎ অসামঞ্জস্ত ঘটিতেছে না কি ? হরিবংশে পুরুত্বংসের কন্সার সহিত কুশিকের বিবাহ-প্রসঙ্গ লিখিত আছে ; সেখানে কুশিক, গাধির পিতা বলিয়া পরিচিত হইয়াছেন । পুরুকুৎস, স্থৰ্য্যবংশের বংশ-লতায় মান্ধাতার পুস্ত্ররূপে চতুৰ্বিংশ বা পঞ্চবিংশ পর্যায়ে বিদ্যমান ; কিন্তু কুশিক, প্রায়শঃই পঞ্চদশ শৰ্য্যায়ের মধ্যে ; কেবল অগ্নিপুরাণে একত্রিংশ পৰ্য্যায়ে অবস্থিত। প্রচলিত বংশ-লতার অসুসরণ করিলে এ ক্ষেত্রেই বা কি করিয়া সামঞ্জস্য-সাধন সম্ভবপর। এইরূপ যে দিক দিয়াই দেখি, বংশ-পৰ্য্যায় যে অক্ষুণ্ণ আছে—কোনক্রমেই মানিয়া লইতে পারি না। বংশের প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণের পিতা বা প্রপিতামহ সম্বন্ধে প্রায়ই অনৈক্য নাই-স্বীকার করি। সেরূপ ব্যক্তিগণের তিন পুরুষের পরিচয়-পর্য্যায়ে প্রায়ই বিশৃঙ্খলা वर्क् নাই,-তাহা মুক্ত-কণ্ঠে বলিতে পারি। কিন্তু সৰ্ব্ব-সামান্ত রক্ষা করিয়া বংশ-লতা উদ্ধার করিতে হইলে, বহু সাধন ও গবেষণার প্রয়োজন ; তাহাতে সকল শাস্ত্র-গ্রন্থ মিলাইয়া, সংযোগ-বিয়োগ করিয়া, নুতন বংশগত প্রস্তুত করিতে হয়। আমাদের মতে, সকল বিষয়ে সামান্ত