পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১ই ভারতবর্ষ। অধিষ্ঠানে সমর্থ হইয়াছিলেন। অহিচ্ছত্র-নগরী বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয় প্রভৃতি বহুতর জাতির আবাস-স্থান ছিল। সেখানে নানা রয়ে বিভূষিত স্ফটিকময় অট্টালিকা-শ্রেণী শোভা পাইত। ঐ রামচঞ্জের মন্ত্রী মুমতির সহিত শক্রয় যজ্ঞাশ্বের অনুসরণে সেই রাজ্যে গমন করেন। রঘুকুলতিলক রামচন্দ্রের প্রতাপ, রাজ মুমদ সৰ্ব্বতোভাবে বিদিত ছিলেন। শক্ৰয় প্রভৃতি উপস্থিত হইবামাত্র তিনি উপঢৌকন-সহ তাহার নিকট উপস্থিত হন। এইরূপে জুমদ রাজ বগুত জ্ঞাপন করিলে, শক্রয় ভিন্ন-দেশাভিমুখে গমন করেন । এই অহিচ্ছত্রনগরীর অনতিদূরে মহর্ষি চাবনের আশ্রম ছিল। মুমতির সহিত শক্রয়ের কথাবাৰ্ত্তায় প্রতীত হয়,-যেন চ্যবন ঋষি তখনও বিদ্যমান আছেন। যজ্ঞশ্ব অতঃপর রত্নাতট নগরে উপনীত হয়। মহারাজ বিমল সেই দেশে রাজত্ব করিতেন । বহু যোদ্ধবর্গে পরিবৃত হইয়া, যঞ্জীয় অশ্ব রত্নাতট-অভিমুখে অগ্রসর হইতেছে শুনিয়া, রাজা বিমল যথাযোগ্য উপঢৌকন-সহ শক্রমের শরণাপন্ন হন । শক্রত্ন মহারাজ বিমলকে মিত্রভাবে আলিঙ্গন করিলে, মহারাজ বিমল পুল্পের উপর রাজ্য-ভার অর্পণ করিয়া, বহু-ধনুৰ্দ্ধরে পরিবৃত্ব হইয়া, শক্রয়ের সহিত যাত্র করেন । এই রাজ্য অতিক্রম করিলে নীলগিরি এবং পুরুষোত্তম-তীর্থ তাহদের দৃষ্টিগোচর হয় । পুরুষোত্তম দর্শন করিয়া, তাহারা চক্রাঙ্কা-পুরীতে প্রবেশ করেন। সুবীর শক্রয়, রাজা লক্ষ্মীনিধি এবং প্রচুর অগ্রগামী সৈন্ত সহ রাজা প্রতাপাগ্র অশ্বের রক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন । অশ্বের ললাট-পত্রে লিখিত ছিল,—“দশরঞ্চ-পুত্র রামচন্দ্রের স্তায় ধনুৰ্দ্ধর বীর জগতে দ্বিতীয় নাই। র্যাহারা আপনাদিগকে ধনুৰ্দ্ধারী বীর বলিয়া অভিমান করেন, তাহারা বলপূৰ্ব্বক এই রত্নমাল-বিভূষিত DD BBB BBB S BBBSBBBSSSBBBB Du BBBB BB BBB BB BBB BBBBS DD DBBBB DDDBB B BBBS BB BBBS BBBB BBB S BBBBBB BBBB পুত্র দমন, যজ্ঞশ্বের ললাট-লিপি দর্শন করিয়া, সে অশ্ব বন্ধন করিলেন ; উত্তেজিত-কণ্ঠে কহিলেন,—“আমার পিতা বর্তমান থাকিতে পৃথিবীতে রামের এতই গৰ্ব্ব হইয়াছে ? DBB B DBBBBB BBB BBBS BB BBB BS BB BBBS BB BB BBBBB দৰ্প চূর্ণ করিব।” ইহার পর, উভয়-পক্ষে ঘোর যুদ্ধ আরম্ভ হয়। বহু দিন সে যুদ্ধ চলিয়াছিল। যুদ্ধে দমনের হস্তে বহু সৈন্ত নিহত হয় । পরিশেষে, ভরত-পুত্র পুষ্কলের নিকট দমন পরাজিত হন। দমনের পরাজয়ের পর, দমনের পিতা সুবাহু এবং দমনের খুল্লতাত চিত্রাঙ্গ অনেক দিন যুদ্ধ চালাইয়াছিলেন। পরিশেষে, যুৰ্ছিত হইয়া রাজা মুবাহু স্বপ্নে ঐরামচন্দ্রকে দর্শন করেন। সেই হইতে তাহার মনে রামচন্দ্রের প্রতি ভক্তির উদ্রেক হয়। শক্ৰয়-সমীপে প্রণত হইয়া রাজা মুবাহু যজ্ঞাশ্ব প্রত্যপণ করেন। অতঃপর, সেই জয়-পত্রশোভিত অশ্ব, সত্যবান রাজার রাজ্যে—তেজপুরে উপনীত হয়। ভাগীরথী-তীরে অবস্থিত সেই তেজপুর নগর বছল দেবায়তন এবং ক্ষতিগণে-পূর্ণ মঠ-সমূহে সুশোভিত ছিল। চতুদিকে বিচিত্র প্রাচীর এবং তদুপরি শ্রেণীবদ্ধ সুবর্ণ-কলস-নিচয় ঐ নগরের শোভা-সম্বন্ধন করিতেছিল। সত্যবান–রামচন্ত্রের অনুগত ছিলেন। স্বতরাং যজ্ঞাখের উপস্থিতি-মাত্রে তিনি উপঢৌকনাদি প্রদামে বগুত। স্বীকার করিলেন। এই সত্যৰানের পিতার নাম—খতস্তর।