পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, , ভারতবর্ষ س88b ভারতবর্ষের ইতিহাসে ব্রাহ্মণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থিত। যত দিন চন্দ্র-স্বৰ্য্য, যত দিন পৃথিবীর অস্তিত্ব, যত দিন বেদ-বেদাঙ্গ শাস্ত্রগ্রন্থ-ব্রাহ্মণ সেই অনন্ত কাল হইতেই . মনুষ্য-সমাজে শীর্ষস্থান অধিকার করিয়া আছেন। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলে রক্ষণ-প্রসঙ্গ । পুরুষ-স্থক্তে দৃষ্ট হয়,- ব্রাহ্মণ পরম পুরুষের মুখ হইতে উৎপন্ন হইয়া . ছেন । * পুরাণের সর্বত্রই তাহার সমর্থন। ঋগ্বেদেরও কেবল এক স্থানে লহে,—ঋগ্বেদের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ব্রাহ্মণের পরিচয় পাওয়া যায়। দ্বিতীয় মণ্ডলের ত্ৰিচত্বারিংশ স্থক্তের দ্বিতীয় ঋকে ব্ৰহ্ম-পুত্রের উল্লেখ আছে। সেখানে, ব্রহ্মপুত্ৰ—ব্রাহ্মণ অর্থেই প্রযুক্ত বলিয়া বুঝা যায়। প্রথম মণ্ডলের চতুঃষষ্ট্যধিক শততম স্থক্তের চতুঃপঞ্চাশ ঋকে ব্রাহ্মণের পরিচয়ে দেখিতে পাই,-“বাৰু চারি প্রকার । মেধাবী ব্রাহ্মণগণের তাহ অধিগত। সাধারণ মনুষ্যগণ কেবল এক প্রকার ভাষা মাত্র অবগত আছেন।” অর্থাৎ, ব্রাহ্মণগণ বেদ-বেদান্ত পারদর্শী ; অন্ত বর্ণ একমাত্র ভাষাভাষী । ষষ্ঠ মণ্ডলের পঞ্চ-সপ্ততি স্থক্তের দশম ঋকে ব্রাহ্মণগণ দেবতারূপে সম্পূজিত হইতেছেন। সেই থকে ঋষি প্রার্থনা করিতেছেন,—’হে ব্ৰাহ্মণগণ ! হে পিতৃগণ ! হে সৌম্যগণ ! আপনার এবং পাপরহিত দাব্য-পৃথিবী আমাদের মঙ্গল করুন। সপ্তম মণ্ডলের এাধিক শততম স্থক্তের প্রথম ঋকে ‘ব্রাহ্মণাং শব্দ দৃষ্ট হয়। বলিষ্ঠ ঋষি সেখানে মধুক দেবতার স্তোত্রে বলিতেছেন—সম্বৎসর ব্রতচারী ব্রাহ্মণদিগের ঝায়, সম্বৎসর শয়ান থাকিয়া, মধুকগণ পৰ্য্যন্তদেবের প্রীতিবাক্য উচ্চারণ করিতেছেন। দশম মণ্ডলের ষোড়শ স্থক্তে ষষ্ঠ খকে, এক সপ্ততিতম স্থক্তের অষ্টম ঋকে এবং নবর্তিতম হুক্তের স্বাদশ ঋকেও এই ব্রাহ্মণ শব্দ দৃষ্ট হয় । সেই তিনটী স্থক্তের মৰ্ম্মার্থ ; -( 1 ) “সোম দেবত ব্রাহ্মণদিগের শরীরে প্রবেশ করেন”—এই কথা বলিয়া ঋষি রোগমুক্তির কামনা জানাইতেছেন। (২) “যখন অনেক ব্রাহ্মণ একত্র হইয়া মনের ভাবসমূহ হৃদয়ে আলোচনা পূর্বক অবধারিত করিতে প্রবৃত্ত হয়েন, তখন কোনও কোনও ব্যক্তির কিছুই জ্ঞান লাভ হয় না ।” অর্থাৎ, ব্রাহ্মণগণের শাস্ত্রালোচনার মৰ্ম্মার্থ অন্য বর্ণ সকল সময় বুঝিতেও সমর্থ হন না। (৩) “বিরাটু পুরুষের দেহ হইতে কোন বর্ণের কি প্রকারে উৎপত্তি হয়, অর্থাৎ তাহার মুখ ব্রাহ্মণ হইল, দুই বাহু রাজন্ত হইল, উরু বৈপ্ত হইল, দুই চরণ শূদ্র হইল”—এইরূপ লিখিত আছে। বেদাদি শাস্ত্রের আলোচনায় আরও প্রতিপন্ন হয়,–“ব্ৰাহ্মণের যজ্ঞসম্পাদক, সোমপায়ী ও জাতবিদ্য প্রভৃতি গুণ-সম্পন্ন ছিলেন । ব্রাহ্মণের। সৰ্ব্বত্র মান্ত-গণ্য এবং পূজনীয় হইতেন। ধনী ব্যক্তিরা এবং ঘুপতিগণ সৰ্ব্বদা দানাদি দ্বারা ব্রাহ্মণগণকে পরিতুষ্ট করিতেন। মুদাস, পাকস্থমন তুৰ্ব্বসু, চেঙ্গিবংশীয় কণ্ড, পুরুকুৎস, ত্রসদস্থ্য প্রভৃতি রাজগণ ব্রাহ্মণগণকে ধন-দান করিতেন। ব্রাহ্মণের রাজগণের মঙ্গল-সাধনের নিমিত্ত দেবগণের অৰ্চনা করিতেন। ব্রাহ্মণগণ সৰ্ব্ব-বিস্তার সাধার ছিলেন। তাহারা মনুষ্য ও দেৰগণের মধ্যস্থলীয়। দেবগণের প্রীতিসাধন করিতে হইলে, ব্রাহ্মণগণের আশ্রয় লইতে হইত। ব্রাহ্মণদিগের সাহায্যে দেবগণের BBB DDD BBBS BBB BBBBDDB BB DDD BBB B BBBB BBS S DDDDD DD DuSZTS BBB BBB BtD DDBB ttD BBD DDD DD DDDS