পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እûህም ভারতবর্ষ। ধৰ্ম্ম-পথের পথিক হও । তোমার মুলধন—মনুষ্যজন্ম। যদি লাভবান হও—সে স্বর্গ। মুলধনের বিনাশ অর্থ—দুল্লভ মনুষ্য-জন্ম ভ্ৰষ্ট হইয়া নরকের কীটমধ্যে বা নীচ যোনিতে জন্মগ্রহণ। সকল পথই তোমার জন্য মুক্ত রছিয়াছে ; লাভালাভ তোমার কৰ্ম্ম-সাপেক্ষ । যদি লাভবান হইতে চাও, কৰ্ম্ম-বন্ধন ছিন্ন কর ; যদি ডুবিয়া মরিবার অভিলাষ থাকে, তবে স্রোতে যেমন গা ভাসাইয়া দিয়াছ, তাহাতেই শেষ হইবে। যে জন কামের ক্রীতদাস হইয়া আছে, তাহারই মূলধন পৰ্য্যন্ত নষ্ট হইতে বসিয়াছে ;—মমুম্ভ-জন্ম হইতে পরিভ্রষ্ট হইয় তাহাকে নীচ-যোনিতে জন্মগ্রহণ করিতে হইবে । মনুষত্ব-রূপ তাহার যে মূলধন ছিল, কামনার বশীভূত হইয়া অপব্যয়ে সে ধন সে যে উড়াইয়া দিল । এইরূপ, যে জন কেবলমাত্র মুলধন লইয়া ফিরিয়া আসিল, সে কেবল আপনার মমুন্যত্বটুকু বজায় রাখিয়াছিল মাত্র ; অর্থাৎ, সংসারে থাকিয়া গৃহীর যেটুকু কৰ্ত্তব্য, সেইটুকু মাত্র পালন করিতে সমর্থ হইয়াছিল ; অধিক অর কিছু করিতে সমর্থ হয় নাই। কিন্তু ধিনি, মনুষ্য-জন্ম লাভ করিয়া মমুষের অধিক কৰ্ত্তব্য পালন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন ; অমানুষিক গুণ-গরিমার পরিচয় দিতে পারিয়াছিলেন ; তিনিই লাভবান হইয়াছেন,—অনস্ত মুখের অধিকারী হইতে পারিয়াছেন। পার্থিব সুখ আর কতটুকু মুখ ? কুশাগ্রে নিপতিত জলবিন্দু যেমন মহাসমুদ্রের অনন্ত জলরাশির সহিত তুলিত হইতে পারে না, স্বৰ্গীয় মুখের তুলনায় ইহজগতে মমুন্যের মুখ ততটুকু মাত্র। কুশাগ্রে পতিত একবিন্দু জলবৎ ঐহিক মুখের কামনায়, কেন মানুষ অনন্ত অসীম স্বথ-সমুদ্রকে উপেক্ষা করিতেছে ? এ সকল বিষয়ে জৈনশাস্ত্রে বড় সুন্দর উক্তি দৃষ্ট হয়। তদ্ভুক্ত তিন জন বণিকের লাভালাভ প্রসঙ্গ ; যথা,— “জহাতিরিবণিয়ামুগংঘৰুণনিগগয়া। এগোতখলহএ লাভং এগোমূলেণ আগও ৷ এগো মূলংপি হারিক্ত আগও তখ বাণিও ববহারে উবমাএস এবং ধৰ্ম্মে বিয়াণহ ॥ মাণুদত্তং ভবেমূলং লাভে দেব গঈভবে। মূল ছেএণ জীবাণং নরগং তিরক্‌খণ্ডণং ধুবং " + কুশগ্রে জলবিন্দু ও মহাসমুদ্রে জল-রাশির সহিত ঐহিক মুখের ও অনন্ত মুখের তুলনা – “দারং জহাকুসগগে উদযং সমুহে৭ সমংমিণে । এবং মণু দয়া কামাদেবদেবকামীণ অংতি এ ॥ কুসগ গমিত্ত ইমেকামী সন্নিরুদ্ধংমি আউএ। কসস স্থেউং পুরাকাউং জোগকৃখেমং নসংবিদে ।” عام پہنچے

  • বাইবেলের অন্তর্গত ম্যাথু ( Mathew, XXV, a 4 ) এবং লুক ( Lake, XIX, ) গ্রন্থে তিন জন বণিকের একটা প্রসঙ্গ আছে। তাই উত্তরাধ্যয়নের উল্লিখিত আখ্যায়িকার সহিত সাদৃশুসম্পন্ন। কেহ কেহ এই জন্ত অনুমান করেন যে, বাইবেল হইতে ঐ উপমা পরিগৃহীত হইয়া থাকিবে । কিন্তু হারমান জ্যাকোবি a fost: fitot"F" wrzəntsal çfari făvitz Ffratega,–“Taking into consideration ( 1 ) that the Gaina version contains only the essential elements of the parable, which in the Gospels are developed into a full story ; and ( 2) that it is expressly stated in the Uttaradhyayana, VII, 15, that ‘this parable is taken from common life', I think it probable that the Parable of the Three Merchants was invented in India, and not in Palestine.”