পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘రి$ ভারতবর্ষ। মতের সহিত ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের সাঙ্খা, দ্যায়, বৈশেষিক মতের ষে একটু সামাষ্ঠ পার্থক্য দৃষ্ট হয়, তাহা এই –শেষোক্ত মতে আত্মা বিশ্বের সহিত ওত:প্রোতভাবে বিদ্যমান ; কিন্তু জৈনমতে আত্মা সীমাধদ্ধ। অন্ত পক্ষে আবার বৌদ্ধদিগের শাস্ত্রে যে পঞ্চস্কন্ধ ও তাহার উপৰিভাগসমূহ দৃষ্ট হয়, জৈন-মনোবিজ্ঞানে তাহার প্রতিরূপ নাই । জৈনদিগের একটি sBB BBSB BB BBB tBBSBB SL BBSBBS BBBBB BBBBSBB জীবময় ; কেবল জীব-জন্তুতে ও উদ্ভিদে বলিয়া নহে, ভূ ঠ-সমূহের অতিক্ষুদ্র পরমাণুতে— মৃত্তিকায়, অনলে, অনিলে, সলিলে—জীবন সৰ্ব্বত্র । এই জীব-বাদ বৌদ্ধ-দর্শনের কোথাও পরিদৃষ্ট হয় না। ভারতীয় দার্শনিকগণের গবেষণা সৰ্ব্বজ্ঞতায় পৰ্য্যবসিত হইয়াছে। যে সম্প্রদায় যে ভাবেই শ্রেয়ঃপ্রার্থী হউন না কেন, জ্ঞানান্বেষণেই সকলের চিন্তা প্রধাবমান । জৈন-দর্শনও জ্ঞানকেই সার বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন বটে ; তবে হিন্দুদর্শনের ও বৌদ্ধ-দর্শনের অবলম্বিত পন্থা হইতে র্তাহাদের অবলম্বিত পন্থার একটু স্বাতন্ত্র্য দৃষ্ট হয় । তাহাদের পরিভাষাই আর একরূপ । জৈন দর্শন মতে—সত্যজ্ঞান পঞ্চবিধ ; (১) মতি অর্থাৎ সত্য অনুভব, (২) শ্রুত অর্থাৎ নিৰ্ম্মল-জ্ঞান-যে জ্ঞান মতির ভিত্তির উপর সঞ্জাত, (৩) অবধি অর্থাৎ একপ্রকার লোকাতীত জ্ঞান, (৪) মনঃপর্য্যায় অর্থাৎ অপরের চিস্তা সম্বন্ধে পরিস্কার জ্ঞান, (৫) কেবল অর্থাৎ সৰ্ব্বোচ্চ জ্ঞান—সৰ্ব্বজ্ঞতা যাঠার অন্তভুক্ত । জৈন মনোবিজ্ঞানের ইহাই প্রধান অঙ্গ । ইহার সাদৃশু বৌদ্ধ-দর্শনে মিলিবে না। এই রূপ পার্থক্য আরও বিবিধ বিষয়ে পরিদৃষ্ট হয়। আবার, সাদৃশু ও অনেক বিষয়ে দেখিতে পাই। আত্মার দেহান্তর-গ্রহণ, কৰ্ম্মবাদ অর্থাৎ কৰ্ম্ম গুণে সুখ-দুঃখ ভোগ প্রভৃতি বিষয়ে জৈনগণ ও বৌদ্ধগণ উভয়েই ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের মতাবলম্বী। কাল-বিষয়ে, অবতার-সংখ্যা বিষয়ে এবং অন্যান্ত বিবিধ বিষয়ে সাদুপ্তের আভাষ পূৰ্ব্বেছ আমরা প্রকাশ করিয়াছি। সংসারে নুতন যে কিছু উদ্ভূত হইতেছে, তাই প্রতিপন্ন ভয় না। যাঙ্গ সত্য, তাহ চিরদিনই সমভাবে বিদ্যমান আছে। শশধর মেঘাচ্ছন্ন হইলে বায়ুপ্রবাহ উত্থিত ইয়া যেমন মেঘাপসরণ করে ; নানারূপে ভ্রান্তমতের আবরণে সত্য ধৰ্ম্ম আচ্ছন্ন হইলে, সেইরূপ অবতারগণ আবিভূতি হুইয়। সে আবরণ উন্মোচন করিয়া দেন ; তখন মেঘমুক্ত শশধরের স্তায় সত্য-ধৰ্ম্মের দিব্য-জ্যোতিঃ স্মৃৰ্ত্তিপ্রাপ্ত হয় । আমরা কোনও ধৰ্ম্মেল্পই বিরুদ্ধবাদী নহি ; শুভ-সঙ্কল্প-প্রণোদিত সকল ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ই জনষ্ঠিতসাধক । সুতরাং, কিবা জৈনধৰ্ম্ম কিবা বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম উভয় ধৰ্ম্মেরই উপযোগিতা আমরা স্বীকার করি। কি জৈনধৰ্ম্ম, কি বৌদ্ধধৰ্ম্ম উভয়েই স্বতঃ-গ্রস্থত ; পরন্তু ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের সন্ন্যাসি-সম্প্রদায়ের অঙ্কে উহাদের উদ্ধৃতি । উহাম্বের দর্শন, নীতি, স্বষ্টি, বিজ্ঞান—সকলেরই ভিত্তি-ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্ম । যাহা হউক, এক ধৰ্ম্ম হইতে অপর ধৰ্ম্মের উৎপত্তিই হউক অথবা সকল ধৰ্ম্মই স্বতঃপ্রস্থত হউক, ধৰ্ম্মভাবের প্রভাৰ অসাধারণ । যখন যে ধৰ্ম্মে নবীন জীবন সঞ্চারিত হয়, তখন সে ধৰ্ম্মের প্রভাবে দেশ জাতি সম্প্রদায় নূতন শক্তি লাভ করে। জৈনধৰ্ম্মের ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের অভু্যদ্বয় তাহাঙ্কই পরিচয় প্রদান করে। تا بهحسابی ജ്ജ് ബ شیخ ۹