পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * , ভারতবর্ষ । সমগ্র জৈন-সম্প্রদায় সে অঙ্গ সমুদায় একবাক্যে মাষ্ঠ করেন নাই। পরিশেষে খ্ৰীষ্ট-পূৰ্ব্ব কৃতীয় শতাব্দীর প্রারম্ভে স্থলভদ্রের অধিনায়কত্বে ধৰ্ম্মশাস্ত্র সঙ্কলিত হওয়ায় অপর পক্ষের অভাব বিদূরিত হইয়াছিল বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। অতএব জৈন-শাস্ত্র-সাহিত্য ওs • পুৰ্ব্ব-খ্ৰীষ্টাব্দে অর্থাৎ জৈন-ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠার ২০০ বৎসর পরে লিপিবদ্ধ হইয়াছিল বলিয়া মনে কল্প যাইতে পারে । তার পর, উহারও পূৰ্ব্বে জৈনদিগের যে কোনও শাস্ত্র লিপিবদ্ধ ছিল লা, তাহাও মনে করা যায় না । শ্বেতাম্বর এবং দ্বিগম্বর উভয় জৈন-সম্প্রদায় মধ্যেই gBBB BBB BBSSSS BBSBB SBBB BBBBB BBB BB BBB BBSBB SBBB S BBB নাম,-“পুৰ্ব্ব । সেই ‘পূৰ্ব্ব শাস্ত্রের সংখ্যা চতুর্দশ বলিয়া উক্ত হয়। সেই পূৰ্ব্ব-শাস্ত্রের জ্ঞান ক্রমে ক্রমে লোপপ্রাপ্ত হইয়াছে। শ্বেতাম্বরগণ কিন্তু বলেন,— পূৰ্ব্ব-শাস্ত্র। চতুর্দশ পূৰ্ব্বশাস্ত্র এখন দ্বাদশ অঙ্গের মধ্যে মিশিয়া গিয়াছে। আর সেই দ্বাদশ অঙ্গের অঙ্গীভূত 'দৃষ্টিবাদ এখন লোপ প্রাপ্ত । ১০০০ বহুলৰী অন্ধ হইতে দৃষ্টিবাদ অদৃষ্ট হইয়া পড়িয়াছে। তবে দৃষ্টিবাদের সুতরাং পূৰ্ব্বশাস্ত্রের আলোচ্য বিষয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় সমবায়াঙ্গ নামক চতুর্থ অঙ্গে এবং নদী-স্থত্রে কিছু কিছু প্রাপ্ত হওয়া যায়। পূৰ্ব্বশাস্ত্র’, সমুদায়, দৃষ্টিবাদ সহ, একই গ্রন্থ ছিল বা উহাতে । বছ গ্রন্থের সার-সঙ্কলন ছিল, তাই এখন নির্ণয় করা সম্ভবপর নহে। তবে সে সম্বন্ধে নানা মতান্তর আছে। যাহা হউক, পুৰ্ব্বশাস্ত্রের বিদ্যমানতার বিষয়ে সন্দেহ করিবার । কোনই কারণ নাই । আপন ধৰ্ম্ম-শাস্ত্রের প্রাচীনত্ব থাপন ব্যপদেশে উহার পরিকল্পনা BBB BB BBS BB BS S BBSBSS BBB BBS BBBB BBSBBB BBBBBSB BBB যখন তারস্বরে বিঘোষিত হইয়া আসিতেছে, তখন পূৰ্ব্বশাস্ত্রের ঐরূপ পরিকল্পনা নিরর্থক । তবে ‘পূৰ্ব্ব’ এই নামে, সিদ্ধান্ত-শাস্ত্র লিপিবদ্ধ হওয়ার পূর্ববন্তিকালের কোনও শাস্ত্র-গ্রন্থকে বুঝাইতেছে, তাহ নিঃসন্দেহ । পাটলিপুত্রের সজ্যে অঙ্গশাস্ত্র সঙ্কলিত হওয়ার সময় ‘পূৰ্ব্ব-শাস্ত্রের স্মৃতি মলিন হইয়া আসিতেছিল। ভদ্রবাহুর পরে, চতুর্দশ ‘পূৰ্ব্বের” পরিবর্তে দশট মাত্র ‘পূৰ্ব্বের” পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । তার পর ক্রমেই তাহার লোপ পাইল বা অপরের অঙ্গে অঙ্গ মিশাইল। পূৰ্ব্বশাস্ত্রের এরূপভাবে বিলোপ-প্রাপ্তির কারণ অবশুই আছে। উহার একটী প্রধান কারণ এই মনে হয় যে, উহার আবশুকতা লোপ পাইয়াছিল। দৃষ্টিৰাদ নামের বিশ্লেষণ করিলে ৰুঝিতে পারি, উছাতে জৈমগণের এবং অপর ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের দার্শনিক মত আলোচিত হইয়াছিল। 'পূৰ্ব্ব’ শব্দের সহিত প্রবাদ -শব্দের সংযোগ ঘটিয়াছিল বলিয়া যখন জানিতে পারি, তখন আরও মনে হয়, উহাতে মহাবীর স্বামীর সহিত র্তাহার বিরুদ্ধ-ধৰ্ম্মাবলম্বিগণের বিচার-বিতণ্ড বিবৃত ছিল । মহাবীর স্বামী কোনও নব-ধৰ্ম্মের প্রবর্তন করেন নাই । তিনি পুরাতনের—সনাতনেরই—এক অঙ্গের লেবায় ব্যাপৃত ছিলেন। সুতরাং, বিরুদ্ধবাদিগণের প্রতিবাদে তিনি যাহা কিছু বলিয়াছেন, তাহা পুরাতন বা পুরাতনেরই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। তিনি ‘পুৰ্ব্ব শাস্ত্রে যদি নুতন কিছু প্রচার করিতেন, তাহ হইলে তাছার আর এক প্রকারের মূল্য থাকিত। কিন্তু যখন তাহ বাদপ্রতিবাদ মূলক, তখন বাঙ্গ-প্রতিবাদের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই তাহার আবশুকতার অবসান