পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 ভারতবর্ষ। জৈন-দর্শনের অার এক জ্ঞাতব্য বিষয়--জীবতত্ত্ব । যে ভিক্ষু সম্যকৃরূপে জীবতত্ত্ব অবগত হইতে পারিয়াছেন এবং জীব ও অজীব এতদুভয়ের পার্থক্য উপলব্ধি করিয়া যথাবিহিত A. পথে অগ্রসর হইতে সমর্থ হইয়াছেন ; তিনিই আত্ম-সংযমশীল, তাহারই 《8 আত্ম সংযম-সাধন সিদ্ধ হইয়াছে। জীব ও অজীব লইয়াই লোক” *" (পৃথিবী); আর যেখানে কেবলমাত্র অজীব, তাহার নাম অলোক’ (পৃথিবীর অতীত স্থান )। পদার্থ, স্থান, কাল ও ফুৰ্ত্তি—ইহাদের সহিত জীব ও অঙ্গীব সম্বন্ধযুক্ত। অজীব সাধারণতঃ দুই প্রকার ;–(১) আকৃতি বিশিষ্ট, (২) নিরবয়ব । নির বয়ব জীব দশবিধ ও আকৃতি-বিশিষ্ট জীব চতুৰ্ব্বিধ। দশবিধ নিরবয়ব অঙ্গীব যথা –(ক) ধৰ্ম্ম, (খ) উছার বিভাগ-সমূহ, (গ) উহার অদৃশু অংশ-সমূহ, (ঘ) অধৰ্ম্ম, (ঙ) উহার বিভাগ-সমুহ, (চ) উহার অদৃপ্ত অংশ-সমূহ, (ছ) আকাশ, (জ) উহার বিভাগ-সমুহ, ( বা ) অদৃপ্ত অংশ-সমূহ, (ঞ) কাল (আগু সময়)। ধৰ্ম্ম এবং অধৰ্ম্ম এই লোক অর্থাৎ পৃথিবীর সহিত সমভাবে বিস্তৃত। আকাশ,—লোক ও অলোক ব্যাপিয়া আছে। কাল অনন্তকাল বিদ্যমান আছে। ধৰ্ম্ম, অধৰ্ম্ম এবং আকাশ-চিরদিন আদিঅন্তহীন। কালও শুদ্ধপ ;—বস্তুগত বা ব্যক্তিগত ভাবে ইহার আদি অন্ত উপলব্ধি হয়। অতঃপর অবয়ব-বিশিষ্ট অজীব পদার্থের বিষয় এইরূপ-ভাবে কথিত আছে ; উহার চতুৰ্ব্বিধ :-( ক ) মিশ্র পদার্থসমূহ ; (খ) তাছাদের বিভাগসমূহ ; (গ) তাহদের অদৃশু অংশ-সমূহ ; (ঘ) পরমাণুসমূহ। মিশ্রপদার্থসমূহ এবং তাছাদের পরমাণুসমূহ লোকে বা লোকাংশে একাবাবে অথবা পৃথকভাবে অবস্থিত। স্বল্প পদার্থ-সমূহ সমগ্র লোক ব্যাপিয়া আছে। স্থল পদার্থ-সমূহ কেবলমাত্র পৃথিবীর পরিদৃগুমান অংশে বিদ্যমান রহিয়াছে। কাল বিষয়ে সেই অবয়ব-বিশিষ্ট পদার্থের অপ্রতিহত ধারা প্রবাহিত হুইতেছে। উহার আদ্যন্ত নাই। কিন্তু ব্যক্তিগত ও বস্তুগত বিষয়ে দেখিতে গেলে, উহার আদি এবং অন্ত উভয়ই আছে। উহাদের ফুৰ্বি পঞ্চবিধ ; বর্ণ, গন্ধ, আস্বাদ, স্পর্শ ও আকৃতি দ্বারা অমুমের। শ্বেত, কৃষ্ণ, নীল, লোহিত, হরিৎ ভেদে বর্ণ পঞ্চবিধ । সুগন্ধ, দুৰ্গন্ধ ভেদে গন্ধ দ্বিবিধ। তিক্ত, অম, মধুর, কষায়, কটু ভেদে আম্বাদ পঞ্চৰিধ। কঠিন, কোমল, গুরু, লঘু, শীতল, উত্তপ্ত, মন্থণ, বন্ধুর ভেদে স্পর্শ অষ্টবিধ। বৰ্ত্তলাকার, গোলাকার, ত্রিকোণাকার, চতুষ্কোণাকার এবং দীর্ঘাকার ভেদে আকৃতি পঞ্চবিধ। . বলা বাহুল্য, বর্ণ গন্ধ প্রভৃতির পূৰ্ব্বোক্ত বিভাগ-সমূহের আবার উপবিভাগ আছে। সেই সকল আলোচনা করিয়া অজীব-তত্ত্ব নিৰ্দ্ধারিত হয় । - ‘জীব' শব্দে জৈনদর্শনে অনেক গভীর ভাব ব্যক্ত হইরা থাকে। জীব প্রধানতঃ দুই ভাগে বিভক্ত – ১) সংসারী, (২) সিদ্ধ। যাহারা সিদ্ধ সম্যকত্ব প্রাপ্ত বা মুক্ত পুরুষ, দ্রব্য, স্থান, কাল, ফুৰ্ত্তি ভেদে তাহদের নানা পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। মুক্ত বা সিদ্ধ আত্মা—ন্ত্রীলোকের হইতে পারে, পুরুষের হইতে পারে, নপুংসকের হইতে পারে, প্রচলিত ধৰ্ম্মমতানুগত ব্যক্তির হইতে পারে, DDDD DDBBBDD DDB BBBS DDD DDB BBDSDDBBD DB BBBS ओद-र्षिरिश्रू ; ( ১ ) সিদ্ধজীব ।