পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

նրզ, ভারতবর্ষ। বন্ধুর অবস্থায় উছ ঘটুত্রিংশং প্রকার। স্মৃত্তিক, কঙ্কর, বালুক, প্রস্তর, পাহাড়, শৈলজ লবণ, লেং, তাম্র, টন, সীসক, রৌপ্য, স্বর্ণ, হীরক, হরিতাল, সিন্মুর, সাসক (ধাতু বিশেষ) রসায়ন, বিৰমিশ্রিত লাল রং, প্রবাল, অভ্র-পতল, অভ্র-বালুক ; এইগুলি বিভিন্ন জাতীয় স্থল পৃথিবী দেহের অন্তভুক্ত। এতদ্ভিন্ন নানা জাতীয় মূল্যবান প্রস্তর আছে ; যেমন-স্ফটিক, লোহিত্যক্ষ, মরকত, মশারগল্প, স্বৰ্য্যকান্ত, চন্দ্র প্রভা, হংসগৰ্ভ, চন্দন, জলকান্ত, লালখড়ি ইত্যাদি। এইরূপ ষটুত্রিংশবিধ স্থল পৃথিবীর উল্লেখ হয় । স্বক্ষ পৃথিবী একবিধ , উহার কোনও প্রকারাস্তুর নাই। এই স্বল্পভাব সমগ্র লোকে পরিব্যাপ্ত। স্থলভাব কেবল এই লোকেই পরিদৃষ্ট হয়। বলা বাহুল্য, স্থান বিষয়ে এবং কাল বিষয়ে এই পৃথিবী জীবের অবস্থান্তর ঘটিয়া থাকে। অবিচ্ছিন্ন কাল-প্রবাহের বিষয় স্মরণ করিতে হইলে, এই পৃথিবীদেহের আদি অন্ত নাই। কিন্তু যদি বর্তমান কাল-বিষয়ক ব্যবধানের অন্তভুক্ত করিয়া বিচার করা হয়, তাহা হইলে উহার আদি ও অন্ত স্বীকার করিতে হয়। তদনুসারে পৃথিবী-জীৰের অতি দীর্ঘ আয়ুঃকাল দ্বাবিংশ সহস্র বর্ষ এবং ইহার অতি-স্বল্প আয়ুঃকাল মুহূর্তেরও অনধিক । যেমন কাল সম্বন্ধে সম্বন্ধযুক্ত করিয়া পৃথিবী-জীবের আয়ুঃকাল নিৰ্দ্ধারিত হইয়া থাকে, সেইরূপ নর্ণ, গন্ধ, স্বাদ, স্পর্শ, অবয়ব, স্থান প্রভৃতি সম্বন্ধেও উহার সহস্ৰ সহস্ৰ পৰ্য্যায়ভেদ পরিকল্পিত হইতে পারে। পৃথিবী-জীব যেরূপ সাধারণতঃ দুই ভাগে বিভক্ত হয়, জলজীবও সেইরূপ স্বল্প স্থল দুই ভাগে বিভক্ত, এবং তাহারা পূর্ণফুট অঙ্কুট দুই ভাবে অবস্থিত। স্থল এবং পূর্ণফুট জল-জীব পঞ্চবিধ ; পরিশ্রুত জল, শিশির, ঘৰ্ম্ম, কুয়াস, হিমশিলা। স্বল্প জলজীৰ একবিধ ; তাহার প্রকার-ভেদ নাই। স্বক্ষভাবে উহা সৰ্ব্বলোকে বিস্তৃত ; কিন্তু স্থলভাবে উন্থ এই পৃথিবীর এক অংশে মাত্র অবস্থিত। কালাদি বিষয়ে পৃথিবী-জীবের যেমন প্রকারভেদ পরিলক্ষিত হয়, জলজীবেরও সেই অবস্থা বুঝিতে হইবে । তৃতীয়ত:—উদ্ভিদজীব। উছারাও পূর্ববং স্থল-স্বল্প দুই ভাগে এবং পুর্ণফুট অফুট দুই ভাবে অবস্থিত। স্থল এবং পূর্ণপরিস্ফুট উদ্ভিদের আবার দুই বিভাগ আছে। প্রথম,—একজাতীয় আকৃতিবিশিষ্ট ; দ্বিতীয়,--পরম্পর বিভিন্ন-আকৃতি-বিশিষ্ট। যাহাদের আকৃতির স্বাতন্ত্র্য আছে, সেই শ্রেণীর মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি উল্লিখিত হয় ; যথা,—বৃক্ষ, গুচ্ছ, গুল্ম, লতা, বল্লী, তৃণ, বলয় (তাল-জাতীয় বৃক্ষ ), পরবগ (ইক্ষুজাতীয় বৃক্ষ ), কুষণ (সপছত্র ভেকছত্র ইত্যাদি ), ওষধি, হরিতকার ইত্যাদি। এই সকল উদ্ভিদের স্বতন্ত্ৰ দেহ আছে। সেইজন্যই ইহার স্বতন্ত্র-দেহবিশিষ্ট । উদ্ভিদ পর্যায়ের অন্তভূক্ত। অভিন্ন সাধারণ-দেহবিশিষ্ট উদ্ভিদের মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি উল্লিখিত হয় —আলু, মূল, আদা, কদলী, রওন, পেয়াজ, হরিদ্র ইত্যাদি। উদ্ভিজ্জীবের कूण अवह उख झहे छांtश विङख । उशग्न एक श्रदश ७कहे थकाब्र ; उाशङ्ग भाषा কোনও ভেদভাব পরিদৃষ্ট হয় না। এই উদ্ভিদ জীবের মধ্যে স্থান-কালাদির মে বিভাগ আছে, তাহ পৃথিবী-জীব প্রভৃতির সহিত সাদৃশু-সম্পন্ন। জৈনশাস্ত্রে উদ্ভিদকে যে জীব মধ্যে পরিগণিত করা হইয়াছে, হিন্দুশাস্ত্রেও তদ্রুপ উক্তি দেখিতে পাই। আধুনিক বিজ্ঞান উদ্ভিদের জীবত্ব প্রমাণ পক্ষে যে গবেষণার পরিচয় প্রদান করিতেছে, সে প্রমাণ ভারতবর্ষে বহুকাল পূৰ্ব-হইতেই বিদ্যমান আছে।