পাতা:পোকা-মাকড়.pdf/১১০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৯২
পোকা-মাকড়

যোগ হইয়া যায়। ইহা হইলে ডিম ফুটিয়া বাচ্চা বাহির হইবার আর কোনো বাধা থাকে না।

 ডিমে-ভরা ‘কলার’ অর্থাৎ গলাবন্ধ শরীর হইতে খসিয়া পড়িলে কেঁচোরা আর তাহা যত্ন করে না এবং একবারও তাহার খোঁজ লয় না,—কাদা বা ভিজে মাটির সঙ্গে মিশিয়া তাহা পড়িয়া থাকে! তার পরে ডিমগুলি বেশ পুষ্ট হইলে, তাহা হইতে কেঁচোর বাচ্চা বাহির হয়।

 আগে যে-সব প্রাণীর কথা বলিয়াছি, তাহাদের অনেকেই নিজের দেহ খণ্ড খণ্ড করিয়া সন্তান উৎপন্ন করে। জবা-গাছের ডাল পুঁতিলে যেমন নূতন জবা-গাছ জন্মে, ইহা যেন সেই রকমের। কেঁচোরা সাধারণত সে-রকমে সন্তান উৎপন্ন করে না বটে, কিন্তু যদি কোনো রকমে ইহাদের দেহ খণ্ডিত হইয়া পড়ে, তবে সম্মুখের খণ্ড হইতে লেজ বাহির হইয়া এক-একটা নূতন কেঁচো জন্মে। যদি তোমরা পরীক্ষা করিতে চাও, তবে একটা বাচ্চা কেঁচোকে টুক্‌রা করিয়া কাটিয়া ভিজে মাটির মধ্যে রাখিয়া দিয়ো। কিছু দিন পরে হয় ত দেখিবে, উহার শরীরের সম্মুখের টুক্‌রা হইতে এক একটি নূতন কেঁচো হইয়া দাঁড়াইয়াছে। এই পরীক্ষা অতি সাবধানে করিতে হয়। বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডায় কেঁচোদের ঐ রকম পরিবর্ত্তন দেখা যায় না।