পাতা:পোকা-মাকড়.pdf/১৪৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৩০
পোকা-মাকড়

প্রবেশ করে এবং সম্মুখের পায়ের কাছের আর এক পথ দিয়া তাহা বাহির হইয়া যায়। কেবল ইহাই নয়, যাহাতে খোলার ভিতরের জল স্রোতের মত জোরে বাহির হইয়া যায়, তাহার জন্য চিংড়ির সম্মুখের পায়ের কাছে পাখার মত ছোট অংশ জোড়া থাকে। চিংড়িরা সর্ব্বদাই এই পাখা ঘন ঘন নাড়িয়া ভিতরের জল বাহির করিয়া দেয়। এই রকমে একটা জলের স্রোত সর্ব্বদাই কান্‌কোর উপর দিয়া চলিতে থাকে। জল হইতে সর্ব্বদা অক্সিজেন টানিয়া লইবার এই ব্যবস্থা অতি সুন্দর নয় কি?



চিংড়ির পাকযন্ত্র

 নিশ্বাস লইবার যন্ত্রের কথা বলা হইল; এখন চিংড়িদের পাকাশয় ইত্যাদির কথা বলিব।

 এখানে চিংড়ি মাছের আর একটা ছবি দিলাম। খোলা

চিত্র ২৪।

ছাড়াইয়া মাঝামাঝি চিরিলে চিংড়িকে যে-রকম দেখায়, ছবিতে তোমরা তাহাই দেখিবে।

 মাথার ভিতরে যে গোলাকার কালো অংশটা রহিয়াছে, উহাই চিংড়ির উদর। প্রাণীদের পাকাশয় প্রায়ই দেহের নীচে থাকে, কিন্তু চিংড়িদের সকলি অদ্ভুত। ইহাদের উদর