কাচ দিয়া পরীক্ষা করিতে পার, তবে দেখিবে, পায়ে চিরুণীর মত কতকগুলি দাঁত লাগানো রহিয়াছে। মাথায় ধূলা-বালি লাগিলে আমরা যেমন চিরুণী দিয়া মাথা পরিষ্কার করি, মুখের শুঁয়ো দুটিতে কিছু লাগিলে বোল্তারা পায়ের ঐ চিরুণী দিয়া শুঁয়ো সাফ্ করে।
বোল্তার চাক্ তোমরা অনেক দেখিয়াছ। ইহার প্রত্যেক ছিদ্রটি ছয়কোণা এবং ঠিক গায়ে-গায়ে লাগানো। ইহাতে জায়গার একটুও অপব্যয় হয় না। প্রত্যেক ছিদ্রের দেওয়ালগুলি পাশের ছিদ্রগুলির দেওয়ালের কাজ করে। যদি ছিদ্রগুলি গোলাকার থাকিত, তাহা হইলে সেগুলির দেওয়ালকে কখনই গায়ে-গায়ে লাগানো যাইত না।
পৌষ-মাঘ মাসের শীতে আমাদের দেশে বোল্তা প্রায়ই দেখা যায় না। এই দুইটি মাস বোল্তাদের দুই-চারিটি, দেওয়ালের ফাটালে বা অন্য কোনো নির্জ্জন জায়গায় মড়ার মত পড়িয়া থাকে। তার পরে ফাগুনের হাওয়া গায়ে লাগিলেই তাহারা বাহির হইয়া চাক তৈয়ারির জোগাড় দেখে।
তোমরা যদি ভালো করিয়া নজর রাখ তবে দেখিবে, বোল্তারা যখন কোনো জায়গায় প্রথম চাক বাঁধিতে সুরু করে, তখন সেখানে অনেক বোল্তা থাকে না। একটি বা দুইটি চারিদিকে ঘুরিয়া মনের মত জায়গা ঠিক করে এবং সেখানে ঐ একটি বা দুইটিতে মিলিয়াই চাক বাঁধা সুরু করিয়া দেয়। ইহারা স্ত্রী-বোল্তা;—পেটের ভিতরে অনেক