পাতা:পোকা-মাকড়.pdf/৩৩৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩১৮
পোকা-মাকড়

কাজেই তাহারা উড়িতেও পারে না; কেবল লাফাইয়া চলা-ফেরা করে। কচি ঘাস পাতাই বাচ্চাদের প্রধান আহার। খাইয়া মোটা হইলেই ইহারা খোলস ছাড়িতে আরম্ভ করে। পাঁচ-ছয় বার খোলস ছাড়ার পরে, বাচ্চাগুলি ডানা-ওয়ালা সম্পূর্ণ পতঙ্গ হইয়া দাঁড়ায়।

 ফড়িঙের কান বড় মজার জিনিস। বড় প্রাণীদের কান মাথার উপরেই লাগানো থাকে, কিন্তু ফড়িংদের কান দেহের সেখানে দেখিতে পাওয়া যায় না। সাধারণ ফড়িঙের সম্মুখের পা পরীক্ষা করিলে, তাহাতে একটু নীচু গোলাকার জায়গা দেখা যায়। ইহাই ফড়িঙের কান। কোনো ফড়িঙের কান আবার পায়ের গোড়ায় অর্থাৎ বুকের উপরেও বসানো থাকে।

 সকল ফড়িঙেরই যে রঙ্ সবুজ ও পিছনের পা লম্বা তাহা নয়। মেটে লাল্‌চে ধোঁয়াটে প্রভৃতি নানা রঙের ফড়িং দেখা যায়। আবার সম্মুখের পা লম্বা ও পিছনের পা ছোট এ-রকম অনেক ফড়িং আছে। গাছের তাজ পাতা ও কচি ঘাস যে-সকল ফড়িঙের খাদ্য, তাহারা প্রায়ই সবুজ রঙের হয় এবং মাঠের শুক্‌নো ঘাস ও খড়ের মধ্যে যাহারা লুকাইয়া থাকে, তাহাদের রঙ্ মাটি ও শুক্‌নো ঘাসের রঙের মত হয়। পাখী ব্যাঙ্ প্রভৃতি প্রাণীরা ফড়িঙের পরম শত্রু। তাই ঘাস পাতার সঙ্গে রঙ্ মিলাইয়া ইহারা শত্রুদের ফাঁকি দেয়।