যাহাদের ডানা হয় না, এ-রকম আর্সুলাও আছে। আমরা যে ছবিটি দিয়াছি, তাহা ডানাওয়ালা আর্সুলার ছবি। তোমাদের ভাণ্ডার ঘরে খোঁজ করিলে, এই রকম আর্সুলা অনেক দেখিতে পাইবে।
অন্য পোকা-মাকড় খাদ্যাখাদ্য বিচার করিয়া চলে, কিন্তু আর্সুলাদের সে বিচার-শক্তি নাই। পৃথিবীর কোনো জিনিসই ইহাদের অখাদ্য নয়। ভালো বাঁধানো বইয়ের পাতা ও মলাট ইহারা কি রকমে কুরিয়া থায়, তাহা তোমরা দেথ নাই কি? মানুষ অকাতরে রাত্রিতে ঘুমাইতেছে এবং আর্সুলারা আসিয়া ঘুমন্ত মানুষের আঙুলের মাংস ধীরে ধীরে কুরিয়া খাইতেছে, ইহাও আমরা স্বচক্ষে দেখিয়াছি।
তোমরা হয় ত আর্সুলার ডিম দেখিয়াছ। যদি না দেখিয়া থাক, তবে তোমাদের ভাণ্ডার ঘরে খোঁজ করিয়ো;—দেখিবে, যেখানে আর্সুলা আছে তাহারি কাছে দেওয়ালের গায়ে সীমের বীজের মত লম্বা বাদামী রঙের কতকগুলি জিনিস আট্কানো আছে। এইগুলিই আর্সুলাদের ডিমের কোষ। আর্সুলারা ইহা প্রসব করিয়া দেওয়ালে বা বাক্স-পেটরার গায়ে আঠার মত একরকম জিনিস দিয়া আট্কাইয়া রাখে। এই কোষের ভিতরে উহাদের আট দশটা ডিম বেশ পৃথক্ ভাবে থাকে-থাকে সাজানো দেখা যায়।
ডিম ফুটিয়া বাচ্চা জন্মিলে, তাহারা আর কোষের ভিতরে থাকিতে চায় না। তখন মুখ হইতে এক রকম রস