পাতা:পোকা-মাকড়.pdf/৩৭০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৫২
পোকা-মাকড়

মতই ধীরে ধীরে বাড়ে এবং অনেক সময়ে বাড়ার দাগও খোলার গায়ে আঁকা থাকে।

 শঙ্খ ও কড়ি সমুদ্রের প্রাণী। কড়ি ছোট বড় কত রকমের হয় তোমরা অবশ্যই দেখিয়াছ। গেঁটে কড়ির গায়ে গাঁটের মত উঁচু উঁচু অংশ থাকে। শঙ্খেরও ঐ-রকম নানা আকৃতি দেখা যায়। কোনো শঙ্খের খোলায় ঢেউ-খেলানো সুন্দর উঁচু উঁচু অংশ সাজানো দেখা যায়। কোনো শঙ্খের খোলা আবার শিঙের মত চূড়া-ওয়ালা দেখা যায়। শঙ্খের গায়ের খোলার এই বিচিত্র আকৃতি ভিতরকার সেই পাত্‌লা পরদার গুণেই হয়। আমাদের আঙুল ও হাত পায়ের তেলোর চাম্‌ড়া কেমন কোঁচ্‌কানো থাকে তাহা তোমরা অবশ্যই দেখিয়াছ। কড়ি, গুগ্‌লি ও শঙ্খের গায়ের পর্‌দা ঐ-রকমে প্রায়ই কোঁচ্‌কাইয়া যায়। ইহাতে গায়ের উপরকার খোলাটিও ভিতরকার পর্‌দার মত কোঁচ্‌কাইয়া উৎপন্ন হইতে থাকে। তাহা হইলে দেখা যাইতেছে, গায়ের পর্‌দা যে কেবল খোলাই উৎপন্ন করে তাহা নয়; খোলার বিচিত্র আকৃতিও ঐ পরদা দিয়া উৎপন্ন হয়।

 মুক্তা খুব মূল্যবান্ জিনিস। মুক্তা যত বড় হয়, তাহার মূল্যও তত বাড়ে। কিন্তু জিনিসটা চূণ দিয়াই প্রস্তুত। ঝিনুকের শরীরের ভিতর মুক্তা হয়। আমরা ছেলেবেলায় গল্প শুনিয়াছিলাম, স্বাতী নক্ষত্রে বৃষ্টির জল হাতীর মাথায় পড়িলে গজমোতি হয় এবং ঝিনুকের গায়ে