নিজ স্থানে সার বেঁধে বসে—তেমনি অক্ষয় দাদার সাড়া পাবামাত্র কথাগুলো দৌড়ে এসে জুড়ে দাঁড়ায়। শ্রীশবাবু, বুড়ো মানুষকে বঞ্চনা করে রুমালখান চুপি চুপি পকেটে পুরবেন না―
শ্রীশ। আবিষ্কার কর্ত্তার অধিকার সকলের উপর―
রসিক। আমার ঐ রুমালখানিতে একটু প্রয়োজন আছে শ্রীশ বাবু! আপনাকে ত বলেছি আমার নির্জ্জন ঘরের একটি মাত্র জালনা দিয়ে একটু মাত্র চাদের আলো আসে—আমার একটি কবিতা মনে পড়ে―
বীথীষু বীথীষু বিলাসিনীনাং
মুখানি সংবীক্ষ্য শুচিস্মিতানি,
জালেষু জালেষু করং প্রসার্য্য
লাবণ্যভিক্ষামটতীব চন্দ্রঃ।
কুঞ্জ পথে পথে চাঁদ উঁকি দেয় আসি,
দেখে বিলাসিনীদের মুখভরা হাসি।
কর প্রসারণ করি ফিরে সে জাগিয়া
বাতায়নে বাতায়নে লাবণ্য মাগিয়া।
হতভাগা ভিক্ষুক আমার বাতায়নটায় যখন আসে তখন তাকে কি দিয়ে ভোলাই বলুনত? কাব্য শাস্ত্রের রসালো জায়গা যা কিছু মনে আসে সমস্ত আউড়ে যাই, কিন্তু কথায় চিঁড়ে ভেজে না। সেই দুর্ভিক্ষের সময় ঐ রুমালখানি বড় কাজে লাগ্বে। ওতে অনেকটা লাবণ্যের সংস্রব আছে।
সে লাবণ্য কি দৈবাৎ কখনো দেখেছেন রসিক বাবু?
রসিক। দেখেছি বৈ কি, নইলে কি ঐ রুমালখানার জন্যে এত লড়াই করি? আর ঐ যে ন অক্ষরের কথাগুলো আমার মাথার মধ্যে