রসিক। আমার কথা ছেড়ে দাও! আমার পিলে যকৃত যা কিছু হবার তা হয়ে গেছে।
নীরবালার প্রবেশ।
নীরবালা। দিদি আমরা পাশের ঘরেই ছিলুম।
রসিক। জেলেরা জাল টানাটানি করে মরচে, আর চিল বসে আছে ছোঁ মারবার জন্যে?
নীর। সেজদিদির রুমালখানা নিয়ে শ্রীশ বাবু কি কাণ্ডটাই করলে? সেজ দিদি ত লজ্জায় লাল হয়ে পালিয়ে গেছে। আমি এম্নি বোকা, ভুলেও কিছু ফেলে যাইনি। বারোখানা রুমাল এনেছি ভাব্ছি এবার ঘরের মধ্যে রুমালের হরির লুঠ দিয়ে যাব!
শৈল। তোর হাতে ও কিসের খাতা নীর?
নীর। যে গানগুলো আমার পছন্দ হয় ওতে লিখে রাখি দিদি।
রসিক। ছোটদিদি, আজকাল তোর কি রকম পারমার্থিক গান পছন্দ হচ্ছে তার এক আধটা নমুনা দেখতে পারি কি?
নীর।
—দিন গেলরে, ডাক দিয়েনে পারের খেয়া,
চুকিয়ে হিসেব মিটিয়ে দে তোর দেয়া নেয়া।
রসিক। দিদি ভারি ব্যস্ত যে! পার করবার নেয়ে ডেকে দিচ্ছি, ভাই! যা দেবে যা নেবে সেটা মোকাবিলায় ঠিক করে নিয়ো।
“অবলাকান্ত বাবু আছেন?” বলিয়া বিপিন ঘরে প্রবিষ্ট ও সচকিত হইয়া স্তম্ভিতভাবে দণ্ডায়মান―নীরবালা মুহূর্ত্ত হতবুদ্ধি হইয়া দ্রুতবেগে বহিষ্ক্রান্ত।
শৈল। আসুন বিপিনবাবু।
বিপিন। ঠিক করে বলুন আস্ব কি? আমি আসার দরুণ আপনাদের কোন রকম লোকসান নেই?
রসিক। ঘর থেকে কিছু লোকসান না করলে লাভ হয় না