পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

 বিপিন। পঞ্চশর?

 শ্রীশ। আসুন্ তিনি। একবার তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়ে গেলে, বাস্, আর ভয় নেই।

 পূর্ণ। দেখো শ্রীশবাবু।

 শ্রীশ। দেখব আর কি। তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছি! এক চোট দীর্ঘ নিশ্বাস ফেল্‌ব, কবিতা আওড়াব, কনকবলয়ভ্রংশরিক্তপ্রকোষ্ঠ হয়ে যাব, তবে রীতিমত সন্ন্যাসী হতে পারব। আমাদের কবি লিখেছেন―

নিশি না পোহাতে জীবন প্রদীপ
জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া
তোমার অনল দিয়া!
কবে যাবে তুমি সমুখের পথে
দীপ্ত শিখাটি বাহি
আছি তাই পথ চাহি!
পুড়িবে বলিয়া রয়েছে আশায়
আমার নীরব হিয়া
আপন আঁধার নিয়া!
নিশি না পোহাতে জীবন প্রদীপ
জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া!

 পূর্ণ। ওহে শ্রীশ বাবু, তোমার কবিটি ত মন্দ লেখেনি!―

নিশি না পোহাতে জীবন প্রদীপ
জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া!

 ঘরটি সাজান রয়েছে- থালায় মালা, পালঙ্কে পুষ্পশয্যা, কেবল জীবন প্রদীপটি জ্বলচে না, সন্ধ্যা ক্রমে রাত্রি হতে চল্‌ল। বাঃ দিব্যি লিখেছে! কোন্ বইটাতে আছে বল দেখি?

 শ্রীশ। বইটার নাম আবাহন।