পূর্ণ। নামটাও বেছে বেছে দিয়েছে ভাল! (আপন মনে)―
নিশি না পোহাতে জীবন প্রদীপ
জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া
তোমরা কি বাড়ির দিকে চলেচ?
শ্রীশ। বাড়ি কোন্ দিকে ভুলে গেছি ভাই!
পূর্ণ। আজ পথ ভোলবার মতই রাতটা হয়েছে বটে! কি বল বিপিন বাবু!
শ্রীশ। বিপিন বাবু এ সকল বিষয়ে কোন কথাই কন না, পাছে ওঁর ভিতরকার কবিত্ব ধরা পড়ে। কৃপণ যে জিনিষটার বেশি আদর করে সেইটেকেই মাটির নীচে পুঁতে রাখে।
বিপিন। অস্থানে বাজে খরচ করতে চাইনে ভাই, স্থান খুঁজে বেড়াচ্চি। মরতে হলে একেবারে গঙ্গার ঘাটে গিয়া মরাই ভাল!
পূর্ণ। এ ত উত্তম কথা, শাস্ত্রসঙ্গত কথা! বিপিনবাবু একেবারে অন্তিমকালের জন্যে কবিত্ব সঞ্চয় করে রাখ্চেন, যখন অন্যে বাক্য কবেন কিন্তু উনি রবেন নিরুত্তর! আশীর্ব্বাদ করি আগের সেই বাক্যগুলি যেন মধুমাখা হয়―
শ্রীশ। এবং তার সঙ্গে যেন কিঞ্চিৎ ঝালের সম্পর্কও থাকে―
বিপিন। এবং বাক্যবর্ষণ করেই যেন মুখের সমস্ত কর্ত্তব্য নিঃশেষ না হয়,―
পূর্ণ। বাক্যের বিরামস্থলগুলি যেন বাক্যের চেয়ে মধুমত্তর হয়ে ওঠে!
শ্রীশ। সে দিন নিদ্রা যেন না আসে―
পূর্ণ। রাত্রি যেন না যায়―
বিপিন। চন্দ্র যেন পূর্ণচন্দ্র হয়—
পূর্ণ। বিপিন যেন বসন্তের ফুলে প্রফুল্ল হয়ে উঠে―