রসিক। বলেছেন অল্পই, কিন্তু না বলেছেন অনেকটা।
বিপিন। কি রকম?
রসিক। লজ্জায় অনেকখানি লাল হয়ে উঠলেন।
বিপিন। ছি ছি, সে লজ্জা আমারি।
রসিক। আপনার লজ্জা তিনি ভাগ করে নিলেন, যেমন অরুণের লজ্জায় উষা রক্তিম।
বিপিন। আমাকে আর পাগল করবেন না রসিক বাবু!
রসিক। দলে টান্চি মশায়!
বিপিন। (খাতা পুনর্ব্বার পকেটে পূরিয়া) ইংরিজিতে বলে দোষ করা মানবের ধর্ম্ম, ক্ষমা করা দেবতার।
রসিক। আপনি তা হলে মানব ধর্ম্ম পালনটাই সাব্যস্ত করলেন!
বিপিন। দেবীর ধর্ম্মে যা বলে তিনি তাই করবেন!
শ্রীশের প্রবেশ।
শ্রীশ। অবলাকান্ত বাবুর সঙ্গে দেখা হল না।
বিপিন। তুমি রাতারাতিই তাঁকে সন্ন্যাসী করতে চাও না কি?
শ্রীশ। যা হোক্ অক্ষয়বাবুর কাছে বিদায় নিয়ে এলুম।
বিপিন। বটে বটে, তাঁকে বলে আস্তে ভুলে গিয়েছিলেম—একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসিগে।
রসিক। (জনান্তিকে) পুনর্ব্বার কিছু সংগ্রহের চেষ্টায় আছেন বুঝি? মানব ধর্ম্মটা ক্রমেই আপনাকে চেপে ধরচে!
শ্রীশ। রসিক বাবু, আপনার কাছে আমার একটা পরামর্শ আছে॥