পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৬
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

চক্ষু পরে মৃগাক্ষীর চিত্র পানি ভাসে;
রজনীও নাহি যায়, নিদ্রাও না আসে!

 অক্ষয়বাবুর অবস্থা আমি জানি মশায়!

 অক্ষয়। তুমি কে হে?

 রসিক। আমি রসিকচন্দ্র—দুই দিকে দুই যুবককে আশ্রয় করে যৌবন সাগরে ভাসমান।

 এ বয়সে যৌবন সহ্য হবে না রসিক দাদা।

 রসিক। যৌবনটা কোন্ বয়সে যে সহ্য হয় তা ত জানিনে, ওটা অসহ্য ব্যাপার। শ্রীশবাবু আপনার কি রকম বোধ হচ্চে।

 শ্রীশ। এখনো সম্পূর্ণ বোধ কর্‌তে পারি নি।

 রসিক। আমার মত পরিণত বয়সের জন্যে অপেক্ষা করচেন বুঝি? অক্ষয় দা, আজ তোমাকে বড় অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে।

 অক্ষয়। তুমি ত অন্যমনস্ক দেখ্‌বেই, মনটা ঠিক তোমার দিকে নেই।—বিপিনবাবু তুমি আমাকে খুঁজছিলে বল্লে বটে, কিন্তু খুব যে জরুর দরকার আছে বলে বোধ হচ্চে না অতএব আমি এখন বিদায় হই, একটু বিশেষ কাজ আছে।

(প্রস্থান)

 রসিক। বিরহী চিঠি লিখ্‌তে চল্ল।

 শ্রীশ। অক্ষয়বাবু আছেন বেশ। রসিকবাবু, ওঁর স্ত্রীই বুঝি বড় বোন? তাঁর নাম?

 রসিক। পুরবালা।

 বিপিন। (নিকটে আসিয়া) কি নাম বল্লেন?

 রসিক। পুরবালা।

 বিপিন। তিনিই বুঝি সব চেয়ে বড়?

 রসিক। হাঁ