প্রয়োজন হয় না? চিরজীবন বিবাহ করব না এই প্রতিজ্ঞাই যথেষ্ট তাই বলেই কি সব দিক থেকেই শুকিয়ে মরতে হবে?
বিপিন। যাই বল, হঠাৎ কুমার সভা ছেড়ে দিয়ে বিবাহ করে অক্ষয়বাবু আমাদের সভাটাকে যেন আল্গা করে দিয়ে গেছেন। ভিতরে ভিতরে আমাদের সকলেরি প্রতিজ্ঞার জোর কমে গেছে।
শ্রীশ। কিছুমাত্র না। আমার নিজের কথা বল্তে পারি, আমার প্রতিজ্ঞার বল আরো বেড়েছে। যে ব্রত সকলে অনায়াসেই রক্ষা করতে পারে তার উপরে শ্রদ্ধা থাকে না।
বিপিন। একটা সুখবর দিই শোন।
শ্রীশ। তোমার বিবাহের সম্বন্ধ হয়েছে না কি?
বিপিন। হয়েছে বৈ কি—তোমার দৌহিত্রীর সঙ্গে। —ঠাট্টা রাখ, পূর্ণ কাল কুমার সভার সভ্য হয়েছে।
শ্রীশ। পুর্ণ! বল কি! তাহলে ত শিলা জলে ভাস্ল!
বিপিন। শিলা আপনি ভাসে না হে! তাকে আর কিছুতে অকুলে ভাসিয়েচে। আমার যথাবুদ্ধি তার ইতিহাসটুকু সঙ্কলন করেচি।
শ্রীশ। তোমার বুদ্ধির দৌড়টা কি রকম শুনি।
বিপিন। জানই ত, পূর্ণ সন্ধ্যাবেলায় চন্দ্রবাবুর কাছে পড়ার নোট নিতে যায়। সেদিন আমি আর পুর্ণ একসঙ্গেই একটু সকাল সকাল চন্দ্র বাবুর বাসায় গিয়েছিলেম। তিনি একটা মীটিং থেকে সবে এসেছেন। বেহারা কেরোসিন্ জেলে দিয়ে গেছে—পূর্ণ বইয়ের পাত ওল্টাচ্চে, এমন সময়—কি আর বলব ভাই, সে বঙ্কিমবাবুর নভেল বিশেষ—একটি কন্যা পিঠে বেণী ফুলিয়ে—
শ্রীশ। বল কি হে বিপিন?
বিপিন। শোনই না। এক হাতে থালায় করে চন্দ্রবাবুর জন্য়ে জলখাবার, আর এক হাতে জলের গ্লাস নিয়ে হঠাৎ ঘরের মধ্যে এসে